এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > একুশের লক্ষ্যে ডিসাইডিং ফ্যাক্টর যুবশক্তিকে নিজেদের দিকে টানতে বড় পদক্ষেপ অভিষেকের

একুশের লক্ষ্যে ডিসাইডিং ফ্যাক্টর যুবশক্তিকে নিজেদের দিকে টানতে বড় পদক্ষেপ অভিষেকের


প্রতিবছর একুশে জুলাই ধর্মতলায় তৃণমূল যুব সংগঠনের পক্ষ থেকে শহীদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। বলা বাহুল্য, এটা তৃণমূলের বড় বাৎসরিক কর্মসূচি। কিন্তু বর্তমানে করোনা ভাইরাসের কারণে সমস্ত রকম রাজনৈতিক কর্মসূচি বন্ধ। বিজেপির পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই একটি সভা করা হয়েছে‌। তবে সেটা ভার্চুয়াল সভা। অনলাইনের মাধ্যমে দিল্লি থেকে বাংলার বিজেপি নেতা কর্মীদের বার্তা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ‌। আর এই পরিস্থিতিতে আগামী একুশে জুলাই তৃণমূলের ধর্মতলার শহীদ সমাবেশে জমায়েত হবে, নাকি ভার্চুয়াল সভার মাধ্যমে হবে, তা নিয়ে তীব্র জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

আর এই বিষয় নিয়ে যখন নানা মহলে গুঞ্জন চরমে, ঠিক তখনই সেই একুশে জুলাইয়ের সমাবেশের এক মাস বাকি থাকতে না থাকতেই বিরাট যুব নেটওয়ার্ক গড়ে তুলল তৃণমূল কংগ্রেস। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার দলের বিভিন্ন জেলার যুবনেতাদের একটি ভিডিও কনফারেন্স করে “বাংলার যুবশক্তি” নামে একটি নতুন কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেন তৃণমূল যুবর সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

যেখানে আগামী একুশে জুলাইয়ের 10 দিন আগেই সেই নেটওয়ার্ক তৈরির কাজ শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। আর হঠাৎ করেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষ থেকে এই উদ্যোগ নেওয়াতে এবার রাজনৈতিক মহলে তীব্র জল্পনা সৃষ্টি হয়েছে। তাহলে কি একুশে জুলাইয়ে তৃণমূল ডিজিটাল সভা করবে? আর তাই বাংলার যুবশক্তি নামে কর্মসূচির মাধ্যমে অভিজ্ঞ যুবকদের দিয়ে সেই সভাকে সঠিক রূপ দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে ঘাসফুল শিবির?

জানা গেছে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে এই “বাংলার যুবশক্তি” 11 জুন থেকে যাত্রা শুরু করবে বলে জানালেও, এই সংগঠনকে অরাজনৈতিক মোর দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। এক্ষেত্রে গোটা রাজ্যকে মোট 5 টি জোনে ভাগ করা হয়েছে। যেখানে প্রতিটি জোনের অধীনে একটি করে জেলা কমিটি থাকবে বলে জানা গেছে। আর জেলা কমিটির অধীনে ফিল্ড কমিটি থাকবে। আর এই কমিটির দায়িত্ব দেওয়া হবে একাধিক কো-অর্ডিনেটরের হাতে। তারাই নির্দেশ দিয়ে সমস্ত কাজ করাবেন।

জানা গেছে, প্রত্যেক ফিল্ড ইউনিট মেম্বারের উপরে দশটি করে পরিবারের দায়িত্ব থাকবে। আর একদম নিচতলা থেকে উপর তলা পর্যন্ত বাংলার যুবশক্তি নামে কর্মসূচি ঠিক কিভাবে কাজ করছে, কতটা কমিটি গঠন করা হয়েছে, তার সমস্ত খবর প্রশান্ত কিশোরের টিমের কাছে পৌঁছে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু হঠাৎ করে এই কর্মসূচি কেন?

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অনেকে বলছেন, একুশে জুলাইয়ের আগে এই কর্মসূচির পেছনে নিশ্চয়ই কোনো রাজনৈতিক কারণ রয়েছে। তবে একাংশের মতে, প্রশাসন এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে সেতু তৈরি করার জন্যই রাজ্যজুড়ে 1 লক্ষ 25 হাজার যুবককে তৈরি করে মানুষের মনে বিশ্বাস অর্জনের চেষ্টা করছে তৃণমূল কংগ্রেস। এক্ষেত্রে 18 থেকে 35 বছর বয়সী যে সমস্ত যুবক-যুবতীদের সঙ্গে রাজনীতির কোনো যোগ নেই, যারা এলাকায় স্বচ্ছ বলে পরিচিত, তাদেরকেই কমিটিগুলোতে রাখা হবে বলে খবর।

তবে আগামী 11 জুলাই এই কমিটি সম্পূর্ণরূপে তৈরি হওয়ার পর ফের এই কমিটির যোদ্ধাদের নিয়ে বৈঠকে বসবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এখনও পর্যন্ত এই কমিটির নাম বাংলার যুবশক্তি বলে স্থির করা থাকলেও, এর কোন লোগো তৈরি হয়নি। ফলে তার দিকেও নজর রয়েছে সকলের। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যে যাই বলুন না কেন, আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে যুব সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করতেই অরাজনৈতিক মোড়কে এই কমিটি তৈরি করে বেশি করে মানুষের কাছে পৌঁছতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। এর পেছনে প্রশান্ত কিশোরের মস্তিষ্কপ্রসূত ভাবনা রয়েছে বলেও দাবি করছে একাংশ।

আর তাই সেই পরিস্থিতিতে প্রায় 1 লক্ষ 25 হাজার যুব যোদ্ধাদের “বাংলার যুবশক্তি” নামে কর্মসূচিতে শামিল করে মানুষের কাছে পৌঁছতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ট্র্যাটেজি কতটা সাফল্য পায়, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের। তবে একুশে জুলাইয়ের 10 দিন আগে এই কমিটি তৈরি করে এবার কি একুশে জুলাই ভার্চুয়াল ভাবে করতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস! তা নিয়েও জল্পনা তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। সব মিলিয়ে তৃণমূলের এই নতুন উদ্যোগ নানা মহলে তীব্র জল্পনা সৃষ্টি করছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!