এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ভাইপোর খেল খতম্? অভিষেককে হারাতে তৈরি নওশাদ! উত্তাল রাজ্য রাজনীতি!

ভাইপোর খেল খতম্? অভিষেককে হারাতে তৈরি নওশাদ! উত্তাল রাজ্য রাজনীতি!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-দুর্নীতি, চুরি একের পর এক মন্ত্রী, নেতাদের জেল যাত্রা এমনিতেই পিসি-ভাইপোকে চাপে রেখেছে। সামনেই লোকসভা নির্বাচন। গোটা বিজেপি বিরোধী জোটের নেতৃত্ব দেওয়ার স্বপ্ন নিয়ে লড়াই করার চিন্তাভাবনা করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই সময় তিনি ভাবতেও পারছেন না, নিজের ভাইপো ডায়মন্ড হারবারে জিতবেন কিনা! ইতোমধ্যেই শুভেন্দু অধিকারী হুশিয়ারি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছেন যে, ভাইপোকে তিনি আগামী লোকসভা নির্বাচনে অন্য লোককে দিয়ে হারাবেন। আর এই পরিস্থিতিতে আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীর মন্তব্যকে কেন্দ্র করে হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। তিনি সরাসরি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ করেছেন। ফলে সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করার মত জায়গায় বাংলার যুবরাজ রয়েছেন কিনা, এটাই লাখ টাকার প্রশ্ন। অনেকে বলছেন, ভাইপো কি এবার তার স্ট্র্যাটেজি পরিবর্তন করবেন? নওশাদ সিদ্দিকী যদি তার বিরুদ্ধে দাঁড়ান এবং তিনি যেভাবে বলছেন যে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়ে আবার কালীঘাটের বাড়িতে পাঠিয়ে দেবেন, তা যদি হয়, তাহলে তো ভাইপোর সর্বভারতীয় নেতা হওয়া আর হবে না! তাই ভয়ে তিনি নওশাদের বিরুদ্ধে না লড়ার ছুতো খুঁজতে পারেন বলেও মনে করছেন একাংশ।

প্রসঙ্গত, এদিন একটি বিস্ফোরক মন্তব্য করেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। যেখানে তিনি বলেন, “আমার ইচ্ছে রয়েছে, আগামী লোকসভা নির্বাচনে ডায়মন্ড হারবারে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়ে আবার কালীঘাটের বাড়িতে পাঠিয়ে দেব।” অনেকে বলছেন, যদি সত্যিই ডায়মন্ড হারবারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করেন নওশাদ সিদ্দিকী, তাহলে সেখানে বাংলার ভাইপো জয়লাভ করতে পারবেন না। কারণ প্রচুর সংখ্যালঘু ভোট চলে যাবে নওশাদ সিদ্দিকির দিকে। আর যে সংখ্যালঘু ভোটের ওপর এত ভরসা রয়েছে তৃণমূলের, তা যদি নওশাদ সিদ্দিকীর দিকে চলে যায়, তাহলে ভাইপোর আর জয়লাভ করা কোনোমতেই সম্ভব নয়। তাকে হেরেই শেষ পর্যন্ত বাড়ি ফিরতে হবে বলেই দাবি একাংশের।

বিরোধীদের দাবি, পিসি-ভাইপোর বিদায় আসন্ন। এমনিতেই তারা আর বেশি দিন এই রাজ্যের ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। আর লোকসভা নির্বাচনে সেই ভাইপোকে একেবারে মুখের মত জবাব দিতে তৈরী বিরোধীরা। শুভেন্দু অধিকারী ইতিমধ্যেই সেই কথা স্পষ্ট করেছেন। আর এবার নওশাদ সিদ্দিকী যেভাবে সেই ভাইপোর বিরুদ্ধে লড়ার কথা জানিয়ে দিলেন, তাতে ভাইপো যথেষ্ট ভয় রয়েছেন। এখন তিনি হয়তো চেষ্টা করবেন, এই লোকসভা নির্বাচনে ডায়মন্ডহারবার থেকে প্রতিদ্বন্দিতা না করার। তবে যেখানেই তিনি দাড়ান না কেন, তাকে এবার হারতে হবেই। মানুষ আঞ্চলিক দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের এই চুরির রাজত্ব বরদাস্ত করবেন না। চালাকি করে আর যাই হোক বেশি দিন নেতা হওয়া যায় না। এবারের লোকসভা নির্বাচন ভাইপোকে তা বুঝিয়ে দেবে বলেই দাবি করছে বিরোধী শিবির।

পর্যবেক্ষকদের মতে, তৃণমূলের ভাইপো এমন একটা ভাব দেখান, যেন তিনি অনেক বড় নেতা। যেন তাকে দেখে বিরোধী নেতারা খুব ভয় পান। কিন্তু তার বিরুদ্ধে তো লড়তে তৈরি আইএসএফ বিধায়ক। তাহলে সেই চ্যালেঞ্জ নেওয়ার মতো ক্ষমতা সেই ভাইপোর রয়েছে তো? নাকি তিনি এবার অন্য পথে হাঁটবেন! যদি তিনি বাপের ব্যাটা হন, তাহলে নওশাদ সিদ্দিকীর এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে ডায়মন্ড হারবার থেকে জিতে দেখান। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!