এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > শুভেন্দু দল ছাড়লে মেদিনীপুরের সব আসন হতে পারে হাতছাড়া? তবুও নড়ছে না টনক? প্রশ্ন দলের অন্দরেই

শুভেন্দু দল ছাড়লে মেদিনীপুরের সব আসন হতে পারে হাতছাড়া? তবুও নড়ছে না টনক? প্রশ্ন দলের অন্দরেই


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দলের শীর্ষ নেতা তিনি। রাজ্যের একাধিক দপ্তরের মন্ত্রী। পূর্ব মেদিনীপুরের সংগঠন কার্যত তার কথাতেই চলে। শুধু পূর্ব মেদিনীপুর বললে ভুল হবে, গোটা রাজ্য জুড়েই তার একটা বিস্তর প্রভাব রয়েছে। কিন্তু এহেন তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা তথা মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে এখন ব্যাপক জল্পনা তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন অরাজনৈতিক কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকলেও দলের সঙ্গে ক্রমাগত দূরত্ব বজায় রাখতে দেখা যাচ্ছে শুভেন্দুবাবুকে।

তাই এই পরিস্থিতিতে শুভেন্দু অধিকারী যদি দলত্যাগ করেন, তাহলে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় তৃণমূল কংগ্রেসের যে ব্যাপক ভরাডুবি হবে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা এই ব্যাপারে নিশ্চিত হলেও শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে খুব একটা ভাবিত হতে দেখা যাচ্ছে না শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকে। যার ফলে দলের অন্দরেই উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। যে শুভেন্দু অধিকারীকে ছাড়া পূর্ব মেদিনীপুর জেলা কার্যত অচল, সেই শুভেন্দু অধিকারী যদি দলত্যাগ করেন বা নতুন মঞ্চ গঠন করেন, তাহলে তৃণমূল কংগ্রেস তো এখানে হারের সম্মুখীন হবেন!

যেখানে দিনকে দিন বিজেপির প্রভাব বাড়তে শুরু করেছে, সেখানে শুভেন্দু অধিকারী শাসকদলের কাছে বাড়তি চাপ হয়ে দাঁড়াবে না! এখন তা নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। বিশ্লেষকদের মতে, অধিকারী পরিবারের কথা ছাড়া পূর্ব মেদিনীপুরে একটি গাছের পাতাও নড়ে না। শুভেন্দু অধিকারীকে বাদ দিয়ে এখানকার সংগঠন চলবে, এটা এতদিন স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেনি তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু এখন সময়ের বিস্তর পরিবর্তন হয়েছে। সেই শুভেন্দু অধিকারী এখন এমন কিছু আচার আচরণ করছেন যা দলের কাছে চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

কিন্তু বাইরে থেকে শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব চিন্তায় আছে বলে মনে করা হলেও, সেই শুভেন্দুবাবুর মান ভঞ্জনের কোনো চেষ্টা তৃণমূলের পক্ষ থেকে দেখা যাচ্ছে না। একবার প্রশান্ত কিশোর তার বাড়িতে এসেছিলেন। তারপর আবার যেই কার সেই অবস্থা। নিজের মতো করে সভা করছেন, সমিতি করছেন শুভেন্দু অধিকারী। বিভিন্ন সভায় গিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ বক্তব্য রাখছেন। কিন্তু দলের পক্ষ থেকে কি কারনে তার এই অরাজনৈতিক কর্মসূচি এবং ইঙ্গিতপূর্ণ বক্তব্য, তা জানতে চেয়ে শুভেন্দুবাবুর সঙ্গে আলোচনায় বসা হচ্ছে না।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই অনেকে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। তাদের বক্তব্য, দলের এক যুবনেতার উত্থানে ভীষণ অপমানিত শুভেন্দুবাবু। নন্দীগ্রাম আন্দোলনে তার ভূমিকা অপরিসীম। বিগত বাম আমলে রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে তিনি সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে লড়াই দিয়েছিলেন। আজকে সেই তিনি দলের পেছনের সারিতে। তাই চূড়ান্ত অপমানিত হয়ে তিনি এই ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন। তবে এখনও পর্যন্ত অন্য কোনো দলে যাননি শুভেন্দু অধিকারী। তাই তার আগে তৃণমূল কংগ্রেসের উচিত তার সঙ্গে সমস্ত রকম দ্বন্দ্বকে মিটিয়ে নিয়ে তাকে দলের সক্রিয় করা।

গত লোকসভা নির্বাচনে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় বিজেপির উত্থান কিছুটা হলেও চিন্তায় ফেলেছে তৃণমূল কংগ্রেসকে। তাই এই পরিস্থিতিতে সেই জেলায় শেষ কথা বলা শুভেন্দু অধিকারী যদি দলত্যাগ করার মত সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে আগামী দিনে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ক্ষেত্রে তৃণমূল কংগ্রেস খাতা খুলতে পারবে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন বিশেষজ্ঞদের মধ্যে। তবে শুধু পূর্ব মেদিনীপুর নয়, এতদিন বিভিন্ন জেলার পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব সামলেছেন শুভেন্দুবাবু।

উত্তরবঙ্গের মালদা থেকে শুরু করে উত্তর দিনাজপুর, মুর্শিদাবাদ সহ একাধিক সংগঠন পরিচালনা করেছিলেন তিনি। ফলে সেই জেলার নানা নেতা-নেত্রীদের সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর সখ্যতা রয়েছে। তাই তিনি যদি দলত্যাগ করেন, তাহলে সেই সমস্ত জেলাতে প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু এই সহজ সত্যটা কেন তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব এখনও পর্যন্ত উপলব্ধি করতে পারছে না! তা নিয়েই প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।

শুভেন্দুবাবুর অনুগামীদের বক্তব্য, এখনও পর্যন্ত তৃণমূল কংগ্রেস যদি উপলব্ধি করতে না পারে যে, শুভেন্দু অধিকারীর কতটা প্রভাব রয়েছে, তাহলে তা দুর্ভাগ্যজনক। কেননা দাদা যদি চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নিয়ে নেন, তাহলে সব থেকে বড় অসুবিধায় পড়বে তৃণমূল কংগ্রেস। স্বভাবতই নানা মহলে শুভেন্দু অধিকারীর মানভঞ্জনের জন্য জল্পনা চললেও, তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কেন শীর্ষ নেতৃত্ব এই ব্যাপারে উদ্যোগ নিচ্ছেন না, তা বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!