এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > অটল বিহারীর স্মরণসভার জন্য বিজেপিকে বিনা-পয়সায় মহাজতি সদন দিয়ে সৌজন্যের নজির মুখ্যমন্ত্রীর

অটল বিহারীর স্মরণসভার জন্য বিজেপিকে বিনা-পয়সায় মহাজতি সদন দিয়ে সৌজন্যের নজির মুখ্যমন্ত্রীর

রাজনৈতিক শত্রু হলেও বরাবর বিরোধী দলের প্রতি সৌজন্যের নজিড় দেখিয়ে অনন্য স্থান লাভ করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।  এবার ফের সেই মুখ্যমন্ত্রীর সৌজন্যের সাক্ষী হয়ে থাকতে চলেছে বঙ্গবাসী। সূত্রের খবর, আগামী 29 আগষ্ট প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর স্মরনসভার জন্য মহাজাতি সদন চেয়েছিল রাজ্য বিজেপি। কিন্তু যেইদিন বিজেপির এই অনুষ্টান হওয়ার কথা সেইদিন অপর একটি সংস্থার তরফে এই হল বুকিং ছিল। এবার সেই বুকিং বাতিল করে দেশীয় রাজনীতিতে প্রবল শত্রু বলে পরিচিত বিজেপিকে সম্পূর্ন বিনা পয়সায় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর স্মরনসভা করার সুযোগ করে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রব্লেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

জানা গেছে, এই মহাজাতি সদনের একদিনের ভাড়া 16 হাজার 620 টাকা। সিকিউরিটি মানি সমেত যা দাঁড়ায় 22 হাজার 620 টাকায়। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এদিন সেই টাকাও সম্পূর্ন মুকুব করা হল। এখানেই অনেকের প্রশ্ন, যে ললের নেতারা উঠতে বসতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি গালিগালাজ করেন, তাঁদের প্রতি এহেন সহনশীল আচরন কেন? এ প্রসঙ্গে  এই মহাজাতি সদনের অছি পরিষদের সভাপতি তথা খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, “বিজেপি যেভাবে আমাদের নেত্রীকে কদর্য ভাষায় আক্রমন করে তাতে আমরা ভেতরে ভেতরে কাঁদলেও ক্ষমা করা তো মানুষের বড় গুন। তাই ওদের মত প্রতিহিংসাপরায়ন আমরা হতে পারি না।”

এদিকে খাদ্যমন্ত্রীর কথার পাল্টা জবাব দিয়েছে বিজেপিও। এদিন রাজ্য বিজেপির অন্যতম সাধারন সম্পাদক সায়ন্তন বসু বলেন, “মহাজাতি সদনের অছি পরিষদের সভাপতি এই ধরনের কথা না বললেই পারতেন।” প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, অতীতে বিজেপির একাধিক শীর্ষস্থানীয় নেতার সভার জন্য হলের অনুমতি চাইলেও তা পায়নি দলের রাজ্য নেতারা। এদিন সেই কথা উল্লেখ করে সায়ন্তন বসু আরও বলেন, “এই সভা সর্বদলের জন্য। তাই রাজনৈতিক সংকীর্নতা ঢাকতেই এই হল দিতে বাধ্য হয়েছে শাসকদল।”তবে বিজেপি নেতারা যাই বলুক না কেন! সৌজন্যের নিরিখে বাংলার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জুড়ি মেলা যে ভার তা ফের একবার প্রমান হয়ে গেল বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!