এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > অডিও টেপ নিয়ে এবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের বড়সড় হুঁশিয়ারি রাজ্য তৃণমূল সরকারকে

অডিও টেপ নিয়ে এবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের বড়সড় হুঁশিয়ারি রাজ্য তৃণমূল সরকারকে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যের প্রথম দফার নির্বাচন হয় গত শনিবার। আর সেদিন সারাদিন যাবত রাজ্য রাজনীতি উত্তাল হয়ে থাকে বিভিন্ন খবরে। তবে সব থেকে বড় যে দুটি খবর সামনে এসেছে সেগুলি হল অডিও টেপ সংক্রান্ত। প্রথমটি বিজেপির তরফ থেকে প্রকাশ করা হয় এবং তার কিছুক্ষণ পরে তৃণমূলের তরফ থেকে আরেকটি অডিও টেপ প্রকাশ করা হয় যেখানে কথা বলতে শোনা যায় মুকুল রায় এবং শিশির বাজোরিয়াকে। আর এবার বিজেপি নেতাদের অডিও সামনে আসায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক থেকে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ফোন ট্যাপিংয়ের অভিযোগ করা হচ্ছে।

অডিও কান্ডে প্রথম দফায় তমলুকের সাংগঠনিক জেলা বিজেপি সভাপতি সামনে আনেন, যেখানে দাবি করা হয় তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে এবং নেত্রী তাঁর সাহায্য চাইছেন ভোট জেতার জন্য। এই নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে রাজ্য রাজনীতিতে। গেরুয়া শিবির থেকে দাবি করা হয়, তৃণমূল নেত্রী হারবেন বুঝতে পেরেই এভাবে যোগাযোগ শুরু করেছেন। এই অবস্থায় তৃণমূলের পক্ষ থেকে আরেকটি অডিও ক্লিপিং সামনে আসে। সেখানে দেখা যায় মুকুল রায় এবং শিশির ভাদুড়ী নিজেদের মধ্যে কথোপকথন করছেন বুথে এজেন্ট বসানো নিয়ে। এতদিন পর্যন্ত নিয়ম ছিল যেখানকার বুথ, সেখানকার এজেন্ট হতে হবে।

কিন্তু নির্বাচন কমিশনের নতুন নিয়ম করেছে যে কোন জায়গার এজেন্ট বুথে গিয়ে বসতে পারেন। প্রথম থেকেই তৃণমূল দাবি করে আসছে, নির্বাচন কমিশনের ওপর গেরুয়া শিবিরের প্রাভাব রয়েছে ব্যাপকভাবে। সেক্ষেত্রে সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, কোন রকম সর্বদলীয় বৈঠক না ডেকে নির্বাচন কমিশন এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে যে অডিওটি সামনে আসে সেখানে দেখা যায় শিশির বাজোরিয়া এবং মুকুল রায় এরকমই একটি কথা বলছেন যেখানে নির্বাচন কমিশনে এজেন্ট সংক্রান্ত সমস্যাটি বলা হবে। এবং কাকতালীয় ভাবে তারপর নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করে তাঁদের নিয়ম পরিবর্তনের কথা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এবার অডিওর মাধ্যমে ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই নড়েচড়ে বসেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। তাঁদের তরফ থেকে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশন যদি অনুমতি দেয় তাহলে এই নিয়ে তাঁরা তদন্ত শুরু করবে। বিজেপির তরফ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে, তাঁদের দলের নেতাদের ফোন ট্যাপ করা হচ্ছে বাংলায়। খুব স্বাভাবিকভাবেই এই ফোন ট্যাপিংয়ের ঘটনায় শাসক দল তৃণমূলকে অভিযুক্ত করা হয়েছে অমিত শাহের তরফ থেকে। তিনি অভিযোগ করেছেন, ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হওয়ার পর বিজেপি নেতাদের ফোন ট্যাপ করা আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘনের সমান।

কিন্তু রাজনৈতিক মহলের অনেকেই পাল্টা প্রশ্ন তুলেছেন, তাহলে কয়েকদিন আগে নির্বাচনের দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিজেপি নেতার কথোপকথন কিভাবে বাইরে এল? সেই অডিও নির্বাচন কমিশনের আঙিনায় দাঁড়িয়ে বিজেপি নেতারা প্রকাশ করেন। খুব স্বাভাবিকভাবেই নিয়মের বেড়াজালে কোন ঘটনা যে মান্যতা পাবে, আর কোন ঘটনা মান্যতা পাবেনা তা নিয়ে প্রশ্ন চিহ্ন থাকছে। তবে ফোন ট্যাপিংয়ের অভিযোগ যদি সত্যি হয়, তাহলে কিন্তু রাজ্যের বর্তমান শাসকদল তৃণমূলকে ভোটের মুখে বড়সড় বিপর্যয়ের মুখে ফেলবে বলে মনে করা হচ্ছে।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!