এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > বর্ধমান > এবার রাজ্যের প্রশাসনিক আধিকারিককে হুমকি দিয়ে বিতর্কের মুখে পড়লেন বিজেপি নেতা

এবার রাজ্যের প্রশাসনিক আধিকারিককে হুমকি দিয়ে বিতর্কের মুখে পড়লেন বিজেপি নেতা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – মনোনয়ন পর্ব ঘিরে এবার বিজেপি নেতার সমালোচনা তুঙ্গে। বেশ কিছুদিন যাবৎ সাংসদ সুনীল মণ্ডল খবরের শিরোনামে রয়েছেন। দলবদল করে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে গিয়েছেন সাংসদ। তৃণমূলে যাবার আগে তিনি ছিলেন ফরওয়ার্ড ব্লকের অন্যতম নেতা। আর এবার তিনি আবার সংবাদ শিরোনামে এলেন বিতর্কিত কান্ডের জন্য। জানা গিয়েছে, ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এবার বিজেপি নেতা সুনীল মণ্ডলের বিরুদ্ধে। খুব স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনার বিরুদ্ধে সুর তুলেছে শাসকদল। মঙ্গলবার রায়না কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী মানিক রায় মনোনয়ন জমা দিতে যান মহকুমা শাসকের দপ্তরে।

করোনার কারণে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকটি নিয়ম জারি করা হয়েছে, যার মধ্যে অন্যতম হলো মনোনয়ন জমা দেওয়ার জন্য নিয়ম অনুযায়ী প্রার্থীর সঙ্গে দুজন অফিসে প্রবেশ করতে পারবেন। জানা গিয়েছে, আজকে রায়না কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী মানিক রায় দুজনকে নিয়ে ভেতরে ঢুকে ছিলেন মনোনয়ন জমা দিতে। সেসময় সময়ের অনেক পরে এসে পৌঁছান বিজেপি নেতা সুনীল মণ্ডল এবং তিনি ভেতরে ঢুকতে যান। তখন তাঁকে বাধা দেয় কর্তব্যরত প্রশাসনিক আধিকারিকরা।

আর ঠিক সেই মুহুর্তে কর্তব্যরত ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটকে রীতিমত হুঁশিয়ারি দেন সুনীল মণ্ডল। কর্তব্যরত ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ভগীরথ হালদার জানিয়েছেন, প্রার্থীর সঙ্গে যেহেতু দুজন ভেতরে ছিলেন, তাই সুনীল মণ্ডলকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। ভেতরের কেউ একজন বাইরে এলে তিনি ঢুকতে পারতেন। কিন্তু দেরি সহ্য করতে না পেরে সাংসদ সুনীল মণ্ডল মেজাজ হারান। যথারীতি এরপর তিনি ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটকে রীতিমত হুমকি দিয়ে বলেন, কিছুদিনের জন্য ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ইনস্ট্রাকশন দিতে পারবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এরপর ইনস্ট্রাকশন তাঁরা দেবেন, অর্থাৎ এক্ষেত্রে বোঝাই যাচ্ছে গেরুয়া শিবিরের দিকেই তিনি ইঙ্গিত করেছেন। আর সুনীল মণ্ডলের মন্তব্য ঘিরে রীতিমতো সরগরম হয়ে উঠেছে বর্ধমানের রাজনীতি। রাজ্যের শাসক দলের পক্ষ থেকে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, একজন সাংসদ হয়ে কিভাবে কমিশনের দায়িত্বে থাকা একজন আধিকারিককে এভাবে হুমকি দিতে পারেন বিজেপি নেতা? এ প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস জানিয়েছেন, বিজেপি এখনও আসেনি। তাতেই নির্বাচনের কাজে নিযুক্ত ম্যাজিস্ট্রেটকে ধমকাচ্ছেন দলের নেতা।

আগামী দিনে যদি কোন সুযোগ পায় ক্ষমতায় আসার, তাহলে বাংলার অবস্থা কী দাঁড়াবে তা নিয়ে উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেছেন জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র। স্বাভাবিকভাবেই বিতর্কিত সাংসদ সুনীল মন্ডলকে নিয়ে আবারও নতুন করে বিতর্ক শুরু হলো রাজনৈতিক মহলে। অন্যদিকে এখনো পর্যন্ত এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সুনীল মণ্ডল বা গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে রাজ্যের শাসকদলের পক্ষ থেকে যে সুনীল মন্ডল ওরফে বিজেপি নেতার মন্তব্যকে হাতিয়ার করা হবে আপাত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে, সেকথা বলাইবাহুল্য।

 

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!