এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > উচ্চবর্ণের সংরক্ষণ থেকে আয়ুষ্মান ভারত, ব্যাংকের টাকা থেকে পুজোর ট্যাক্স – প্রধানমন্ত্রীকে তীব্র আক্রমণ মুখ্যমন্ত্রীর

উচ্চবর্ণের সংরক্ষণ থেকে আয়ুষ্মান ভারত, ব্যাংকের টাকা থেকে পুজোর ট্যাক্স – প্রধানমন্ত্রীকে তীব্র আক্রমণ মুখ্যমন্ত্রীর


লোকসভা নির্বাচনের দিন যত এগিয়ে আসছে ততই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আরও বেশি করে আক্রমণাত্মক হচ্ছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জিএসটি থেকে নোট বাতিল – কেন্দ্রের বিভিন্ন ইস্যুতে দীর্ঘদিন ধরেই সুর চরিয়েছেন তিনি। এবার গতকাল বারাসাতে যাত্রা উৎসবের উদ্বোধনী মঞ্চ থেকেও সেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে কটাক্ষের সুর শানালেন বাংলার প্রশাসনিক প্রধান।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সম্প্রতি কেন্দ্রের পক্ষ থেকে উচ্চবর্ণের মানুষের শিক্ষা ও চাকরির জন্য 10 শতাংশ আসন সংরক্ষণের আইন আনা হয়েছে। নির্বাচনের আগে নিন্দুকদের পক্ষ থেকে তাকে “চমক” বলে আখ্যা দেওয়া হলে এবার সেই সংরক্ষণ আইনের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রীও।

এদিন তিনি বলেন, ” সেখানে যেসব শর্ত রয়েছে, তাতে কতজন গরিব মানুষ চাকরি পাবেন তা নিয়ে সন্দেহ আছে। আসলে এসব সবই চালাকি। মোদি সরকারের আমলে 2 কোটি মানুষ নিজেদের কাজ হারিয়েছেন। এখন ভোটের মুখে সংরক্ষণের কথা বলছে ওরা। আইন অনুযায়ী 50 শতাংশের বেশি সংরক্ষণ করা যাবে না। কিন্তু সেটাকে ছাপিয়ে 60% সংরক্ষণ করতে চাইছে।”

অন্যদিকে সম্প্রতি নদীয়ার সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন যে এবার থেকে কেন্দ্রের প্রকল্প আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পে রাজ্য আর তাঁদের 40 শতাংশ অর্থ দেবে না। যার কারণ হিসেবে মুখ্যমন্ত্রী বলেন যে, সমস্ত প্রকল্প কেন্দ্র নিজের নামেই চালাচ্ছে। তাহলে রাজ্যের সেইখানে টাকা দিয়ে কোন লাভই হচ্ছে না।

 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন বারাসাতের যাত্রা উৎসবের মঞ্চ থেকে সেই প্রসঙ্গে ফের কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের উদ্দেশ্যে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এরা নিজেদের একটা কাজও করেনি। আর বাড়ি বাড়ি চিঠি দিয়ে বলছে যে স্বাস্থ্যবীমা, আবাস তৈরি, নারী শিক্ষা ওরাই নাকি সব করেছে। তাহলে সাত বছরে আমাদের সরকার কি করল! চিকিৎসার খরচ, স্বাস্থ্যসাথী আমরা অনেক আগেই করেছি। গ্রামোন্নয়নেও আমরা খরচ করেছি। এখন ভোটের মুখে কেন্দ্র সব নিজেদের বলে প্রচার করছে।”

তবে শুধু বিজেপির সরকারই নয়, এ দিন কেন্দ্রের প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীর নাম না নিয়ে তার উদ্দেশ্যেও তীব্র বাক্যবানে বিঁধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি 15 লক্ষ টাকার কথা সকলের মনে আছে। কেউ 15 লক্ষ টাকা পেয়েছেন? কেউ পাননি। এবার দেখবেন হঠাৎ করে আপনার একাউন্টে 15000 টাকা ঢুকে যাবে। আর আপনি ভাববেন এই তো বোধহয় বিজেপি প্রতিশ্রুতি রক্ষা শুরু করেছে। কিন্তু না। ওরা যদি হেরে যায় ব্যাংকও আপনাকে ছাড়বে না। সুদ মেটাতে মেটাতে নাজেহাল হয়ে যাবেন।”

এদিকে আয়কর দপ্তরের পক্ষ থেকে সম্প্রতি কলকাতার বেশ কয়েকটি নামিদামি পুজো কমিটিগুলোকে নোটিশ পাঠানো হলে এদিন সেই ঘটনার বিরুদ্ধেও তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “পুজো কমিটির কাছে নোটিশ পাঠিয়ে বলা হচ্ছে হিসেব দাও। পুজোর চাঁদা জনগণ দেয়। একটা ক্লাবের গায়ে যদি হাত পড়ে, আমি কিন্তু ছেড়ে কথা বলবো না। পুজো কমিটির কাছে হিসেবে চাইছ ঠিক আছে। কিন্তু তার আগে নোট বন্দিতে কত টাকা লুট হয়েছে তার হিসেব তুমি দাও।”

সব মিলিয়ে এবার কেন্দ্রের প্রতিটা প্রকল্প নিয়ে ধরে ধরে বিজেপি সরকার ও প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির তীব্র ভাষায় কটাক্ষ করলেন বাংলার প্রশাসনিক প্রধান।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!