এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > বাগবাজার অগ্নিকান্ডের পেছনে তৃণমূলীয় ষড়যন্ত্র – দাবী গেরুয়া শিবিরের

বাগবাজার অগ্নিকান্ডের পেছনে তৃণমূলীয় ষড়যন্ত্র – দাবী গেরুয়া শিবিরের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বর্তমানে বাংলায় কিছু হলেই তাতে লাগছে রাজনীতির ছোঁয়া। গতকালই বাগবাজারে ঘটে যায় বিধ্বংসী অগ্নিকান্ড। অসংখ্য বস্তিবাসী গৃহহারা হয়েছেন এক রাতের মধ্যেই। কিন্তু সেখানেও রাজনীতির রং লেগেছে। অগ্নিকাণ্ড ঘিরেও বিজেপি এবং তৃণমূলের রাজনৈতিক লড়াই অব্যাহত। গতকাল থেকেই বাগবাজারের বিশাল অগ্নিকাণ্ড নিয়ে গেরুয়া শিবিরের নিশানায় তৃণমূল। গেরুয়া শিবিরের দাবি, সহানুভূতি আদায়ের জন্য তৃণমূলের পক্ষ থেকে ইচ্ছাকৃতভাবে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। আর এবার বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু করলেন বড়োসড়ো বিস্ফোরক অভিযোগ।

তাঁর দাবি, শুধু বাগবাজার নয়, সহানুভূতি পেতে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূল আগুন লাগাচ্ছে। যথারীতি সায়ন্তন বসুর দাবি নিয়ে শুরু হয়ে গেছে তীব্র রাজনৈতিক জল্পনা। বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ির মোহিতনগরে সায়ন্তন বসু দলীয় কর্মসূচি উপলক্ষে যান। সেখানে শস্য সংগ্রহ অভিযানের পর ‘আর নয় অন্যায়’ কর্মসূচিও পালন করেন। আর তারপরেই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করে কড়া ভাষায় আক্রমণ চালান উত্তরবঙ্গ থেকে। বৃহস্পতিবার বাগবাজারের অগ্নিকাণ্ডের পেছনে তৃণমূলীয় ষড়যন্ত্রের আভাস পেয়েছেন তিনি বলে দাবি করেন। শুধু তাই নয়, তিনি দাবি জানিয়েছেন- কলকাতায় পরপর যতগুলি অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে, সবগুলোর পেছনেই তৃণমূলের হাত রয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পাশাপাশি তিনি অভিযোগ করেছেন, ইচ্ছাকৃতভাবে অগ্নিকাণ্ড হলে দমকলকে দেরি করে পাঠানো হচ্ছে ঘটনাস্থলে। ফলস্বরূপ ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে এলাকার এবং মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তৃণমূল সরকার নিজেদের মহত্ব প্রমাণ করছে। প্রসঙ্গত জানা যায়, বুধবার সন্ধ্যে সাতটা নাগাদ বাগবাজার বস্তিতে ব্যাপক আকারে আগুন লাগে। স্থানীয়রাই প্রাথমিক অবস্থায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। কিন্তু একের পর এক সিলিন্ডার বিস্ফোরণের সাথে সাথে বিভিন্ন অগ্নিদাহ্য পদার্থের সংস্পর্শে এসে আগুনের লেলিহান শিখা আকাশ ছোঁয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দমকলের সাতাশটি ইঞ্জিন দীর্ঘক্ষণ চেষ্টা চালায় বলে জানা গেছে।

বুধবার রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিজেপির মহিলা মোর্চার নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল ষড়যন্ত্রের দাবি জানিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ একইভাবে ষড়যন্ত্রের দাবি জানান। পাশাপাশি তিনি এই অগ্নিকাণ্ডের তদন্তের দাবি করেন তিনি। আর এবার বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু একইভাবে তৃণমূলীয় চক্রান্তের দাবি করে রাজনৈতিক মহলে তীব্র জল্পনার সৃষ্টি করলেন। গেরুয়া শিবিরের এই অভিযোগের ভিত্তিতে এখনো পর্যন্ত অবশ্য তৃণমূলের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে রাজনৈতিক মহলের অনেকেই মনে করছেন, আগামী দিনে এই ষড়যন্ত্র ইস্যু যে ভোটের বাজার গরম করতে চলেছে সে কথা বলাই বাহুল্য।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!