প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে সবথেকে বেশি আলোচ্য বিষয় বহিরাগত ইস্যু। এক্ষেত্রে বিজেপির পক্ষ থেকে নানা কেন্দ্রীয় নেতারা রাজ্য তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেও তাকে গুরুত্ব দিতে নারাজ ঘাসফুল শিবির। তৃণমূলের দাবি, বিজেপি নেতারা বাংলা ভাষায় কথা বলতে জানে না। বাংলার সংস্কৃতি সম্পর্কে তারা অবহিত নয়। তাই বিজেপিকে বাংলার মানুষ বয়কট করবেন।

তবে বাংলার ক্ষমতা দখলের সুবর্ণ সুযোগ কোনোভাবেই ছাড়তে নারাজ ভারতীয় জনতা পার্টি। আর তাই তো নির্বাচনের আগে এখন বাংলায় আসা-যাওয়া যেন স্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে। কিন্তু তৃণমূলের পক্ষ থেকে যখন বিজেপিকে বহিরাগত দল বলে আক্রমণ করা হচ্ছে, তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আটকাতে এবং তৃণমূলকে চাপে ফেলতে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের মত বাঙালিকে হাতিয়ার করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শনিবার খড়্গপুরে নির্বাচনী সভায় দাড়িয়ে বিজেপিকে “বাঙালির দল” বলে দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যেখানে জনসংঘের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের অবদানের কথা তুলে ধরেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই এই বাঙালির কথা তুলে ধরে তৃণমূল যে বাঙালি নিয়ে গর্ব করে এবং বিজেপিকে কটাক্ষ করে, তাকেও ধুলিস্যাৎ করে দেওয়ার চেষ্টা করলেন প্রধানমন্ত্রী বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

অনেকে বলছেন, তৃণমূলের পরিচালিকা শক্তি বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবার। তাই সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষ থেকে বাঙালি সত্তা নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, তাকে কার্যত শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের মত ব্যক্তিদেরকে হাতিয়ার করে খন্ডন করার চেষ্টা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যা ভোটের মরশুমে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিজেপি এখন সবথেকে বড় চেষ্টা করছে, তৃণমূলের বহিরাগত ইস্যু নিয়ে জবাব দেওয়ার। আর তাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রাজ্যে এসে তাদের বিরুদ্ধে যে বাংলাবিরোধী দল বলে অভিযোগ করছে তৃণমূল কংগ্রেস, সেই অভিযোগ খন্ডন করার চেষ্টা করলেন। যার ফলস্বরুপ জনসংখ্যার প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের মত বাঙালির ব্যক্তিত্বের কথা তুলে ধরে বাংলার মানুষের মন জয়ের চেষ্টা করলেন প্রধানমন্ত্রী।

অর্থাৎ 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিজেপিকে যতই বাংলা বিরোধী দল বলে আখ্যা দেওয়া হোক না কেন, তা যে শুধুমাত্র বিরোধীতা করার জন্য, তা শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের অবদানের কথা তুলে ধরে বুঝিয়ে দিলেন নরেন্দ্র মোদী বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। স্বাভাবিক ভাবেই বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারকে আটকাতে এবং তৃণমূল কংগ্রেসকে ক্ষমতাচ্যুত করতে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়কে হাতিয়ার করে বিজেপির লক্ষ্য কতটা সফলতার দিকে পৌঁছে যায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।