এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > বর্ধমান > দুই বর্ধমানে দুই চিত্র – পূর্বে মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে ফেসবুক পোস্ট করে গ্রেপ্তার, পশ্চিমে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে

দুই বর্ধমানে দুই চিত্র – পূর্বে মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে ফেসবুক পোস্ট করে গ্রেপ্তার, পশ্চিমে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে


ফের দিলীপ ঘোষেদের রক্তচাপ বাড়িয়ে রাজনৈতিকমহলে শোরগোল ফেলে দিল বর্ধমান জেলা। পূর্ব বর্ধমানে মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে ফেসবুকে আপত্তিজনক পোস্ট করে গ্রেফতার হল এক বিজেপি কর্মী,অন্যদিকে লোকসভা ভোটের মুখে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় অস্বস্তিতে পশ্চিম বর্ধমানের গেরুয়াশিবির।

এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে নিয়ে বিতর্কিত পোস্ট করার অভিযোগে বিজেপি কর্মী বিবেকানন্দ পাল গ্রেফতার হলেন। ধৃত বর্ধমান শহরের বাবুরবাগের শান্তি কলোনির বাসিন্দা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,ধৃত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে নিয়ে ফেসবুকে অশ্লীল ছবি এবং কথা পোস্ট করেছিল।

এ নিয়ে বর্ধমান শহরের কানাইনাটশালের বাসিন্দা তাপস কর্মকার সহ কয়েকজন আপত্তি করেছিলেন। এদিন বেলা ১১ টা নাগাদ বিবেকানন্দ ফেসবুকে পোস্টটি করার পর রাত ৮ টা নাগাদ তাপসের সঙ্গে দেখা হলে তাপসবাবু তাকে পোস্টটি করা উচিৎ হয়নি বলে পরামর্শ দেন। এই প্রসঙ্গে বিবেকানন্দের সঙ্গে তাপসের একপ্রস্থ কথা কাটাকাটিও হয়।

এরপর বিবেকানন্দকে প্রতিবেশীদের সাহায্যে আটকে রেখে পরে পুলিশের হাতে তুলে দেন। এমনকি বিবেকানন্দের মোবাইলটিও পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তাপসের অভিযোগের ভিত্তিতেই বর্ধমান পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। পরেরদিনই বর্ধমান আদালতে তোলা হয় তাকে। ধৃতের হয়ে জামিনের আবেদন করেন আইনজীবী কমল দত্ত ও শর্মিষ্ঠা সামন্ত। তবে সে জামিন খারিজের পক্ষে সওয়াল তোলেন সরকারি আইনজীবী নারদ কুমার ভুঁইঞা। এরপর দু’পক্ষের তর্কাতর্কি শুনে শেষে ধৃতের জামিন মঞ্জুর করেন সিজেএম রতনকুমার গুপ্তা।

এদিকে, পশ্চিম বর্ধমানে ফের বিজেপির সাংগঠনিক দূর্বলতা প্রকাশ্যে এল। নিয়ামতপুরের বেশ কিছু বিজেপি কর্মী ঘটা করে তৃণমূলে যোগ দিলেন। দুর্গাপুরের সভায় তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন পশ্চিম বর্ধমানের জেলা পর্যবেক্ষক অরূপ বিশ্বাস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নে সামিল হতেই তাঁরা দলবদল করেছেন,এমনটাই দাবী তৃণমূলের। এর কয়েকদিন আগে বিজেপি যুব মোর্চার নেতা সন্তোষ ভার্মা তৃণমূলে যোগ দেন।

পশ্চিম বর্ধমানের ৩০-৩৫ জন বিজেপি কর্মী তৃণমূলে নাম লিখিয়েছেন। দলবদল প্রসঙ্গে সন্তোষবাবু বলেন,বিজেপিতে থেকে উপেক্ষিত হওয়ার পরই ওঁরা তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। আসলে নীচুতলার কর্মীদের কোনো গুরুত্বই দেওয়া হয় না বিজেপিতে। আর সেকারণে আগামী দিনেও আরো অনেকে বিজেপি ছেড়ে বেরিয়ে আসবেন বলে দাবী করলেন তিনি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এছাড়া দুর্গাপুরের সভায় বক্তব্য দিতে গিয়ে আসানসোলের মেয়র জিতেন্দ্র তেওয়ারি বলেন,’আমরা দরজা খোলা রেখেছি। শুধু বিজেপি নয়, সিপিএম কর্মীরাও আসতে পারেন। এবার একজন বাঙালিকে প্রধানমন্ত্রী করার সুযোগ আমাদের সামনে এসেছে। সেকারণে বামকর্মীদেরও উচিত এই দু’মাস আমাদের সমর্থন করা। নির্বাচন মিটে যাওয়ার পর আবার আপনারা লালঝান্ডা ধরুন, কোনও অসুবিধা নেই। দিল্লিতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ছবি আমরা বাঙালি হিসেবে দেখতে চাই।’

রাজনৈতিকমহলের মতে,দুর্গাপুরে বিজেপির উত্থান সেভাবে না হলেও বামেদের সংগঠন ভালোই পোক্ত রয়েছে এখানে। এঁদের অনেকেই নেতৃত্বহীনতায় ভুগে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। এদিনের সভা থেকে তৃণমূল নেতৃত্ব অভিযোগের সুর চড়া করে বলেন,যাঁরা আগে সিপিএম করতেন তাঁরাই এখন বিজেপি করছেন। কিন্তু তাতে লাভ হবে না কিছুই। তৃণমূলের জেলা পর্যবেক্ষক অরূপ বিশ্বাস জানান,’বাংলা দিয়ে গঙ্গা বয়ে গিয়েছে। এখানকার জল পবিত্র। পরিষ্কার জলে কোনওদিনই পদ্ম ফুটবে না। যেখানে পাঁক আছে, সেখানে ওরা চেষ্টা করুক। তাতে লাভ আছে।’

অন্যদিকে,শহরের রাজনৈতিক সচেতন ব্যক্তিরা মনে করছেন,আগামী লোকসভা ভোটে দুর্গাপুরে সিপিএমের ভোটব্যাঙ্ক যাঁরা দখলে রাখতে পারবে তাঁরাই বাজিমাত করবে। আর সে কারণেই দুর্গাপুরের প্রকাশ্য সভা থেকে আসানসোলের মেয়র জিতেন্দ্র তেওয়ারি সিপিএম কর্মীদের তৃণমূলে আসার আহ্বান জানান। এদিন তৃণমূলের সভায় কর্মী-সমর্থকদের ভীড় ছিল দেখার মতো। সভা থেকেই তৃণমূলের হেভিওয়েটরা দলীয় কর্মী এবং সমর্থকদের চাঙ্গা করার চেষ্টা করেন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!