এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ‘বেনোজল’ নিয়ে রাজ্যের সংঘ-বিজেপির চাপানউতোর,জোর চর্চা রাজনৈতিকমহলের

‘বেনোজল’ নিয়ে রাজ্যের সংঘ-বিজেপির চাপানউতোর,জোর চর্চা রাজনৈতিকমহলের

লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পরই বিজেপির এরাজ্যে শক্তি বৃদ্ধি হতে শুরু করে। গত 2014 সালের নির্বাচনে বাংলা থেকে গেরুয়া শিবির দুটি আসন পেলেও এবার তৃণমূলের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলে তারা 18 টি আসন দখল করে নিয়েছে। আর এই ব্যাপক সাফল্যের পরই শাসক দল তৃণমূল থেকে একাধিক জনপ্রতিনিধিরা পদ্ম শিবিরে নাম লেখাতে শুরু করেন। যার জেরে উজ্জীবিত হয়ে ওঠে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব।

কিন্তু রাজ্যের বর্তমান শাসকদল তৃণমূলের যে নেতা এবং জনপ্রতিনিধিরা বর্তমানে বিজেপিতে নাম লেখাচ্ছেন, তাদের দাপটেই একসময় গেরুয়া শিবিরের কর্মী সমর্থকদের মার খেতে হয়েছে। আর সেই সমস্ত নেতারা এবার দলের সুদিন আসায় তৃণমূল থেকে বিজেপিতে নাম লেখানোয় বিজেপির দুর্দিনের কর্মীরা ক্ষিপ্ত হতে শুরু করেছেন। যার জেরে বিজেপিতেও নব্য-আদির দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসছে।

কিছুদিন আগেই বীরভূমের লাভপুরের তৃণমূল বিধায়ক মনিরুল ইসলাম তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলে বিজেপি নেতাদের মধ্যেই তা নিয়ে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এমনকি যে সমস্ত নেতারা বর্তমানে তৃণমূল থেকে তাদের দলে যোগ দিচ্ছেন, তারা অনেকেই দলের গঠনতন্ত্রকে মান্যতা না দিয়ে দলকে বিপাকের মুখে ফেলে দিচ্ছে বলে দাবি করতে শুরু করেছেন গেরুয়া শিবিরের একাংশ।

যার জেরে বিজেপির অনেকেই বলছেন, এরকমই যদি চলতে থাকে তাহলে তৃণমূলের মতই অবস্থা হবে। কিন্তু বিজেপি যে একটি গণতান্ত্রিক দল এবং এখানে যে সঠিক নিয়ম মেনেই কাজকর্ম করা হয়, তা মেনে নেন প্রায় সকলেই। আর তাইতো দলে নব্যদের ভিড়ে যাতে গঠনতন্ত্রে কোনরূপ নিয়ম লঙ্ঘিত না হয়, সেই ব্যাপারে এবার গেরুয়া শিবিরকে সতর্ক করে দিল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, আরএসএস প্রভাবিত পত্রিকার 17 জুন সংখ্যার প্রচ্ছদ কাহিনী ছিল, কতটা বেনোজল আটকাতে পারবে বিজেপি! আর সেখানেই প্রকাশিত এক সম্পাদকীয় নিবন্ধের বক্তব্যে লেখা রয়েছে, “দিন পরিবর্তনের আভাস পাইতেই আজ যাহারা বিজেপির আশ্রয়ে আসিতে চাহিতেছে, তাহারা সবাই স্বচ্ছ নয়। ইহাদের মধ্যে বেনোজালও আছে। বিজেপির মত দল যারা নিজেদের পার্টি উইথ আ ডিফারেন্স বলে প্রচার করে, তাহাদের তো এই বিষয়ে যথেষ্ট সতর্ক থাকাই উচিত।”

আর তাই এই বেনোজলকে যাতে রোধ করা যায়, তার জন্য ছাকনিরও প্রয়োজন বলেও এই পত্রিকার সম্পাদকীয় নিবন্ধে লেখা রয়েছে। তাহলে কি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংস্থাও এবার বিজেপিতে একের পর এক তৃণমূলের নেতাকর্মীরা ঢোকায় এবং তাদের একাংশ বিজেপিতে মাথাচাড়া দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন!

এদিন এই প্রসঙ্গে বঙ্গ বিজেপি সাধারণ সম্পাদক প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “জাতীয়তাবাদী পত্রিকাটির একটি পৃথক মত আছে। আমরা তা নিয়ে কিছু মন্তব্য করব না। আমরা বেনোজলের বিষয়ে সতর্কই আছি। দলের গঠনতন্ত্র ছাঁকনির কাজ করছে।” সব মিলিয়ে এবার লোকসভা ভোটের ফলাফল প্রকাশের পরই শাসকদলের জনপ্রতিনিধিরা বিজেপিতে নাম লেখানোয় বিজেপির গঠনতন্ত্র কি ভেঙে যাচ্ছে! এই প্রশ্ন তুলেই গেরুয়া শিবিরকে বিরুদ্ধে কিছুটা সতর্ক করে দলে শৃংখলার প্রয়োগের নির্দেশ দিল আরএসএস প্রভাবিত পত্রিকা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!