এখন পড়ছেন
হোম > আন্তর্জাতিক > বড় সঙ্কটে দেশ, আর কোনও রোহিঙ্গাকে দেশে ঢুকতে দেবেন না স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন হেভিওয়েট মন্ত্রী

বড় সঙ্কটে দেশ, আর কোনও রোহিঙ্গাকে দেশে ঢুকতে দেবেন না স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন হেভিওয়েট মন্ত্রী

মায়ানমার এর সামরিক বাহিনীর নির্যাতনের শিকার হয়ে প্রাণ বাঁচাতে যাঁরা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে, তাঁরাই রোহিঙ্গা নামে পরিচিত বিশ্বের কাছে। জানা গেছে, বাংলাদেশে এখনো পর্যন্ত প্রায় 11 লাখ রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে। গত 40 বছর ধরে রোহিঙ্গারা ক্রমাগত বাংলাদেশে এসে চলেছে। এই রোহিঙ্গাদের জাতিগত কোন পরিচয় নেই। অন্যদিকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের সমস্ত দায়িত্ব এতদিন নিয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু এবার বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হলো, তাঁদের দেশে আর কোনো রোহিঙ্গা নাগরিককে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।

বৃহস্পতিবার সরকারিভাবে এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন ঢাকায় বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী ডক্টর এ কে আব্দুল মোমেন। এ প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ থেকে দুটি নৌকো- যারা রোহিঙ্গাদের নিয়ে এসেছিল তাঁদের ফেরত পাঠানো হয়েছে। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে তাঁদের নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড এবং স্থল সীমান্ত রক্ষায় যেসব বাহিনী আছেন, তাঁদেরকে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যাতে কোন রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে।

এই মুহূর্তে বাংলাদেশের কক্সবাজারে প্রায় 11 লক্ষ রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়ে রয়েছেন। যার ফলে আর্থসামাজিক ভাবে কক্সবাজারের স্থানীয় এলাকা বিপাকে পড়েছে। তাই এবার সরকারি নির্দেশ জারি করে বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের ঢোকা নিষিদ্ধ করা হলো। বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী ডক্টর এ কে আব্দুল মোমেন এদিন জানিয়েছেন, ‘অনেক দেশের যথেষ্ট সামর্থ্য আছে। বিশেষ করে যারা রোহিঙ্গাদের নানা অধিকারের জন্য উচ্চকণ্ঠে কথা বলে। তাদের উদ্দেশ্যে বলছি, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিন, যাঁরা বাংলাদেশে আছে তাঁদেরও নিয়ে যান।’

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সম্প্রতি জানা গেছে, রোহিঙ্গাদের নিয়ে দুটি নৌকা মালয়েশিয়ার সীমান্তে পৌঁছায়। কিন্তু সেখানে তাঁদেরকে নামতে বাধা দেওয়া হয়। এবং তারপরই তাঁরা বাংলাদেশ সীমান্তে চলে আসে। কিন্তু 500 জন রোহিঙ্গা সমেত নৌকা দুটি বাংলাদেশ সীমান্ত থেকেই আবার ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়। 2017 সাল থেকে সেনাবাহিনীর তুমুল অত্যাচার এবং গণহত্যার কারণে মায়ানমার থেকে প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা প্রাণভয়ে পৌঁছে যায় বাংলাদেশে। সেসময় মানবিক কারণেই বাংলাদেশ সীমান্ত খুলে দেওয়া হয়।

তার আগেও বিভিন্নসময় সাড়ে তিন লক্ষ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিলেন। নতুন করে আবার সাড়ে সাত লক্ষ রোহিঙ্গা আসায় বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের সংখ্যা দাঁড়ায় প্রায় 11 লক্ষ। এর পরে অবশ্য মায়ানমারের সঙ্গে আন্তর্জাতিকভাবে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হলেও কোনোভাবেই রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়ার ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ নেয়নি মায়ানমার বলে জানা গেছে। এমনকি বিশ্বের অন্য কোনো দেশ অত্যাচারিত ও নিপীড়িত রোহিঙ্গাদের নিজেদের দেশে কখনও আশ্রয় দেয়নি বলে খবর।

তবে এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের ঢুকতে না দেওয়ার সিদ্ধান্তে এবার কার্যতই মহা বিপদের মুখে পড়ল বাংলাদেশে ঢুকতে চাওয়া অন্যান্য রোহিঙ্গারা। তবে জানা গেছে, পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, রোহিঙ্গাদের নিজেদের দেশে ফেরত পাঠাতে বাংলাদেশ কাজ করে যাবে বরাবর। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করে পাশাপাশি বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে উদ্যোগী বাংলাদেশ সরকার।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!