এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বাংলাকে বঞ্চনার অভিযোগে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে-পথে নামছে শাসকমহল

বাংলাকে বঞ্চনার অভিযোগে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে-পথে নামছে শাসকমহল

বাংলাকে বঞ্চনার দাবিতে তৃণমূল বহুদিন থেকেই মুখর। এবার কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে তৃণমূল দাবি জানিয়েছে, বাংলা ভাষার প্রতি কেন্দ্র বঞ্চনা করেছে। যার ফলে 11 ই নভেম্বর গোটা রাজ্য জুড়ে বিক্ষোভ মিছিলে শামিল হচ্ছে তৃণমূল দল। বাংলা সহ অন্য আঞ্চলিক ভাষাকে বাদ দিয়ে ইংরেজি-হিন্দীর সংগে গুজরাটি ভাষাকে জয়েন এন্ট্রান্স পরীক্ষায় আঞ্চলিক ভাষা হিসেবে স্থান দেওয়া হয়েছে। আর এর ফলেই তীব্র আকার ধারণ করেছে বাংলাকে বঞ্চনা করার দাবি। তৃণমূলের পক্ষ থেকে 11 ই নভেম্বর মূলত ভাষা বৈষম্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

শাসক দলের পক্ষ থেকে এদিন কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বাংলায় বঞ্চনার কথা বলা হয়েছে। এবার আঞ্চলিক ভাষা হিসেবে শুধুমাত্র গুজরাটি ভাষা স্থান পেয়েছে জয়েন্ট এন্ট্রান্স এর প্রশ্নপত্রে। প্রশ্ন উঠেছে তাহলে বাংলা ব্রাত্য কেন? বাংলাও তো আঞ্চলিক ভাষা। এই নিয়ে ধর্নায় বসেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। শাসকদলের এই ধরনা মঞ্চ থেকেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে জোর আওয়াজ তোলেন পঞ্চায়েত মন্ত্রী তথা তৃণমূলের বর্ষিয়ান নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায়।

তৃণমূল নেতৃত্বের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বাংলাভাষাকে বঞ্চনার বিষয়টি খুব শীঘ্রই সংসদে তোলা হবে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে, সংসদে যদি তাঁদের কথা শোনা না হয়, তাহলে ভারতবর্ষের প্রতিটি প্রান্তরে এই নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস আন্দোলন গড়ে তুলবে। এই প্রসঙ্গে অভিষেক ব্যানার্জি জানিয়েছেন, ‘বাংলার প্রতি নিরন্তর বঞ্চনা করা হচ্ছে, বাঙালির প্রতি এই বঞ্চনা মেনে নেওয়া যায়না। যতদিন না পর্যন্ত বাংলা ভাষাকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে ততদিন এই লড়াই চলবে।’ তিনি আরো বলেছেন, ‘জয়েন্টের প্রবেশিকায় বাংলা ভাষা যদি স্বীকৃতি না পায় তবে আমরা দিল্লির বুক থেকে অধিকার ছিনিয়ে নেব।’

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

 

সম্প্রতি অন্যান্য আঞ্চলিক ভাষা বাদ দিয়ে শুধুমাত্র গুজরাতি ভাষা কেন স্থান পেয়েছে এই নিয়ে তৃণমূল ভবনে অন্যান্য সংসদ এবং বিধায়কদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৈঠকে বসেন। সাংবাদিকদের সামনে তিনি বলেন, ‘অন্য ভাষাতেও জয়েন্ট এর প্রশ্নপত্র হওয়া উচিত। আমার গুজরাটি ভাষায় কোন আপত্তি নেই। কিন্তু বাংলা বা অন্যান্য ভাষাগুলি ব্রাত‍্য থাকবে কেন? বাংলা সহ অন্যান্য ভাষাতেও চালু করতে হবে জয়েন্ট এন্ট্রান্স।’

তৃণমূলের পক্ষ থেকে বাংলা বঞ্চনার প্রতিবাদে 11 ই নভেম্বর রাজ্যজুড়ে বাংলাসহ অন্যান্য ভাষায় জয়েন্ট প্রবেশিকা চালু করার দাবিতে ধর্মঘট ডাকা হয়। এই মর্মে কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠিও দেয় তৃণমূল সরকার। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে বাংলা বঞ্চনার যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

গুজরাতি ভাষাকে জয়েন্ট এন্ট্রান্স এর ভাষায় অন্তর্ভুক্ত করার জন্য বিজেপির তরফে জানা গেছে যে, জয়েন্টে গুজরাটি ভাষার অন্তর্ভুক্তির জন্য আগেই আবেদন করা হয়েছিল। আর তার ফলেই গুজরাটি ভাষাকে জয়েন এন্ট্রান্স এর স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে বাংলা ভাষাকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য এখনো পর্যন্ত কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চাননি রাজ্য সরকার। আর তার ফলেই বাংলা পিছিয়ে আছে বলে কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে। উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলীয় বৈঠকের পর জাতীয় পরীক্ষক নিয়োগ সংস্থা একটি বিবৃতি জারি করেছিল।

সেই বিবৃতিতে পরিষ্কার জানানো হয়েছে, 2013 সালে গুজরাটের পক্ষ থেকে গুজরাটি ভাষা চালু করার জন্য আবেদন জানানো হয়েছিল। সেই সময় অন্য কোন রাজ্য নিজেদের ভাষা চালু করার জন্য কোন আবেদন জানায়নি। আর এই প্রসঙ্গ টেনে এনেই বিজেপির পক্ষ থেকে তৃণমূল সরকারের এই প্রতিবাদ সম্পূর্ণরূপে অন্তঃসারশূন্য বলে দাবি জানিয়েছেন। অন্যদিকে কেন্দ্রের কোন অনুষ্ঠানে বাংলা পক্ষ থেকে প্রায়শই থাকেননা বহু আমলা। ফলে সেখানেও বাংলা পিছিয়ে পড়েছে বলে জানা গেছে। অতএব বোঝা যাচ্ছে বাংলা ভাষা নিয়ে দুইপক্ষের চাপানউতোর অব্যাহত।

আপাতত রাজ্যজুড়ে বাংলাভাষার বঞ্চনার দাবিতে শাসক মহল থেকে ধিক্কার জানানো হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারকে। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সরকারও তাঁদের সুর চড়িয়েছে। আপাতত জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা নিয়ে রাজ্য কেন্দ্রের মধ্যে দোষারোপের পালা অব্যাহত। আপাতত পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয়, সে দিকে নজর রাখছে রাজ্যের শিক্ষা মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!