এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > বাংলার লকডাউন নীতিতে এবার বড় রকমের পরিবর্তন আনতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা? জানুন বিস্তারে

বাংলার লকডাউন নীতিতে এবার বড় রকমের পরিবর্তন আনতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা? জানুন বিস্তারে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – পশ্চিমবঙ্গে করোনা সংক্রমণ ক্রমশই ঊর্ধ্বমুখী। করোনার ক্রমবর্ধমান সংক্রমণ নিয়ে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে রাজ্য প্রশাসনের। করোনা সংক্রমণ রোধ করতে, করোনা শৃঙ্খল ছিড়তে দেশে আনলক পর্ব চলাকালীনও সপ্তাহে একদিন বা দুদিন করে সারা রাজ্যব্যাপী সম্পূর্ণ লকডাউন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্য সরকার। গতকাল শুক্রবার পালিত হল রাজ্যব্যাপী সম্পূর্ণ লকডাউন। আজকের দিনেও পূর্ণ লকডাউন এর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে ছিল। কিন্তু আগামীকাল সর্বভারতীয় মেডিকেল পরীক্ষা বা নিতে ইউজি পরীক্ষার জন্য পরীক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এই লকডাউন প্রত্যাহার করা হয়েছে।

কিন্তু করোনা সংক্রমণ রোধ করতে সম্পূর্ণ লকডাউন যে কতটা যুক্তিযুক্ত সে ব্যাপারে প্রশাসনের অন্দরেই নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। অনেকে মনে করছেন, অকস্মাত্ সম্পূর্ণ লকডাউনে রাজ্যের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড যথেষ্ট ভাবে বিপর্যস্ত হয়। এ কারণেই অনেকের অভিমত, খুব প্রয়োজন ব্যতিরেকে সম্পূর্ণ লকডাউন বাঞ্ছনীয় নয়। রাজ্য সরকারের বিভিন্ন আমলা, আধিকারিকের এমটাই মতামত, যা বাস্তব রূপ নিলে রাজ্যে আর পূর্ণ লকডাউন দেখতে পাওয়া যাবে না।

অন্যদিকে, করোনা সংক্রমনের কারণে যখন দেশব্যাপী লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছিল, সে সময় দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল। ধস নেমেছিল ব্যবসা-বাণিজ্যে। একারণে দেশজুড়ে আনলক পর্ব শুরু হতেই জিনিসপত্রের দাম ঊর্ধ্বমুখী হতে শুরু করে। সেইসঙ্গে জ্বালানি তেলের ক্রমাগত মূল্যবৃদ্ধিতে জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি ত্বরান্বিত হয়। একদিকে ব্যাপকহারে মূল্যবৃদ্ধি, অন্য দিকে করোনা সংক্রমনের কারণে জীবিকার ক্ষতি বা জীবিকা হারা হওয়ায়, বহু জনগণের ক্রয়ক্ষমতা নিম্নগামী। যা অর্থনীতির ওপর ফেলেছে অত্যন্ত নেতিবাচক প্রভাব।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তাই এমন অবস্থায় যদি বারবার পূর্ণ লকডাউন ঘোষণা করা হয় তবে অর্থনৈতিক সমস্যা আরো বৃদ্ধি পাবে পাবে। এ কারণেই কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে সম্পূর্ণ লকডাউন ঘোষণা করা হচ্ছে না। তবে কন্টেনমেন্ট জোনে কিন্তু লকডাউন থাকবে। কন্টেনমেন্ট জোনের বাইরের কোন এলাকায় যদি লকডাউন ঘোষণা করতে হয়, সে ব্যাপারে কেন্দ্রের সঙ্গে পরামর্শ নেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে রাজ্য সরকারের।

তবে এখনো কিছু রাজ্য যেমন উত্তর প্রদেশে, পাঞ্জাব রাজ্যের কিছু কিছু কিছু এলাকায় বিক্ষিপ্তভাবে সপ্তাহের একদিন বা দুদিন লকডাউন করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে অনেকের মতামত হলো, কাজের দিন লকডাউন না করে ছুটির দিনে অকারনে ঘোরাফেরার উপরে যদি লাগাম পরানো যায়, তবেই তা মানুষের উপকারে আসতে পারে।

প্রসঙ্গত, রাজ্য সরকারের ধারণা রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি এখনো সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়নি। কিন্তু জেলা প্রশাসনের অনেকেই মনে করছেন আগামী শীত আসার আগেই করোনা সংক্রমনের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে এই রাজ্যে। তাই তাঁদের যুক্তি, বর্তমনে সময়তে পূর্ণ লকডাউন না করাই বাঞ্ছনীয়। যতদিন না সংক্রমনের ব্যাপকতা বৃদ্ধি পাচ্ছে, ততদিন শুধু কনটেইনমেন্ট জোন গুলিতে লকডাউন করলেই তার সুফলের সম্ভাবনা বেশি। তবে দ্বিতীয় সংক্রমনের ঢেউ এলে, সংক্রমন ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেলে সে সময় পূর্ণ লকডাউন এর বিষয়টি নিয়ে ভাবনা চিন্তা করার পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা। এ প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসনের জনৈক কর্তার বক্তব্য, ” পূর্ণ লকডাউনে সংক্রমণ ঠেকানো গিয়েছে, এমন কথা তো জোর গলায় যাবে না। উৎসবের মরসুম আসছে। এই সময় পূর্ণ লকডাউন চলতে থাকলে মানুষের আর্থিক পরিস্থিতি আরও শোচনীয় হয়ে উঠবে। ”

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!