মর্মান্তিক দুর্ঘটনা প্রাণ কাড়ল কলকাতা পুলিশের প্রথম মহিলা ওসির! মহিয়সীর মৃত্যুতে শোকের ছায়া অন্যান্য রাজ্য September 12, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- সমাজে যে সমস্ত মানুষেরা প্রথম পর্যায়ে এগিয়ে এসে দেশের ভার নিজেদের কাঁধে তুলে নেন, তাদের মধ্যে পুলিশ বিভাগ অন্যতম। কারণ এদের তৎপরতা তৈরি বাকি মানুষজন সুষ্ঠুভাবে নিজেদের কাজ করতে পারে সে অন্যান্য প্রথম বিভাগের কর্মকর্তারাই হোক বা সাধারণ মানুষ। বিশ্বের সমস্ত মানুষের মধ্যেও এরা অন্যান্য। কারণ এই সমস্ত ক্ষেত্রে যারা কাজ করে চলেন, তাদের কাছে পরিবার-পরিজন থেকে শুরু করে সর্বোপরি নিজেকেও বাদ দিয়ে তাদেরকে ভাবতে হয় দেশের জন্য, দশের জন্য। তবে এ কাজ সবার পক্ষে সম্ভব হয় না, তাই এই সমস্ত মানুষদের জন্য স্বভাবতই পাওনা হয় একটু বেশি সম্মানের। সম্প্রতি এমনই এক সমাজের প্রথম সম্প্রদায়ের রক্ষাকত্রীর মৃত্যুতে পুলিশ মহলে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। কথা হচ্ছে পুলিশের অন্যতম দক্ষ মহিলা অফিসার দেবশ্রী চট্টোপাধ্যায়ের। সম্প্রতি জানা গেছে নিজের কর্মক্ষেত্রে থেকে পর্ণশ্রী বনমালী নস্কর রোডের গাবতলায় তাঁর বাড়িতে সপ্তাহের শেষে, স্বামী ও ছেলের কাছে আসার সময়ই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় তাঁর। দাদপুরে হওয়া দুর্ঘটনার খবর শোনামাত্রই তাঁর স্বামী ও ছেলে সেখানকার হাসপাতালে যান। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। এরপর হুগলি থেকে তাঁর মরদেহ কলকাতায় নিয়ে আসা হয়। আর এই নিয়েও আপাতত শোকের ছায়া বইছে তাঁর পরিবারে। এদিন সকালে বাড়ির আত্মীয় এবং তাঁর স্বামী ও ছেলের সঙ্গে ছিলেন দেবশ্রী চট্টোপাধ্যায়ের সহকর্মীরাও। সকলেই তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর পর তাঁর শেষ কৃত্য করা হয়। তবে কে ছিলেন এই দেবশ্রী চট্টোপাধ্যায়? আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - জানা গেছে, কর্মক্ষেত্রে যোগদান করার পর, কলকাতার বেশ কয়েকটি থানার সাব-ইন্সপেক্টর ছিলেন তিনি। এছাড়া গোয়েন্দা বিভাগের মিসিং পার্সন স্কোয়াডের অতিরিক্ত ওসি হিসেবে তাঁকে নিযুক্ত করা হয়। এরপরে ওই শাখারই ওসিও হন তিনি। এরসঙ্গে নারীপাচার দমন শাখার দায়িত্বেও ছিলেন তিনি। ওই সময় কলকাতার বহু ম্যাসাজ পার্লারে হানা দিয়ে তিনি বহু মধুচক্র বন্ধ করেছিলেন বলে জানা যায়। সেই সঙ্গে তাঁর উদ্যোগেই নাকি বন্ধ হয়েছিল বিভিন্ন নারী পাচার চক্র। এরপর তাঁর কাজের আরো উন্নতিকরণে তাঁকে বিশেষ প্রশিক্ষণ নিতে কলকাতা পুলিশ কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে তাঁকে আমেরিকাতে পাঠানো হয় বলে জানা যায়। শুধু তাই নয়, আয়লার পর সমাজের দরিদ্র পরিবারের মেয়েরা যাতে কলকাতায় পাচার না হয়, সেদিকে বিশেষ নজর ছিল তাঁর। এরই পাশাপাশি কলকাতায় জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার ভুয়া পরীক্ষার্থী মামলায়, বিহার থেকে ভুয়ো মহিলা পরীক্ষার্থীদের গ্রেপ্তার করে কলকাতা নিয়ে আসাতেও তাঁর বিশেষ উদ্যোগ ছিল। এরপর হেয়ার স্ট্রিট থানার অতিরিক্ত ওসি পদের ভার নেন তিনি। পরে উত্তর বন্দর থানা ও তারাতলা থানাও ওসির দায়িত্ব পালন করেতে হয় তাঁকে। এরই সঙ্গে লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনারের দায়িত্ব পেয়েছিলেন তিনি। ভালো কাজের সুবাদে পদোন্নতি পেয়ে কলকাতা পুলিশের ডেপুটি কমিশনার হিসেবে এরপর যোগদান করেন তিনি। সেইসঙ্গে কলকাতা পুলিশের মহিলা বিভাগের ডিসি পদের দায়িত্ব নেন। ২০১৬ সালে রাজ্য পুলিশের সশস্ত্র বাহিনীর কমান্ডিং অফিসার হিসেবে উত্তরবঙ্গে বদলি হয়ে যান। এরপর সেখানেই তিনি থাকতেন বলে জানা গেছে। আপনার মতামত জানান -