এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > সারা দেশে বিজেপিকে একা করে দেওয়ার ডাক দিলেন মুখ্যমন্ত্রী

সারা দেশে বিজেপিকে একা করে দেওয়ার ডাক দিলেন মুখ্যমন্ত্রী

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ও জাতীয় নাগরিকপঞ্জী নিয়ে ইতিমধ্যে দেশজুড়ে বিক্ষোভের ঝড় বয়ে যাচ্ছে। আগ্নেয়গিরির আকার ধারণ করেছে পুঞ্জীভূত ক্ষোভ। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ও জাতীয় নাগরিকপঞ্জি নিয়ে প্রতিবাদ মিছিল থেকে গর্জে উঠেছেন মোদি সরকারের বিরুদ্ধে। কলকাতার মহা মিছিল থেকে দলীয় সমর্থকদের সঙ্গে পা মিলিয়ে রীতিমতো নাগরিকত্ব ইস্যুতে বিজেপিকে নিশানায় রেখে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণে ফুঁসে উঠেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে মিছিল এবার কলকাতা পেরিয়ে পুরুলিয়ায় শুরু হলো।

আগেই বিজেপির বিরুদ্ধে লড়ার জন্য দেশবাসীকে ডাক দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দেশের অবিজেপি দলগুলিকে একজোট হয়ে লড়াই করার বার্তা দিয়েছেন তিনি। এবার নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদ কোলকাতা ছাড়িয়ে পুরুলিয়ায় ছড়িয়ে পরল। সোমবার বাংলার মুখ্যমন্ত্রী পুরুলিয়ায় মিছিল শুরুর আগে বিজেপিকে নিশানা করে বললেন, ”এনআরসির নামে দেশ থেকে মানুষকে বিতাড়িত করার চক্রান্ত করছে বিজেপি। এই চক্রান্তের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে সকলকে আহ্বান জানাচ্ছি। জোট বাঁধুন, তৈরি হন। সারা দেশে বিজেপিকে একা করে দিন”।

প্রসঙ্গত 2019 এর লোকসভা ভোটের আগেও বাংলার মুখ্যমন্ত্রী সারাদেশে ডাক দিয়েছিলেন বিজেপির বিরুদ্ধে একজোট হওয়ার জন্য। বিরোধী ঐক্যের অন্যতম পুরোধা ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও শেষ পর্যন্ত বিরোধী জোট কোনো বাধা সৃষ্টি করতে পারেনি বিজেপির পক্ষে। বরং বিরোধী শক্তিকে হারিয়ে স্বমহিমায় দিল্লির মসনদ অধিকার করে মোদি শাহরা। এবার আবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আহ্বান জানিয়েছেন জোট শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য। এবারের ইস্যু এন আর সি ও সি এ এ। রবিবার ঝাড়খন্ডে নবনির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন শপথ গ্রহণ করেন। সেই শপথ গ্রহণের মঞ্চে সম্পূর্ণ ভিন্ন ছবি দেখা যায়। বলাই যায় ওই শপথ অনুষ্ঠানের মঞ্চ কার্যত ছিল বিরোধী ঐক্য মঞ্চ। কারণ দেশের অবিজেপি শক্তিগুলিকে এই শপথ মঞ্চে এক হতে দেখা যায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, এই ঘটনা জনগণের কাছে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বার্তা বয়ে নিয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। এদিন পুরুলিয়ায় নাগরিকত্ব ইস্যুতে যে মিছিল শুরু হয়, তার আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,”নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে এই প্রতিবাদ জারি থাকব। এই আন্দোলন গণতন্ত্র রক্ষার আন্দোলন। কাউকে তাড়ানোর অধিকার বিজেপির নেই। দেশের সব জায়গায় এই আন্দোলন হচ্ছে। পড়ুয়ারাও আন্দোলনে শামিল হয়েছেন। তাই তাঁদের ভয় দেখানো হচ্ছে। দেশের স্বাধীনতা আজ বিপদের মুখে।”

নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় প্রথম থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোচ্চার হয়েছিলেন। কলকাতার রাজপথে তিনি প্রথম থেকেই প্রতিবাদে নেমেছিলেন। সূত্রের খবর, পুরুলিয়ার পর এবার শিলিগুড়িতে আগামী 3 জানুয়ারি নাগরিকত্ব ইস্যুতে পথে নামতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে কলকাতায় চারটি এবং হাওড়া থেকে কলকাতায় ডোরিনা ক্রসিং পর্যন্ত মিছিল করেছে রাজ্যের শাসক দল। শুধু তাই নয়, দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এ রাজ্যের প্রতিটা জেলা, বিধানসভা ও ব্লকে নাগরিকত্ব আইন এর বিরুদ্ধে পদযাত্রা হয়েছে। অন্যদিকে খবর, রাজ্য বিজেপি এবার এনআরসির পক্ষে কলকাতায় ও জেলায় জেলায় মিছিল করবে বলে জানা গেছে।

তবে এনআরসি এবং নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহের বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই দেশের বিরোধী দলগুলি অভিযোগ জানিয়েছে, যে তাঁরা বিভাজনের রাজনীতি করছেন। নাগরিকত্ব ইস্যুকে কেন্দ্র করে গোটা দেশের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েছে প্রতিবাদ। প্রতিবাদ আন্দোলনের রূপ গ্রহণ করেছে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এনআরসি নিয়ে যেভাবে সারাদেশে বিক্ষোভের আগুন জ্বলে উঠেছে, তাতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব স্বাভাবিকভাবেই কিছুটা পিছিয়ে গেছে। আপাতত দেশের পরিস্থিতি কোন দিকে যেতে চলেছে, তা নিয়ে পর্যালোচনায় মেতে উঠেছে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকগণ।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!