বাংলার করোনা গ্রাফ হুহু করে উর্ধমুখী! মূল চিন্তা কোন কোন জেলা নিয়ে? জেনে নিন বিস্তারিত অন্যান্য রাজ্য শরীর-স্বাস্থ্য September 14, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- সম্প্রতি করোনা যেভাবে ভেলকি দেখিয়ে চলেছে, তাতে নিত্যনতুন রেকর্ড গড়ছে সংক্রমণের হার। সেইসঙ্গে করোনার চেন ভাঙ্গা গেলেও তা যে এখনই নিস্তার দিতে রাজি নয়, সে কথাই বরাবর প্রমাণ করে দিচ্ছে। সেই সঙ্গে দেশের ছটি রাজ্যসহ পশ্চিমবঙ্গের চারটি জেলা নিয়ে বহুদিন আগেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী। সেই সঙ্গে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সাথে আলোচনার মাধ্যমে কিভাবে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় সে নিয়েও কথা বলতে শোনা গিয়েছিল তাঁকে। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গের কোন জেলা নিরাপদ আর কার জন্য নিতে হবে অতিরিক্ত সাবধানতা, সেটা দেখে নেওয়া যাক। স্বাস্থ্যদপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে ৫৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। ফলে বাংলায় করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩,৯৪৫ জন। তবে এতকিছুর মধ্যেও সুস্থতার ঊর্ধ্বমুখী গ্রাফ স্বস্তি দেবে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে করোনাকে হারিয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩ হাজার ৫৪ জন মানুষ। সেই সঙ্গে বাংলায় এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ লক্ষ ৭৫ হাজার ১৩৯ জন মানুষ। ফলে সুস্থতার হার বেড়ে হয়েছে ৮৬.৪০ শতাংশ। অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন এরই মধ্যে জানিয়ে দিয়েছেন দেশে করোনা ভ্যাকসিন আসার কোনও দিন এখনও ঠিক হয়নি। তবে তাঁর আশা ২০২১ সালের মার্চের মধ্যে তা হাতে পাওয়া যাবে। অর্থাৎ এই কথা থেকে এটা স্পষ্ট যে, চলতি বছর করোনা আতঙ্ক সঙ্গে নিয়েই কাটাতে হবে মানুষকে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - অন্যদিকে, স্বাস্থ্য দপ্তরের বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ২১৫ জন মানুষ। যাদের মধ্যে শুধু কলকাতায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫৪১ জন মানুষ। সংক্রমণের তালিকায় কলকাতার পর রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার নাম। এখানে একদিনে ৫২৭ জনের করিনা আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়াও ২৪ ঘণ্টায় হুগলিতে ২০৯জন, পশ্চিম মেদিনীপুরে ২২০জন, হাওড়ায় ১৭২জন, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ১৮৪জন এবং নদিয়ায় ১৩৭জনের করোনা সংক্রমণের কথা জানা গেছে। ফলে রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাড়িয়েছে ২ লক্ষ ২ হাজার ৭০৮ জন। যদিও সরকারি সূত্রে জানা গেছে, এর মধ্যে বর্তমানে আশঙ্কাজনক কেসের সংখ্যা অনেকটাই কম রয়েছে। এরই সঙ্গে করোনা থেকে বাঁচতে লকডাউন, সোশ্যাল ডিসটেন্সিং মেনে চলার পাশাপাশি ট্রেসিং, ট্র্যাকিং ও টেস্টিংয়ের মাধ্যমে দ্রুত করোনা রোগীকে চিহ্নিত করার চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার। কারণ তাদের উদ্দেশ্য দ্রুত আক্রান্তদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা। তাই রোজই অল্প অল্প করে বাড়ছে টেস্টিংয়ের সংখ্যা। জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৭ হাজার ৩১৮টি স্যাম্পেল টেস্ট হয়েছে। ফলে রাজ্যে এখনও অবধি মোট নমুনা ২৪ লক্ষ ৭০ হাজার ৫৮টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে বলেই খবর পাওয়া গেছে। তবে রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়াল ২ লক্ষের গণ্ডি ছাড়িয়ে গেলেও ঊর্ধ্বমুখী সুস্থতার হারও এরই মধ্যে অনেকটা স্বস্তি দিচ্ছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আপনার মতামত জানান -