এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ২৪ এ বাংলা হবে বিজেপির, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দাবিতে দিশেহারা মমতা! আহ্লাদিত পদ্ম শিবির!

২৪ এ বাংলা হবে বিজেপির, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দাবিতে দিশেহারা মমতা! আহ্লাদিত পদ্ম শিবির!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- তৃনমূল বলছে, বাংলায় নাকি বিজেপির কোনো সংগঠন নেই।‌ তাই বাংলা তো বটেই, গোটা দেশেও নাকি তারা বিজেপিকে সরাতে সব চেষ্টা করবে। কিন্তু আঞ্চলিক দলের সর্বভারতীয় নেত্রীর এসব যে অলীক স্বপ্ন, সেটা তিনি নিজেও জানেন। বাংলায় যে চুরি, দুর্নীতি, জেলে যাওয়ার ঘটনায় তৃনমূলের নাম যুক্ত হচ্ছে, তাতে আগামী লোকসভায় বাংলায় সাফ হয়ে যেতে পারে ঘাসফুল শিবির। আর যে বিজেপিকে তারা আন্ডার এস্টিমেট করছে, সেই বিজেপি দিতে পারে বড়সড় চমক। এতদিন বঙ্গ বিজেপি কতটা মানুষের কাছাকাছি পৌছতে পেরেছে, তা নিয়ে সংশয় ছিল কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে। কিন্তু এখন আর সেই সংশয় নেই বললেই চলে। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব নিশ্চিত, তারা কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসলে তার মধ্যে বড় ক্রেডিট থাকবে পশ্চিমবঙ্গের। বাংলায় এসে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যে দাবি করলেন, তারপর মনে করা হচ্ছে, এবার তৃনমূলের পতন অবশ্যম্ভাবী।

প্রসঙ্গত, এদিন বাংলায় এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি। আর সেখানেই তিনি আগামী লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের কি ফলাফল হতে পারে, তা নিয়ে চমকে দেওয়ার মত আভাস দেন। তিনি বলেন, “বাংলা থেকে এবার বিজেপি এত আসন পাবে যে, বাংলার মানুষ কল্পনাও করতে পারবেন না।” অর্থাৎ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই বক্তব্যের মধ্যে দিয়েই স্পষ্ট যে, বিজেপি বাংলার ফলাফল নিয়ে যথেষ্ট আশা রাখছে। এই বাংলায় যেভাবে একের পর এক নেতা মন্ত্রী জেলে যাচ্ছে, তাতে মুখোশ খুলে যাচ্ছে সততার প্রতীকের। পুলিশ প্রশাসনকে দলদাসে পরিনত করে গনতন্ত্র হত্যার যে চেষ্টা বাংলায় হয়েছে, এবার তা শেষের মুখে। এতদিন পঞ্চায়েত, পৌরসভার মত স্থানীয় ভোটে মানুষকে ভোট দিতে দেওয়া হয়নি। তাই লোকসভায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর বেষ্টনীতে থেকে সাধারণ মানুষ ভোটাধিকার প্রয়োগ করলে তা তৃণমূলের বিপক্ষে যেতে বাধ্য বলেই দাবি একাংশের।

ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, তৃনমূলের শেষের শুরু হয়ে গিয়েছে। এই রাজ্যে গনতন্ত্র বলতে কিছু নেই। মানুষ দুর্নীতি, চুরি নিয়ে বিরক্ত। তাই আগামী ভোটেই এদের জবাব দেওয়া যাবে। বাংলার মানুষ মুখিয়ে আছে, বিজেপিকে সমর্থন করার জন্য। দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে, তখন পিছিয়ে যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ। তাই বাংলার অগ্রগতির জন্য লোকসভা ভোটে তৃণমূলের বিরুদ্ধে মানুষ ব্যাপক আসন বিজেপিকে দেবে বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ইতিমধ্যেই একাধিকবার পশ্চিমবঙ্গে এসে বৈঠক করেছেন। অমিত শাহ থেকে শুরু করে জেপি নাড্ডারা বাংলায় এসে বাংলার সংগঠন নিয়ে চর্চা করেছেন। নেতাদের বার্তা দিয়েছেন, লোকসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে। আর সেই মতই সব দিক থেকেই বিরোধী দল হিসেবে তৃণমূলকে নাস্তানাবুদ করছে বিজেপি। শুভেন্দু অধিকারী এবং সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে বঙ্গ বিজেপি ক্রমশ ঐক্যবদ্ধ হয়ে তৃণমূলকে বুঝিয়ে দিচ্ছে, তারা ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নয়। ফলে মানুষের মনে বিকল্প হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে বিজেপি। আর সেই খবর কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে রয়েছে। তাই সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এবং গণতন্ত্র যদি সুরক্ষিত থাকে, তাহলে পশ্চিমবঙ্গে এবার তৃণমূলের জামানার জব্দ হওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা। যে পরিমাণ আসন তারা পাবে, তাতে আগামী দিন এই রাজ্যে পালাবদল হতে বাধ্য। পতন হবে তোলামূল নামক ফ্যাসিস্ট সরকারের। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!