ফল খারাপ হওয়ায় শাসকদলের দুই সভাপতি সরানো নিয়ে শাসকদলের ঘুম ছুটিয়ে তোলপাড় বাঁকুড়া রাজ্য June 10, 2018 পঞ্চায়েত ভোটের ফলাফলে শাসকদল এগিয়ে থাকলেও তাঁদের বেশিকিছু জায়গায় টেক্কা দিয়েছে পদ্মশিবির। এরকম নজিরের দেখা মিলেছে পুরুলিয়া,বাঁকুড়া,জঙ্গলমহলের বেশ কিছু পঞ্চায়েত এলাকায়। সিপিএম, কংগ্রেসকে পেছনে ফেলে অধিকার করে নিয়েছে দ্বিতীয় স্থান। আর এটাই রাতের ঘুম কেড়েছে রাজ্যের তৃণমূল শিবিরের। তাই লোকসভা ভোটকে টার্গেট করে তৃণমূল কড়া পদক্ষেপ নিল এবার দলীয় অন্দরে। রাজনৈতিক সূত্রের খবর থেকে জানা গেছে, পুরুলিয়ার মতো বাঁকুড়াতেও শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নিল রাজ্যের শাসকদল। বাঁকুড়ার সিমলাপাল ব্লক সভাপতিকে হটিয়ে দিল তৃণমূল সরকার। তাঁর জায়গায় আনা হল রামানুজ সিংহ মহাপাত্র। এছাড়াও ইন্দপুর ব্লক সভাপতি অসিতকুমার লায়েককে সরিয়ে ওই জায়গায় আনা হল সৌমিত্র পতিকে। হঠাৎ করে পঞ্চায়েত ভোটের পরেই এই পরিবর্তন কেন করা হল তা নিয়ে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে দলীয় কর্মীদের ভিতর। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এ ব্যাপারে সাফাই দিয়ে শাসকদলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, পঞ্চায়েত ভোটে অস্বাভাবিকভাবে আসন পেয়েছে বিজেপি। বিজেপির এই উত্থান মেনে নেওয়া যাচ্ছে না এমনটাই তাঁদের দাবী। বাঁকুড়া জেলার ওই ব্লকগুলোতে বিশেষ করে সাংগঠনিক দক্ষতা দেখাতে অসমর্থ হয়েছেন ওই দুই সভাপতি। তাই তাঁদেরকে দায়িত্ব থেকে সরানো হল। সিমলাপাল ব্লক সভাপতি সনৎকুমার দাস দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছেন। তার ফলে পন্ড হয়েছে তাঁর দায়িত্বে থাকা কাজগুলো। তাই তাকে সরানো হল। আর অন্যদিকে অসিত বাবু দীর্ঘদিন ব্লক সভাপতির দায়িত্ব পালন করার জন্য সাংগঠনিক কাজে বদল আনতে তাকে ওই দায়িত্ব থেকে মুক্তি দেওয়া হল। এমনটাই জানানো হল জেলা নেতৃত্বের তরফ থেকে। তবে এ সাফাই তে সন্তুষ্ট নয় দলের কর্মীরা। তাঁদের দাবী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর কড়া নির্দেশেই এ কাজ হয়েছে। আর এর পিছনে মদত আছে যুবনেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়েরও। তবে এই বদল ঠিকভাবে মেনে নারাজ এলাকার তৃণমূলকর্মীর। সিমলাপাল ব্লক এলাকায় গোলযোগের খবর শোনা না গেলেও অশান্তি তুমুলে উঠেছে ইন্দপুর ব্লক এলাকায়। অসিতবাবুর সমর্থকরা তাকে ফিরিয়ে আনার দাবী নিয়ে বিক্ষোভে সামিল হলেন এদিন বাঁকুড়া জেলার তৃণমূলভবনের সামনে। হাতে পোস্টার নিয়ে শ্লোগান তুলে এদিন তাঁরা হাজির হলেন জেলা তৃণমূলভবনের সামনে। দাবী একটাই তাঁদের প্রিয় নেতা অসিতবরণ লায়েককে আবার পূর্বের পদ ফিরিয়ে দিতে হবে। বিক্ষুব্ধ তৃণমূল সমর্থকরা বলছেন যে ইন্দপুর ব্লক এলাকায় ভালো ফলাফল হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের এবং অসিতবাবুর সাংগঠনিক দক্ষতার কারণেই হয়েছে। তাই নতুন যাকে ব্লক সভাপতি করা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধেও তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে এলেন অসিতবাবুর ঘনিষ্ট সমর্থকরা। এই বিক্ষোভ কর্মসূচির জেরে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব ভারী সমস্যায় পড়লেন এদিন। তৃণমূলের বিরুদ্ধে তৃণমলের এই বিক্ষোভ আসলে তাঁদের দলীয় কোন্দলটাই প্রকাশ্যে আনলো আরো একবার। আর লোকসভা ভোটের আগে দলীয় ভাবমূর্তি রক্ষা পক্ষে খুব একটা ভালো কথা নয়। এ ব্যাপারে এক জেলা নেতৃত্ব জানান যে এ ব্যাপারে তাঁদের কিছু করার নেই। কারণ নির্দেশ এসেছে উপরমহল থেকে। আপতত বিক্ষোভ অব্যাহত এলাকায়। কবে তাঁরা বনিবনা করবেন তা নিয়ে কোনো খবর জানানো হয় জেলার শীর্ষ নেতৃত্বের তরফ থেকে। আপনার মতামত জানান -