প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  সম্প্রতি রাজ্যবাসীর মন পেতে শাসকদল তৃণমূল ঘোষণা করেছে দুয়ারে দুয়ারে সরকার কর্মসূচি। এর পাল্টা কর্মসূচি হিসেবে গৃহ সম্পর্ক কর্মসূচি শুরু করেছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। আজ এই কর্মসূচির সূচনায় বারাসাতে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়। যেখানে তিনি জানিয়েছেন যে, রাজ্যে ক্ষমতায় এলে রাজ্যের শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেবে বিজেপি। তিনি দাবি করেছেন যে, রাজ্যের মানুষ আর চাইছেন না, তৃণমূল সরকারকে। সেইসঙ্গে রাজ্যবাসি চাইছেন না সিন্ডিকেট রাজ। রাজ্য সরকারের প্রতি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি।

আজ থেকে শুরু হলো বিজেপির গৃহ সম্পর্ক কর্মসূচি। এই কর্মসূচির সূচনাকালে বারাসাত গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়। বারাসাতে তিনি জানিয়েছেন যে, বিজেপি নেতা কর্মীরা মানুষের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে কেন্দ্রীয় সরকারের উন্নয়নের কথা জানাবেন। আর সেই সঙ্গে সঙ্গেই সিএএর প্রসঙ্গ তুলেছেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তিনি জানিয়েছেন যে, রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় এলে শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেয়া হবে।

এর সঙ্গেই রাজ্য সরকারকে তীক্ষ্ণ ভাষায় কটাক্ষ করেছেন বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়। মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি তিনি অভিযোগ করেছেন যে, মুখ্যমন্ত্রী শুধুমাত্র প্রতিশ্রুতি দিয়ে থাকেন। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ অভিযোগ করেছিলেন যে, বাংলাদেশ থেকে জঙ্গী এনে এ রাজ্যে প্রবেশ করাচ্ছে শাসকদল তৃণমূল। তিনি অভিযোগ করেছিলেন যে, রোহিঙ্গাদেরও রাজ্যে প্রবেশ করাচ্ছে তৃণমূল। এরপর আজ সিএএ নিয়ে সরব হলেন কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়।

গতমাসে বঙ্গ সফর করে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এরাজ্যে এসে তিনি বিজেপি নেতাদের ২০০ টি আসনের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছেন। সামনেই আবার রাজ্য সফর করতে আসছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তার নেতৃত্বেই আগামী নির্বাচনে লড়াই করবে বিজেপি। তাঁর নির্দেশেই বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করতে চলেছে বিজেপি। অন্যদিকে রাজ্যে অনুপ্রবেশ ইস্যু নিয়ে বারবার সরব হয়েছে বিজেপি।

আবার, মতুয়াদের ভোট পেতে গত লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে ভোটের প্রচারে এসে ঠাকুরনগরে সভা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগেও মতুয়াদের কাছে টানতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে বিজেপি। একারণেই বঙ্গ সফরের সময় মতুয়া বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজন করেছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তারপর থেকে বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের নেতৃত্বে রাজ্যে সিএএ চালুর দাবি জানিয়ে মিছিল ও সভা করতে শুরু করেছেন মতুয়ারা।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন যে, সিএএর প্রচারের মাধ্যমে রাজ্যের মতুয়া ও শরণার্থীদের ভোট একত্রিত করে রাজ্যের শাসক দলকে মাত করে দিতে চাইছে বিজেপি। এজন্য কিছুদিন ধরেই সিএএ নিয়ে সরব হচ্ছেন বিজেপি নেতারা। সেইসঙ্গে সরব হচ্ছেন অনুপ্রবেশ ইস্যু নিয়ে। সিএএ নিয়ে প্রচার করে বাজিমাতের পরিকল্পনা আছে বিজেপির।