প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ত্রিপুরাতে তৃণমূলের রাজনৈতিক তৎপরতা বাড়তেই বারবার বিজেপির হাতে মারধর ও হেনস্থার সম্মুখীন হতে হচ্ছে তৃণমূলকে, এমন অভিযোগ বারবার উঠেছে। কয়েক মাস আগে জয়া দত্ত, সুদীপ রাহা, দেবাংশু ভট্টাচার্যর মত নেতা-নেত্রীকে হেনস্থা করা হয়েছিল বলে, তৃণমূলের অভিযোগ রয়েছে। সেই সময়ে ত্রিপুরা গিয়ে আক্রান্ত হয়েছিলেন খোদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, এমন অভিযোগও করেছে তৃণমূল।

এখানেই শেষ নয়, তৃণমূলের নেতাকর্মীদের বারবার মারধর ও হেনস্থা করা হচ্ছে ত্রিপুরাতে, এমন অভিযোগ করেছে তৃণমূল। সম্প্রতি ত্রিপুরাতে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুস্মিতা দেবের উপরে হেনস্থা, তৃণমূলের প্রচার গাড়ি ভাঙচুর, এমনকি তাঁকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছিল। সেদিন তৃণমূলের বেশকিছু কর্মীকেও মারধর করার অভিযোগ উঠেছিল। তৃণমূলের অভিযোগ ছিল, আক্রান্ত হওয়ার পর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে বাধা দিয়েছিল বিজেপি।

এবার বিজেপির বিরুদ্ধে বড়োসড়ো প্রতিরোধে নামল তৃণমূল। এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে তৃণমূল। সুপ্রিম কোর্টে ঘটনার তদন্তের দাবি করেছে তৃণমূল। দলের নেতা কর্মীদের নিরাপত্তা দেওয়ার দাবিও করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের কাছে আবেদন করে জানানো হয়েছে, তৃণমূলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় প্রাক্তন বিচারপতির নেতৃত্বে তদন্ত দল গঠন করা হোক। আর বিজেপির হাত থেকে তৃণমূল নেতাকর্মীদের বাঁচাতে, তাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা হোক।

তৃণমূলের এই পদক্ষেপকে প্রবল কটাক্ষ করেছে বিজেপি। এ প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন যে, আপনি আচরি ধর্ম, অপরে শিখাও। তিনি অভিযোগ করেছেন, পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির নেতা কর্মীরা তৃণমূলের হাতে আক্রান্ত হচ্ছেন। তাই তৃণমূলের মুখে এই সমস্ত কথা মানায় না। করোনা সংক্রমনের সময় তাঁকেও বের হতে দেয়া হয়নি। আদালতে গিয়ে তাঁকে অনুমতি নিতে হয়েছিল। তাই এখন তৃণমূল সুপ্রিম কোর্টে যাবে? না চাঁদে যাবে? সেটা তৃণমূলেরই ব্যাপার।