এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > বারবার তৃণমূলকে ভাঙতে গিয়েই কি মুখ পুড়েছে বিজেপির? কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বৈঠকে উঠে এলো একাধিক প্রশ্ন

বারবার তৃণমূলকে ভাঙতে গিয়েই কি মুখ পুড়েছে বিজেপির? কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বৈঠকে উঠে এলো একাধিক প্রশ্ন


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনের পূর্বে বিজেপি বারবার ভাঙন ধরাতে সক্ষম হয়েছিল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলে। তৃণমূলের বহু নেতা-কর্মী যোগদান করেছিলেন বিজেপিতে। তবে অভিযোগ উঠে, যারা বারবার বহু ঝড় সামলে দলকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন, তাদেরকেই পেছনে ঠেলে দিয়ে, দলে সদ্য আসা নেতাদের উপর অধিক গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। যার ফলে তৈরি হয়েছিল টানাপোড়েন। যার ফল ভোগ করতে হয়েছে বিজেপিকে। গতকাল দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বিশেষ বৈঠকে আবার উঠে এসেছে এই বিষয়টি।

বিধানসভা নির্বাচনে ২০০ টি আসনের লক্ষ্যমাত্রা রেখেও কেন মাত্র ৭৭ টি আসনে থমকে যেতে হয়েছে বিজেপিকে? সর্বশক্তি ব্যবহার করেও কেন আসেনি সাফল্য? এই বিষয়ে অনুসন্ধান করতে গতকাল দলের রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বৈঠক বসে। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতা অরবিন্দ মেনন, অমিত মালব্য, শিব প্রকাশ প্রমুখরা। একাধিক বিষয় এই বৈঠকে উঠে আসে।

বৈঠকে প্রশ্ন ওঠে, কোনরকম বাছ-বিচার না করেই কেন অন্য দল থেকে এভাবে লোক নেওয়া হয়েছে? সদ্য তৃণমূল থেকে বিজেপিতে আসা কিছু নেতাকে অতিরিক্ত গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। কিন্তু দলের আদি নেতাদের কেন নির্বাচনের দায়িত্ব দেয়া হয়নি? কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের দূরদর্শিতা নিয়েও নানা প্রশ্ন ওঠে। তবে গতকালের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

গতকাল সহ পর্যবেক্ষক অরবিন্দ মেননকে একাধিক প্রশ্ন করা হয়। প্রসঙ্গত, রাজ্য বিজেপির সংগঠন দেখাশোনার দায়িত্বে ছিলেন শিব প্রকাশ। আবার, রাজনৈতিক নীতি নির্ধারণ, প্রার্থী বাছাইয়ের দায়িত্বে ছিলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। গতকালের এই বৈঠক প্রসঙ্গে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন যে, কিছুটা পর্যালোচনা হয়েছে, আরো নিচস্তর পর্যন্ত পর্যালোচনা চলবে।

প্রসঙ্গত, বারবার যোগদান মেলা করে তৃণমূলের বহু নেতা-কর্মী-সমর্থককে যোগদান করানো হয়েছিল বিজেপিতে। অনেক ক্ষেত্রে অভিযোগ ওঠে, দলের আদি নেতাদের বসিয়ে রেখে নব্য নেতাদের অধিক গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। যার ফলে সে সময় থেকেই শুরু হয়েছিল দলে আদি-নব্যের দ্বন্দ্ব। যা এখন তীব্র হয়ে উঠেছে। এদিকে আজ কলকাতার একাধিক স্থানে কৈলাস বিজয়বর্গীয় বিরুদ্ধে পোস্টার পাওয়া গেছে।

একাধিক পোস্টারে গো ব্যাক লেখা রয়েছে। কোথাও বা তৃণমূলের সেটিং মাস্টার লেখা রয়েছে। হেস্টিংস এর নির্বাচনী কার্যালয়, বিমানবন্দরের কাছে বহু স্থানে এ ধরনের পোস্টার পাওয়া গেছে। কারা এই পোস্টার দিয়েছেন? তা অবশ্য এখনও জানা যায়নি। অনেকে মনে করছেন যে, পরাজয়ের পর কৈলাস বিজয়বর্গীয়র বিরুদ্ধে দলের বেশ কিছু নেতাকর্মীর তীব্র ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। এটি তার প্রতিফলন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!