রাজ্য রাজনীতিতে এই মুহূর্তে খবরের শিরোনামে থাকা অন্যতম জেলার নাম বীরভূম – আর তার সৌজন্যে তৃণমূল কংগ্রেসের দাপুটে জেলা সভাপতি অনুব্রত মন্ডল। পঞ্চায়েত নির্বাচনে ‘রাস্তায় উন্নয়ন দাঁড় করিয়ে’ বা ‘মশারির ব্যবস্থা’ করে গোটা জেলাকেই কার্যত তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে রেখেছিলেন তিনি। তবে, হাতে গোনা যে কয়েকটা জায়গায় নির্বাচন হয়েছিল – সেখানে কিন্তু পাপড়ি মেলেছিল পদ্ম শিবির।

কিন্তু, আবারো ‘উন্নয়ন মন্ত্রে’ বিজেপির সেই জয়ী প্রার্থীদের শাসকদলে শামিল করে নিয়েছিলেন তিনি। বীরভূম জেলার রামপুর পঞ্চায়েতের দুই সদস্য, সুলতা কোড়া এবং জপন মুখোপাধ্যায় বিজেপির টিকিটেই ভোটে জিতেছিলেন – কিন্তু দিন কয়েক আগে তাঁরা বীরভূমের বোলপুরে জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায় চৌধুরী হাত ধরে তৃণমূলে যোগদান করেছিলেন।

কিন্তু, এবার ৭ দিনও কাটল না – অনুব্রত মন্ডলের ‘উন্নয়ন মন্ত্র’ ভুলে তাঁরা আবার ফিরে এলেন গেরুয়া শিবিরে। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ত্বের হাত থেকে দলীয় পতাকা নিয়ে তাঁরা প্রত্যাবর্তন ঘটালেন গেরুয়া শিবিরে। আর দলে ফিরে এসেই তাঁদের উপলব্ধি, ভুল করে তৃণমূলে চলে গিয়েছিলাম! প্রসঙ্গত, এই দুই পঞ্চায়েত সদস্য ঘাসফুল শিবিরে যাওয়ায় – রামপুর পঞ্চায়েত দখল করে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস।

যদিও, তৃণমূল কংগ্রেসের স্থানীয় নেতৃত্ত্বের দাবি – ওই দুই পঞ্চায়েত সদস্য আদতে তৃণমূল কংগ্রেসেরই ছিলেন। দলীয় বিরোধের জেরে দল ছেড়ে বিজেপির টিকিটে জিতে পঞ্চায়েত সদস্য হন। কিন্তু, পরে ভুল বুঝতে পেরে তৃণমূলে ফেরত আসেন। তবে এখন বিজেপি নাকি ঝাড়খন্ড থেকে দুষ্কৃতী এনে ওই দুই সদস্যকে ভয় দেখিয়ে বিজেপিতে ফেরত নিয়ে গেছে! তাতে অবশ্য চিন্তার কিছু নেই – ওঁরা দুজন তৃণমূলে ছিলেন, আছেন ও থাকবেন!