এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বিজেপির স্ট্র্যাটেজি ‘ধার’ করে তৃণমূলকে জেতানোর প্রচেষ্টা? নতুন বিতর্কে টীম প্রশান্ত কিশোর

বিজেপির স্ট্র্যাটেজি ‘ধার’ করে তৃণমূলকে জেতানোর প্রচেষ্টা? নতুন বিতর্কে টীম প্রশান্ত কিশোর


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – যেমন বুনো ওল তেমনি বাঘা তেতুল। বিজেপিকে রুখতে তাদের অস্ত্রেই তাদের বধ করার নির্দেশ ভোটকুশলী পিকের। এ কারণেই বিজেপির চায়ে পে চর্চার অনুকরণে বাড়ি বাড়ি গিয়ে চা খাওয়ার কর্মসূচি নিল শাসকদল তৃণমূল। এই নতুন কর্মসূচিতে খাতা বগলে নিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে চা খাবেন তৃণমূল কর্মীরা। করবেন গল্প গুজব, শুনবেন তাদের অভাব অভিযোগ ও চাহিদা। সমস্ত কিছু লিখে রাখবেন সেই খাতায়, করবেন সমস্যার সমাধান। উত্তর ২৪ পরগনা জেলাতে শাসক দলের জনসংযোগ বাড়াতে এমনই নিদান দিলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। গত লোকসভা ভোটে উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় বেশ কিছু স্থানে আশানুরূপ ফল হয়নি তৃণমূলের। তাই এবারে ভোটের পূর্বেই আগাম প্রস্তুতি শুরু হলো।

প্ৰসঙ্গত গত ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার মোট পাঁচটি আসনের মধ্যে ব্যারাকপুর ও বনগাঁ আসনে জয়ী হয় বিজেপি। যা বিস্মিত করেছিল তৃণমূলকে। মতুয়াদের একটা প্রবল আস্থা ছিল মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি, কিন্তু লোকসভার ভোটে তাদেরকেও মুখ ফিরিয়ে নিতে দেখা গিয়েছিল। যা চিন্তায় ফেলে দেয় শাসকদল তৃণমূলকে। তাই জনসংযোগ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় তৃণমূল।

আবার, গত লোকসভা নির্বাচনে এই জেলার দুটি লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের হারের কারণ কারণ খুঁজতে গিয়ে নেতারা দেখেন যে, দলের গোষ্ঠী কোন্দল, মানুষের সঙ্গে কিছু নেতাকর্মীর খারাপ ব্যবহার, উদ্ধত আচরণ, মানুষের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল শাসকদল। তাই এবারে শাসকদলের জনসংযোগ বাড়াতে নির্বাচনের আগে বাড়ি বাড়ি গিয়ে চা পানের নির্দেশ দেওয়া হলো শাসক দলের কর্মী-সদস্যদের।

উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় আছে ৩৩ টি বিধানসভা কেন্দ্র। এই বিধানসভা কেন্দ্র গুলোতে শুরু হয়েছে তৃণমূলের কর্মী সম্মেলন। যে সম্মেলনগুলোতে উপস্থিত থাকছেন জেলা তৃণমূল সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, চেয়ারম্যান নির্মল ঘোষ, জেলার কো-অর্ডিনেটর পার্থ ভৌমিক, জেলা নেতা গোপাল শেঠ, নারায়ণ গোস্বামী, জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি দেবরাজ চক্রবর্তী প্রমুখরা।বেশকিছু স্থানে সম্মেলন ইতিমধ্যেই হয়ে গেছে, বাকিগুলোতেও এরমধ্যেই করা হবে। গতকাল বুধবার বনগাঁ দক্ষিণ কেন্দ্রের পাল্লায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল সম্মেলন। আগামী বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে দলের সদস্যদের বিভিন্ন রকম নির্দেশ দিয়েছেন দলের শীর্ষ নেতৃত্ব।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তৃণমূলের জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক দলের সদস্যদের নির্দেশ দিয়েছেন, ” কর্মীদের বলা হয়েছে, বুথে বাড়ি বাড়ি গিয়ে চা খেতে। মানুষের সঙ্গে গল্পগুজব করতে। তাঁদের অভাব-অভিযোগ, সমস্যার কথা শুনতে। একটি খাতায় সে সব কথা লিখে রাখতে হবে। পরে তা জেলা নেতৃত্বের কাছে পাঠিয়ে দিতে হবে।’’ এ প্রসঙ্গে তিনি আরও জানালেন যে, জেলার প্রতিটি বুথ স্তরে একজন করে কো-অর্ডিনেটরের নেতৃত্বে থাকবেন ১০ জন সদস্য। এই সদস্যরা বুথের প্রতিটি বাড়িতে সপ্তাহে দুদিন করে যাবেন। সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা তারা কতটা পাচ্ছেন? সে বিষয়ে খোঁজখবর নেবেন। সেইসঙ্গে তাদের অভাব অভিযোগও সমস্যার কথা শুনবেন। তাদের সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করবেন।

আবার, তৃণমূলের জেলা স্তরেও সংগঠনগত কিছু রদবদল করা হলো। নতুন করে কো-অর্ডিনেটর ৫ জনকে করা হয়েছে। একজন কো-অর্ডিনেটরকে কয়েকটি বিধানসভার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। দেবরাজ চক্রবর্তীকে জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি করা হলো, পদ থেকে অপসারিত করা হল নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিককে। তৃণমূল সূত্রের খবর, দলের বসে যাওয়া পুরোনো নেতাকর্মীদের দলে ফিরিরে আনার কাজ চলছে। সেই সঙ্গে সঙ্গেই বিভিন্ন স্থানে দলের মধ্যে থাকা অন্তর্দ্বন্দ্ব দূর করে দলকে ঐক্যবদ্ধ করার কাজও চলছে।

তবে, শাসকদলের এই বাড়ি বাড়ি গিয়ে চা খাওয়ার কর্মসূচি নিয়ে শাসকদলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। তাদের অভিযোগ, তাদের কর্মসূচিকেই নকল করছে তৃণমূল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!