এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > একে একে দল ছাড়ছেন সব ‘মহাতারকা’- বাংলার ভবিষ্যৎ নিয়ে মহা সমস্যায় বাম শরিক

একে একে দল ছাড়ছেন সব ‘মহাতারকা’- বাংলার ভবিষ্যৎ নিয়ে মহা সমস্যায় বাম শরিক


বামেদের সঙ্গে পাল্লা দিয়েই বাম শরিক ফরওয়ার্ড ব্লকের হেভিওয়েট নেতারাও একে একে তৃণমূলের টিকিট কাটছেন। সম্প্রতি ফব-এর এক কান্ডারী পরেশ অধিকারী তৃণমূলে যোগদান করলেন। রাজনৈতিক দীক্ষাগুরু কমল গুহ এর পুত্র উদয়ন গুহ’রই পদচিহ্ন অনুসরণ করলেন তিনি। দলীয় সংগঠন এমনিই পোক্ত নয় এখন,লোকসভা ভোটের আগে এভাবে জেলা সম্পাদকদের সারি বেঁধে দলত্যাগ করার জেরে কার্যত মাথায় হাত পড়েছে ফব-এর রাজ্য নেতৃত্বদের। তাদের ঘুরে দাঁড়ানোর ইচ্ছেটা বোধহয় মাঠেই মারা যাবে,এমনটাই আশঙ্কা। কাকে বসাবেন পরবর্তী জেলা সম্পাদকের কুর্সিতে? দলছাড়ার হিড়িক দেখে কাউকেই ভরসা করতে পারছে না রাজ্য নেতৃত্বরা। কোচবিহারে কার্যত দিশেহারা ফরওয়ার্ড ব্লক।

জানা গিয়েছে,কোচবিহারের পূর্ব ঘোষিত বৈঠক সম্পন্ন করেই যাবতীয় সিদ্ধান্তের কথা জানাবেন ফব’র রাজ্য নেতৃত্ব। প্রাক্তন বিধায়ক অক্ষয় ঠাকুরকে পরবর্তী জেলা সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হবে বলেও জল্পনা রয়েছে। কেন দল ছাড়লেন পরেশ অধিকারী? জবাব পাওয়া গেছে পরেশঘনিষ্টদের থেকে। অসমে নাগরিকপঞ্জী নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে প্রতিবাদ কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন, তাকে সমর্থন জানাতেই পরেশবাবু তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। তবে দলত্যাগের এই যুক্তির ভিত্তিতে পাল্টা প্রশ্ন তুলেছেন ফব’র রাজ্য সাধারণ সম্পাদক নরেন চট্টোপাধ্যায়। জানালেন,তৃণমূল নেতারা যখন আদর্শের কথা বলছেন তখন তাঁরাই কেন এমন দল ভাঙার খেলায় নামলেন? পদ গ্রহণের জন্য লালায়িত ছিলেন পরেশ অধিকারী। অসমের নাগরিকপঞ্জি নিয়ে যখন তিনি এতটাই উদ্বিগ্ন ছিলেন তখন কেন দলে থেকে লড়াই করলেন না? যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পালিয়ে গেলেন।

অন্যদিকে,দলের কেন্দ্রীয় সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য হাফিজ আলম সাইরানি বলেন, অসম ইস্যুতে তিনি চলে যাবেন এটা আগে বললেও মানা যেত। আসলে তিনি সরকারি পদ পাওয়ার লোভে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। দলের প্রতি তাঁর এই বিশ্বাসঘাতকতার বিচার মানুষই করবে বলে দাবী হাফিজের। অক্ষয় ঠাকুর জানান, নিজেই বৈঠক ডেকে পরেশবাবু পালিয়ে গেলেন। তাই পরবর্তী জেলা সম্পাদক আলোচনা করেই ঠিক করা হবে বলে জানালেন তিনি।  ফব’র তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে যে  আগের রাতেও নরেনবাবুর সঙ্গে পরেশবাবুর ফোনে কথা হয়েছিল। তখনও তিনি দলছাড়ার কোনো ইঙ্গিত দেননি।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

তবে রাজ্য পার্টি কিন্তু তাকে জেলা সম্পাদকের পদে না নেওয়ার জন্য সতর্ক করে দিয়েছিল। ১৫ আগষ্ট এই বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। পরেশবাবু মানব বন্ধনের ছুতো দিয়ে বৈঠকটি ১৮ আগষ্ট করার কথা জানিয়েছিলেন। আর বৈঠকের আগের দিনই প্ল্যানমাফিক তৃণমূলে ভীড়লেন তিনি। তাঁর দলত্যাগের জেরে কার্যত অন্ধকারে আপাতত জেলা ফরওয়ার্ড ব্লক কমিটি। জানা গিয়েছে,আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই  মেখলিগঞ্জে অনুষ্ঠান করে তৃণমূলের ঝান্ডা ধরিয়ে দেওয়া হবে পরেশবাবুর হাতে। পরেশবাবু অনুগামীরাও যদি একে একে দল ছাড়েন তাহলে কীরকম পরিস্থিতি হবে দলের? এ চিন্তায় রাতের ঘুম উড়েছে জেলা ফব নেতৃত্বদের। আপাতত এর জেরেই তীব্র চাপানউতোর রয়েছে দলীয় অন্দরে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!