এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > মহারাষ্ট্র – হরিয়ানাই ভরসা যোগাচ্ছে তৃণমূলের, বাংলায় মোদী ম্যাজিক গায়েবের আশায় শাসক শিবির

মহারাষ্ট্র – হরিয়ানাই ভরসা যোগাচ্ছে তৃণমূলের, বাংলায় মোদী ম্যাজিক গায়েবের আশায় শাসক শিবির


2014 সালের পর 2019 সালের লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদিকে শিখন্ডী করে গোটা ভারত জুড়ে গেরুয়া ঝড় তুলতে সক্ষম হয়েছিল বিজেপি। তবে তৃণমূল শাসিত বাংলায় বিজেপি দুই থেকে বাড়িয়ে তাদের আসনসংখ্যা কত করে তার দিকে নজর ছিল গোটা রাজনৈতিক মহলের।

আর রাজনৈতিক মহলের সেই কৌতুহলকে কিছুটা হলেও মান্যতা দিয়ে রাজ্যের 42 টি লোকসভা আসনের মধ্যে 18 টি লোকসভা আসন নিজেদের দখলে রেখে 22 টি আসন পাওয়া তৃণমূলের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলতে শুরু করে বিজেপি। আর বাংলায় বিজেপির এই অভূতপূর্ব ফলাফলের পরই আগামী 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে বাংলায় ক্ষমতা দখলই তাদের মূল টার্গেট বলে নিজেদের মন্তব্যে বারবার প্রকাশ করে দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় নেতৃত্বরা।

যার জেরে নিজেদের জনসংযোগকে আরও নতুন ভাবে কাজে লাগিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে যেতে শুরু করেছে তৃণমূল। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ব্যাপক সাফল্য পেলেও সদ্য সমাপ্ত হওয়া হরিয়ানা এবং মহারাষ্ট্র বিধানসভার উপনির্বাচনে বিজেপি ক্ষমতা দখল করলেও তাদের ফলাফল লোকসভা নির্বাচনের থেকে যে অত্যন্ত খারাপ হয়েছে, সেই ব্যাপারে একমত প্রায় সকলেই।

আর তাই এবার সেই মহারাষ্ট্র এবং হরিয়ানায় বিজেপির ফলাফল কিছুটা খারাপ হওয়ায় উজ্জীবিত হতে শুরু করল বাংলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই তারা এই দুই রাজ্যের ফলাফল তুলে ধরে নরেন্দ্র মোদীকেও যে পরাজিত করার যায়, সেই কথা তুলে ধরে প্রচার করতে শুরু করেছে। আর বাইরের রাজ্যে বিজেপির ফলাফলের কথা বাংলায় তুলে ধরে বাংলায় যে বিজেপির উত্থান ঘটছে, সেটাকে ফিকে করার চেষ্টা করছে ঘাসফুল শিবির বলে মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু এত সহজে শুধুমাত্র প্রচার করে কি তৃণমূল বাংলায় বিজেপির উত্থান রুখতে পারবে! কেননা বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, হরিয়ানা এবং মহারাষ্ট্রে এতদিন বিজেপি সরকার থাকায় সেখানে কিছুটা হলেও প্রতিষ্ঠানবিরোধী হাওয়া কাজ করেছিল। কিন্তু বাংলায় শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস রয়েছে। ফলে এখানে বিজেপি বিরোধী দল হওয়ায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ইস্যুকে কাজে লাগিয়ে তারা রাজ্যে পরিবর্তন আনার জন্য সাধারণ মানুষের অনেকটা কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। তাই তৃণমূল এই দাবি করলেও কাজের কাজ কিছুই হবে না। আদতে শেষ হাসি হাসবে গেরুয়া শিবির বলেই দাবি বিজেপির একাংশের।

তবে তৃণমূল কিন্তু হরিয়ানা এবং মহারাষ্ট্রের ফলাফলকে তুলে ধরে বিজেপির বিরুদ্ধে বাংলায় নিজেদের প্রচার তীব্র থেকে তীব্রতর করে তুলতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। ঘাসফুল শিবিরের দাবি, বাংলার মানুষের হৃদয়ে রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মোদিকে মুখ করতে চাওয়া আসলে বিজেপির দুর্বলতা।

বাংলায় বিজেপির কোনো মুখ নেই। তাই বিজেপি যতই চেষ্টা করুক, বাংলার মানুষ ওদের এখানে কোনো জায়গা দেবে না। কিন্তু তৃণমূলের তরফে দাবিই করা হোক না কেন, শেষ পর্যন্ত হরিয়ানা এবং মহারাষ্ট্র বিজেপিকে কিছুটা চাপে ফেললেও এবং সেই ফল নিয়ে তৃণমূল বাংলায় প্রচার চালিয়ে বিজেপির উত্থানকে রোখার চেষ্টা করলেও আদৌ ঘাসফুল শিবির পদ্মের বাড়বাড়ন্ত রুখতে পারে কিনা, এখন সেদিকেই তাকিয়ে গোটা রাজনৈতিক মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!