এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > ভক্তহীন কল্পতরু উৎসব পালিত কাশীপুর উদ্যান বাটিতে

ভক্তহীন কল্পতরু উৎসব পালিত কাশীপুর উদ্যান বাটিতে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – প্রতিবছর কল্পতরু উৎসব পালনের মধ্যে দিয়ে ইংরেজির বর্ষবরণের অভ্যস্ত বাঙালি। ফি বছর কল্পতরু উৎসব পালিত হয় কাশীপুর উদ্যানবাটীতে। যে উৎসবের ঐতিহ্য শতবর্ষের গন্ডি অতিক্রম করেছে। ১৮৮৬ সালে কল্পতরু হয়েছিলেন শ্রীরামকৃষ্ণ। এরপর থেকে পালিত হচ্ছে এই বিশেষ উৎসব। যার ছেদ পড়েনি কোনদিন। এবছরেরও উৎসব পালিত হচ্ছে । তবে, করোনা সংক্রমণের কারণে আজ আর দেখা যাচ্ছে না ভক্তদের চিরচেনা ভিড়।

সাধারণত, ইংরেজি নববর্ষের সূচনার দিনে কল্পতরু উৎসব উপলক্ষে বহু ভক্ত পূজা দিতে আসেন দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে, কাশীপুর উদ্যানবাটীতে। কিন্তু করোনা সংক্রমনের কারণে এবার উপস্থিতি চোখে পড়ছেনা ভক্তবৃন্দদের। তবে, কাশীপুর উদ্যানবাটীতে প্রতি বছরের মতো, এ বছরেও ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালনে কোন ছেদ পড়েনি। সকাল থেকেই শুরু হয়েছে পূজার্চনা ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান। শুরু হয়েছে ভক্তিগীতি । সমস্ত অনুষ্ঠান উদ্যানবাটীর ওয়েবসাইটে প্রচার করা হচ্ছে।

নিয়ম মেনেই কল্পতরু উৎসব শুরু হয়েছে কাশীপুর উদ্যানবাটীতে। সকালে মঙ্গলারতি হয়েছিল, এখন ভক্তিগীতির অনুষ্ঠান চলছে। আজ সারাদিন ধরেই পূজার্চনা চলবে। তবে অনুষ্ঠানে নেই কোন ভক্তবৃন্দ, আছেন শুধু উদ্যানবাটীর কর্তৃপক্ষ। উদ্যানবাটির দোতালার যে ঘরে শ্রীরামকৃষ্ণ থাকতেন, সেখানে সকালে মঙ্গলারতি হয়েছে, এখন চলছে সেখানে বিশেষ পুজো। আজ সারাদিন ধরে হোম যজ্ঞ, আরতী, ভোগ চলবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

উদ্যানবাটীর নিচের ঘরে ধর্মীয় অনুষ্ঠান চলছে। সেখান থেকে কথামৃত পাঠ ও অন্যান্য ধর্মীয় অনুষ্ঠান চলবে সারাদিন ধরে। চলবে ধর্মীয় প্রবচন। করোনা সংক্রমণের কারণে উদ্যানবাটীতে ভক্তদের আগমনের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। প্রসঙ্গত, ১৮৮৬ সালের এই ১ লা জানুয়ারির দিনেই পরম পুরুষ শ্রীরামকৃষ্ণ দেব কল্পতরু হয়েছিলেন।

সেদিন দীর্ঘ সময় ধরে অসুস্থ থাকা শ্রীরামকৃষ্ণ দোতলার ঘর থেকে নিচে নেমে ছিলেন। উদ্যানবাটীর এক বৃক্ষতলে সেদিন তিনি আসন গ্রহণ করেছিলেন। শ্রী রামকৃষ্ণ সেদিন ভক্তদের উদ্দেশ্যে জানিয়েছিলেন, ” তোদের চৈতন্য হোক। ” ঠাকুর সেদিন আশীর্বাদ করেছিলেন তাঁর শিষ্য ও ভক্তদের। সেই সঙ্গে সাধারণ গৃহী মানুষদেরও তিনি বিশেষ রূপে আশীর্বাদ করেছিলেন সেদিন।

তারপর থেকেই আজকের দিনটি কল্পতরু উৎসব হিসেবে প্রতি বছর পালিত হয়ে আসছে। বাঙালির ঐতিহ্যর সঙ্গে জড়িয়ে গেছে কল্পতরু উৎসব। তবে, এই বছরের মতো কল্পতরু উৎসব আজ পর্যন্ত দেখা যায়নি। করোনার কারণে গত বছর বহু অনুষ্ঠান বাতিল হয়েছিল। নমো নমো করে অনুষ্ঠিত হয়েছিল দুর্গোৎসব, শ্যামা পূজা। যার ছায়া দেখা যাচ্ছে আজকের কল্পতরু উৎসবেও।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!