এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > সুর নরম শুভেন্দুর, ঢোঁক গিলে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গেলেন এই হেভিওয়েট সাংসদ! জল্পনা শুরু তৃণমূলেই

সুর নরম শুভেন্দুর, ঢোঁক গিলে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গেলেন এই হেভিওয়েট সাংসদ! জল্পনা শুরু তৃণমূলেই


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব ইতিমধ্যেই নজর কেড়েছে সমস্ত রাজনৈতিক দলের। সেই সঙ্গে তিনি তৃণমূলে থাকবেন নাকি দল ছাড়বেন সেই নিয়েও প্রবল জল্পনা সৃষ্টি হয়েছিল। অন্যদিকে কিছুদিন আগে সৌগত রায় এবং সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর সঙ্গে কথা বলে তাঁকে দলে রাখার চেষ্টা করছেন বলেও জানা গিয়েছিল।

কিন্তু এরই মধ্যে দলের অন্যান্য ব্যক্তিত্বদের তাঁকে নিয়ে কটাক্ষ দেখে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন অনেক বিশেষজ্ঞই। কিন্তু এদের মধ্যেই কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কেও শুভেন্দু অধিকারী সম্পর্কে কটাক্ষ করতে দেখা গিয়েছিল। কুকথা এবং দলের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহারের জন্য তাঁকে অনেকেই আলাদা করে চেনেন বলেও শোনা গিয়েছিল।

তবে কিছুদিন আগে নাম না করে তিনি শুভেন্দু অধিকারীকে কটাক্ষ করে বলেন যে, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নামে গাছের তলায় বড় হয়েছিস। ৪টে মন্ত্রিত্ব পেয়েছিস, ৪ খানা চেয়ারে আছিস। কত পেট্রোল পাম্প করেছিস! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় না থাকলে মিউনিসিপ্যালিটিতে আলু বিক্রি করতিস রে, আলু বিক্রি করতিস।” বস্তুত, এরপর একজন মন্ত্রীকে জনসমক্ষে কি বলতে হয় সেটা তাঁর আদৌ জানা আছে কিনা সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলতে দেখা গিয়েছিল অনেক বিশেষজ্ঞদের।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে বৃহস্পতিবার সমবায় সমাবেশ থেকে পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী যখন বলেন যে “আমি এখনও একটা দলের প্রাথমিক সদস্য। মন্ত্রিসভার সদস্য। মুখ্যমন্ত্রী আমায় তাড়াননি আমিও ছাড়িনি।” আর এই কথার পরেই একেবারে ভোল পাল্টে ফেলতে দেখা গেল তাঁকে। এই কথার পর কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমি খুব খুশি। ওঁর প্রতিটা কথাকে স্বাগত জানাচ্ছি”।

সেইসঙ্গে তিনি জানান, “শিশির অধিকারী পিতৃস্থানীয়। শ্রদ্ধা করি। তাঁর পরিবারের প্রত্যেকের প্রতি ভালবাসা আছে। শুভেন্দুর প্রতিও আমার কেন সবার ভালোবাসা রয়েছে।” শুধু তাই নয়, তিনি আরও বলেন যে, “আমি ঢাক বাজাই না, বুকও বাজাই না সিঙ্গুর নন্দীগ্রামে আমারও কিছু ভূমিকা রয়েছে। আজকে শুভেন্দু যা বলেছেন, দলের জন্য ভালো। সবাই মিলে বিজেপিকে হঠাতে হবে।”

তবে এখানে অনেক বিশেষজ্ঞদের মতে অন্য আশঙ্কার কথা উঠে এসেছে। বস্তুত, যেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায় শুভেন্দু অধিকারীকে দলে রাখার জন্য আলোচনা সভা ডাকা হচ্ছিল, সেখানে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা সেখানে উল্টো প্রতিক্রিয়া দেবে বলেই মনে করা হচ্ছিল। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারীর কথার পর তিনি যা বললেন, তাতে আদৌ শুভেন্দু দলে থাকলে কাকে বাজারে দেখা যাবে, সেই নিয়ে জল্পনা শুরু করেছেন অনেক কূটনৈতিক।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!