প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বাংলা জুড়ে যখন দলবদলের ধাক্কায় তৃণমূল শিবিরকে প্রায় কোণঠাসা করে দিয়েছে বলে দাবি গেরুয়া শিবিরের। ঠিক সেইসময় নীচুতলায় দলবদলের জেরে আস্ত একটি পঞ্চায়েত হারিয়ে গেল গেরুয়া শিবিরের হাত থেকে। যার ফলস্বরূপ বিধানসভা নির্বাচনের আগে ইতিমধ্যেই পাল্টা ধাক্কা খেলো গেরুয়া শিবির। সূত্রের খবর, নদীয়ার নবদ্বীপে দলবদলের ফলে রাতারাতি পঞ্চায়েতে তৃণমূল হয়ে গেল সংখ্যাগরিষ্ঠ এবং পঞ্চায়েত হাতছাড়া হয়ে গেলো গেরুয়া শিবিরের। এই নিয়ে দুই শিবিরের চলছে এখন জোরদার তরজা।

জানা গেছে, শুক্রবার বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন নবদ্বীপের জোয়ানিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তন্দ্রা বিশ্বাস এবং পঞ্চায়েত সদস্য শ্যাম সর্দার। এই দুজন সদস্য বিজেপি ছাড়ার সাথে সাথেই তৃণমূল হয়ে গেল সংখ্যাগরিষ্ঠ এবং পঞ্চায়েতের হাতবদল একপ্রকার নিশ্চিত হয়ে গেল। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভোটের মুখে পঞ্চায়েত দখল নিশ্চিতভাবে গেরুয়া শিবিরকে জোরদার ধাক্কা দিল তৃণমূল। জোয়ানিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান তৃণমূলে যোগদান করে জানিয়েছেন, রাজ্যে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের শরিক হতে তাঁরা তৃণমূলে এসেছেন।

অন্যদিকে গেরুয়া শিবির অভিযোগ করেছে, তৃণমূল প্রলোভন দেখিয়ে পঞ্চায়েত প্রধান সহ দুই সদস্যকে ভাগিয়ে নিয়ে গেছে। নবদ্বীপের এই জোয়ানিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের 16 টি আসনের মধ্যে বিজেপি পঞ্চায়েত ভোটে পেয়েছিল নটি আসন। এবং তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে গিয়েছিল সাতটি আসন। এখন বিজেপি দুটি আসন হারালো। যথারীতি তৃণমূলের সদস্য সংখ্যা হয়ে গিয়ে দাঁড়ালো নয় এবং বিজেপির সদস্য সংখ্যা কমে দাঁড়ালো 7। আর এর ফলে সংখ্যাতত্ত্বের বিচারে তৃণমূলের হাতে উঠে এলো ক্ষমতা।

বিশেষজ্ঞদের মতে, চারিদিকে যখন তৃণমূলের ভাঙনের খবর উঠে আসছে, সে সময় পঞ্চায়েত দখলের মতো গুরুত্বপূর্ণ জয় স্বাভাবিকভাবেই তাঁদের মনোবল বাড়াবে। তবে এই ঘটনা গেরুয়া শিবিরকে যে চাপের মুখে ফেলল, তা এককথায় বলা যায়। বিশেষত রাজ্যজুড়ে যখন একের পর এক কেন্দ্রীয় নেতা মন্ত্রী এসে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু সেই প্রচারে কোথাও-না-কোথাও ফাঁক থেকে যাচ্ছে বলেই মনে করা হচ্ছে। আপাতত একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল যে গেরুয়া শিবিরকে পিছনে ফেলে একধাপ এগিয়ে গেল তা বলা যায়।