কোন সমীকরণে বিজেপির দরজা খুলল ভারতী ঘোষের জন্য? বিশেষ খবর রাজ্য February 12, 2018 সবং উপনির্বাচনের পর ভারতী ঘোষ নিজের পদ থেকে ইস্তফা দেওয়া ইস্তক তাঁকে নিয়ে জল্পনার ঢেউ বয়ে যাচ্ছে রাজ্য-রাজনীতিতে। সবথেকে বড় কথা যেহেতু তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ছিলেন, তাহলে তিনি কি এবার বিজেপিতে যোগ দেবেন – এই প্রশ্নই ঘুরপাক খেতে থাকে রাজনৈতিক মহলে। একবার তো এরকমও রটে যায় যে ভারতীদেবী বিজেপিতে যোগদান করতে চেয়ে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের কাছে আবেদন করেছেন, এমনকি আলাদা ভাবে সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া নেতা মুকুল রায়কেও চিঠি লিখেছেন। যদিও সেই গুজব উড়িয়ে দিলীপবাবু স্পষ্ট জানিয়ে দেন, পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার থাকার সময় ভারতীদেবী তাঁকে অন্যান্য বিজেপি কর্মীদের যেভাবে ঝামেলায় ফেলেছেন তাতে করে তাঁর বিজেপিতে যোগদানের কোনো জায়গায় নেই। কিন্তু আজ সেই দিলীপবাবুই একপ্রকার ভারতীদেবীর জন্য বিজেপির দরজা খুলে দিলেন। ফলে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে কোন সমীকরণে বিজেপির দরজা খুলল ভারতীদেবীর জন্য? রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের ধারণা লাভ-ক্ষতির অঙ্ক কষতেই এই দেরী, যেমন হয়েছিল মুকুল রায়ের তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার সময়। লাভ-ক্ষতির দোদুল্যমানতায় ভুগছিল বিজেপি, একদিকে ছিল বিগত জীবনের ‘কলঙ্কের দাগ’ অন্যদিকে ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের হাঁড়ির খবর। আর মুকুলবাবুর মতো ভারতী ঘোষের ক্ষেত্রেই ক্ষতির থেকে লাভের অঙ্কটা অনেকটা বেশি। কেননা দুজনের ক্ষেত্রেই যে sab অভিযোগ atite উঠেছে তা এখনো প্রমাণিত নয়, অন্যদিকে প্রমাণিত হলেও তখন তাঁরা বিজেপির সংশ্রবে ছিলেন না, সুতরাং তার দায় বিজেপির হতে পারে না। অন্যদিকে দুজনের হাতেই রয়েছে ‘নথি সহ তথ্য’ যা সামনে এলে শাসকদলকে বিব্রত হতে হবে। যার নাজির কিছুদিন আগেই দেখেছে রাজ্যবাসী বিশ্ববাংলা লোগো বিতর্ক নিয়ে। তার থেকেও বড় কথা মুকুল রায় বা ভারতী ঘোষ দুজনের সঙ্গেই বিজেপি ‘ব্যবহার করে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়ার’ মত অভিযোগ আনতে পারবে, যা শাসকদলের ভাঙন ধরাতে সাহায্য করতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। সুতরাং মুকুল রায়ের মত ঠান্ডা মাথার লোককে ঘরে নেওয়ার পর এবার ভারতীদেবীকে নিয়ে জোড়া ফলার আক্রমনে যাওয়ার প্রস্তুতি শাসকদলকে বেকায়দায় ফেলার মোক্ষম চাল হতে পারে বলে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের আশা। এখন তাঁদের আশা কতটা ফলপ্রসূ হয় বা ভারতী ঘোষ সত্যিই দিলীপবাবুর ডাকে সাড়া দিয়ে গেরুয়া শিবিরে যান কিনা সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল। আপনার মতামত জানান -