এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > বিধানসভার আগে গেরুয়া শিবিরে তীব্র ডামাডোল? এই হেভিওয়েট নেতার সঙ্গে দূরত্ব বাড়াচ্ছে বিজেপি?

বিধানসভার আগে গেরুয়া শিবিরে তীব্র ডামাডোল? এই হেভিওয়েট নেতার সঙ্গে দূরত্ব বাড়াচ্ছে বিজেপি?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – শুরু হতে চলেছে বিহার বিধানসভার প্রথম দফার নির্বাচন। কিন্তু তার আগেই গুঞ্জন শুরু হয়েছে বিহারের গেরুয়া শিবিরকে ঘিরে। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মত, বিহার বিধানসভায় কিন্তু ক্রমশ বিজেপি এবং তাঁর শরিক দল জেডিইউ-এর দূরত্ব বেড়েই চলেছে। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি নীতিশ কুমার এবার হয়ে পড়ছেন কোণঠাসা? বিহার বিধানসভা নির্বাচনের আগে গেরুয়া শিবির থেকে বহু নেতা বিহারে প্রচার চালালেও কারোর পাশেই নীতিশ কুমারকে দেখা যায়নি, সামান্য সংখ্যক কয়েকজন নেতা ছাড়া। আর তা থেকেই তীব্র হয়েছে রাজনৈতিক মহলে সমালোচনার ঝড়।

বিহার বিধানসভা নির্বাচনের ক্ষেত্রে জোট তৈরি হলেও বিজেপি এবং জেডিইউয়ের মধ্যে দূরত্ব যে চলে এসেছে তা স্পষ্ট হয়েছে প্রধানমন্ত্রী এবং বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর আলাদা আলাদা প্রকাশিত বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে। এছাড়াও নির্বাচনী জনসভায় বহু জায়গায় গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে কিন্তু জেডিইউ-এর নীতিশ কুমারের নাম বলা হচ্ছেনা। তা নিয়েও শুরু হয়েছে জলঘোলা। যদিও বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদী ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, বিহারের সবচেয়ে সফল মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার। উন্নয়নের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী এবং বিহারের মুখ্যমন্ত্রী একে অপরের পরিপূরক হিসাবে 2020 বিহার বিধানসভা নির্বাচনে সংযুক্ত জনতা দল এবং বিজেপি একজোটে লড়াইয়ে নেমেছে।

কিন্তু সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ঘটনা এবারের বিহার বিধানসভা নির্বাচনের ক্ষেত্রে যেটি হল, এনডিএর অংশ থেকেও নীতিশ কুমারের বিরোধিতা করে আলাদাভাবে ভোটে লড়ছে চিরাগ পাসোয়ানের দল এলজেপি। এর ফলে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা কিন্তু প্রথম থেকেই এনডিএ নিয়ে সমালোচনা চালাচ্ছেন। তবে সাম্প্রতিক কিছু ঘটনা সামনে আসায় সেই সমালোচনা আরো গতি পেয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তার মধ্যে এক হলো প্রধানমন্ত্রী এবং নীতিশ কুমারের আলাদা আলাদা বিজ্ঞাপন প্রকাশ। একটি বিজ্ঞাপনেও দুজনের একসাথে ছবি নেই। বিজেপির বিজ্ঞাপনে নীতিশ কুমারের প্রতিশ্রুতির কোনরকম উল্লেখ না থাকা এবং প্রধানমন্ত্রী প্রচারসভায় বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের নাম না করা।

এছাড়াও বিহারে বিজেপির পক্ষ থেকে একের পর এক হেভিওয়েট নেতা প্রচারে আসলেও জেডিইউ এর সঙ্গে তাঁদের একজনকেও একসঙ্গে কোন সভায় দেখা যায়নি। নীতিশের সঙ্গে সভায় এসেছেন শুধুমাত্র বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদি এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। অন্যদিকে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের কোন রকম প্রতিশ্রুতি সেখানে বিজ্ঞাপন হিসেবে না বেরোলেও বরং কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিহারের সবার জন্য বিনামূল্যে ভ্যাকসিন এবং 19 লক্ষ চাকরির প্রতিশ্রুতি সামনে এসেছে। একইভাবে নীতিশের বিজ্ঞাপন, পোস্টার, ব্যানার দেখা গেলেও সেখানেও আবার প্রধানমন্ত্রীর কোন ছবি নেই।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এ ব্যাপারে বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার বিজ্ঞাপনসহ কোনোকিছুতেই তিনি নিজে কারোর সাথেই ছবি শেয়ার করতে চাননি। এবারের বিহার বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারের সমস্ত ক্ষেত্রেই নীতিশ কুমারের নাম আসছে একেবারে শেষে। বরং বিজেপি ভোট চাইছে কেন্দ্রের উন্নয়নের খতিয়ানকে সামনে রেখে। সেক্ষেত্রে শোনা যাচ্ছে, ভেতরের খবর হলো বিহারের অধিকাংশ মানুষ নীতিশ কুমারের ওপর চূড়ান্ত বিরক্ত। তাঁর ভাবমূর্তি স্বচ্ছ থাকলেও তিনি একাধিক প্রতিশ্রুতি পালন করেননি। উপরন্তু পরিযায়ী শ্রমিক ইস্যুতে তাঁর ভূমিকা এবারের বিধানসভা নির্বাচনে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

অন্যদিকে বিহারে মোদী ম্যাজিক কিন্তু এখনও যথেষ্ট সক্রিয় বলে দাবি করা হচ্ছে বিজেপির পক্ষ থেকে। বিহারের পরিযায়ী শ্রমিকদের পাশেও কেন্দ্র দাঁড়িয়েছে আর সে ক্ষেত্রে বিজেপি জেডিইউকে সাথে না নিয়েও লড়াইতে নেমে পড়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে জেডিইউ এবং বিজেপি এই দুই দলকেই তীব্র কটাক্ষ করেছে বিরোধী দল আরজেডি এবং এলজেপি। আরজেডির দাবি, নিজেদের বিজ্ঞাপনে নীতিশ কুমারকে না রেখে বিজেপি প্রমাণ করে দিয়েছে, নীতিশ আদৌ জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী নন। সে ক্ষেত্রে বিহার কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীর জন্যই ভোট দেবে, প্রধানমন্ত্রীর জন্য নয়। একইভাবে এলজেপি নীতিশ কুমারকে কটাক্ষ করে মন্তব্য করেছে, নীতিশ কুমারকে মুখ্যমন্ত্রী প্রার্থী করার জন্য বিজেপির কাছে কৃতজ্ঞ থাকা উচিত।

আর তার মাঝেই রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদি জানিয়েছেন, নীতিশ কুমার বিহারে যেভাবে উন্নয়ন করেছেন, তা অন্য কেউ করতে পারত না। তবে উপ মুখ্যমন্ত্রীর দাবি যে এবারের বিহার বিধানসভা নির্বাচনে কতটা কাজ করবে, তা নিয়ে থেকে যাচ্ছে সন্দেহ। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে, দীর্ঘদিনের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন নীতিশ কুমার কিন্তু বর্তমানে তাঁর ক্যারিশমা হারিয়েছেন। আর তা বোঝা যাচ্ছে ক্রমাগত শরিক দলের সঙ্গে তাঁর বাড়তে থাকা দূরত্ব। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, একথা স্পষ্ট বিধানসভা নির্বাচনের প্রাকমুহুর্তে গেরুয়া শিবিরের ডামাডোল কিন্তু ক্রমশ প্রকট হয়ে উঠেছে। সে ক্ষেত্রে বিহারের মানুষ এবার কোন দিকে যায়, সেটাই দেখার।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!