এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > বিধানসভায় তৃণমূল-বিজেপির ঘুম একযোগে ওড়াতে বাম-কংগ্রেস শিবিরে বড়সড় পদক্ষেপ, মিলল বড়সড় অনুমতি?

বিধানসভায় তৃণমূল-বিজেপির ঘুম একযোগে ওড়াতে বাম-কংগ্রেস শিবিরে বড়সড় পদক্ষেপ, মিলল বড়সড় অনুমতি?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বেশ কয়েক বছর ধরে পশ্চিমবঙ্গের কংগ্রেস এবং সিপিএম জোটবদ্ধভাবে লড়াই চালাচ্ছে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের ক্ষেত্রে। বাম-কংগ্রেস একজোটে ময়দানে নামতে চলেছে বলে দীর্ঘদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল। কিন্তু এবার দক্ষিণের বাম নেতারাও সবুজ সংকেত দিল বঙ্গের বাম-কংগ্রেস জোটকে। আর তাই মনে করা হচ্ছে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে এবার তৃণমূল বিজেপিকে একযোগে কোণঠাসা করতে উদ্যত হচ্ছে রাজ্যের বাম-কংগ্রেস শিবির। কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করতে চেয়ে দক্ষিণের বাম নেতাদের অনুমতির প্রয়োজন ছিল। কারণ, কেরালায় কংগ্রেস হল বামেদের শত্রুপক্ষ।

সেক্ষেত্রে বাংলায় যদি বাম কংগ্রেসের সন্ধি হয়, তাহলে দক্ষিণের মানুষের ওপর কিরম প্রভাব পড়বে তা নিয়ে আলোচনা চলছিল। তবে জানা গিয়েছে, কেরালায় বাম নেতৃত্বাধীন এলডিএফ লড়াই করতে চলেছে কংগ্রেস এবং বিজেপির বিরুদ্ধে। তামিলনাড়ুতেও ডিএমকে স্ট্যালিনের পাশে থাকবে বাম শিবির। এবং অসম ও বাংলায় বিজেপি ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে একজোট হচ্ছে কংগ্রেস ও বাম শিবির। 2021 এ হতে চলেছে দেশের চারটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। সেই অনুযায়ী সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটি গত দু’দিন ধরে আলোচনায় বসেছিল। শেষমেশ বাংলার বাম শিবির 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের নিরিখে কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের ওপর শিলমোহর আদায় করল বলে মনে করা হচ্ছে।

অন্যদিকে প্রশ্ন ওঠে, কংগ্রেস এবং বামেদের মুখোমুখি যুদ্ধের ক্ষেত্রে কেরলের মানুষরা কি রকম প্রতিক্রিয়া জানাবেন? তবে সে বিষয়টি পার্টির সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি কেরলের মানুষের রাজনৈতিক সচেতনতার উপর ছেড়েছেন। তাঁর ব্যাখ্যা, 2004 সালেও কেন্দ্রে বামেরা কংগ্রেসের সমর্থনের কথা আগেই জানিয়েছিল। তখনও কেরালার মানুষেরা বামেদের ওপর ভরসা রেখে 28 জন সাংসদ নির্বাচিত করেছিল। এবারেও বিজেপিকে ঠেকাতে কেরালার আমজনতা বাম শিবিরের উপর ভরসা রাখবে বলে মনে করছেন তিনি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে এবারের ভোটে বামেরা মূলত দেশের বেকারত্ব, কৃষক ও শ্রমিকদের ওপর কেন্দ্রীয় সরকারের আক্রমণ এবং মূল্যবৃদ্ধিকে সামনে রেখে লড়াইতে নামতে চলেছে বলে জানিয়েছেন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক। অন্যদিকে জানা গেছে, সংখ্যালঘু মানুষের কথা চিন্তা করে ভোটের আগে দেশজুড়ে সংখ্যালঘু সপ্তাহ পালন করতে চলেছে সিপিএম। এবং একই সাথে দেশজুড়ে সব রাজ্যে বিনামূল্যে যাতে করোনার ভ্যাকসিন দেওয়া হয়, সেই দাবিও তুলেছে বাম শিবির। অন্যদিকে আগামী 26 তারিখ দেশজুড়ে সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বামপন্থী কেন্দ্রীয় ইউনিয়নগুলি। ধর্মঘটের সমর্থনে আগামী তিন তারিখ থেকে রাজ্যজুড়ে প্রচার কর্মসূচী চলবে বলে জানা গেছে।

3 থেকে 6 নভেম্বর রাজ্যের জেলায় জেলায় প্রচার চালানো হবে। এ প্রসঙ্গে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু জানিয়েছেন, কলকাতার ব্র্যাবোর্ন কলেজ থেকে লেনিন মূর্তি পর্যন্ত মিছিল করবে বামেরা। বিশেষজ্ঞদের মতে, রাজ্য রাজনীতিতে 2011 সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই কোণঠাসা হয়ে পড়েছে বাম শিবির। যতদিন গেছে বামেদের পিছিয়ে পড়া ক্রমশ অব্যাহত থেকেছে। কিন্তু এবার সামনে আসছে 2021 এর বিধানসভা নির্বাচন। আর সেদিকে নজর দিয়ে আরও একবার ঘুরে দাঁড়াতে প্রস্তুত রাজ্যের বাম শিবির। আর তাই তৃণমূল বিজেপির ঘুম ওড়াতে বাম-কংগ্রেস শিবিরের সন্ধি হল বলে মনে করা হচ্ছে। আপাতত নজর থাকবে 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে বাম কংগ্রেস জোট ভোটবাক্সে কতটা ছাপ ফেলতে পারে!

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!