প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সদ্য সমাপ্ত হলো বিহারের প্রথম দফার নির্বাচন। আগামী ৩ রা নভেম্বর থেকে বিহারের দ্বিতীয় দফায় নির্বাচন শুরু হতে চলেছে। বিহারে দ্বিতীয় দফার নির্বাচনের প্রচারের আজই শেষ দিন। কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে নির্বাচনের প্রচারকালে গত শুক্রবার থেকে খোঁজ মিলছে না রাহুল গান্ধীর। আজ যেখানে বিহারের চার-চারটি জনসভা করতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ছুটি কাটাতে গেছেন শিমলায়। বিহারের ভোটের প্রচার কালে প্রচার কার্য থেকে হঠাৎ বিরতি নিয়ে তিনি শিমলায় ছুটি কাটাতে গেছেন। এ কারণে দ্বিতীয় দফার ভোট প্রচারে অংশগ্রহণ করছেন না তিনি। যা নিয়ে তাঁর প্রতি যথেষ্ট ব্যঙ্গ ও কটাক্ষ করল বিজেপি।

বিহারের দ্বিতীয় দফার ভোটের প্রচারের সময়, গত শুক্রবার দুপুর ১ টায় হঠাৎ করেই শিমলা যেতে দেখা গেল প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীকে। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, রাহুল গান্ধী তাঁর ব্যক্তিগত ছুটি কাটাতে গেছেন শিমলায়। শিমলা থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত, ছারাব্রায় বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর সদ্য নির্মিত রিসোর্টে আছেন তিনি। অভিযোগ উঠেছিল, কংগ্রেস সরকারে থাকাকালীন আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে জমি বন্দোবস্ত করে দিয়েছিল, পাইনে ঘেরা এই বিলাসবহুল রিসোর্টটি নির্মাণের ক্ষেত্রে। বর্তমান এই বিতর্ক আর নেই। কিন্তু নির্বাচনের প্রচারকালে রাহুল গান্ধীর এই অকস্মাৎ ছুটি কাটানো নিয়ে যথেষ্ট সমালোচনা হয়েছে। এদিকে রাহুল গান্ধীর এই শিমলা আগমনের বিষয়টি হিমাচল প্রদেশের কংগ্রেস নেতাদের
কাছেও অজানা।

এভাবে বিহারের ভোটের প্রচারের সময়ে হঠাৎ করে ছুটি কাটাতে গিয়ে নিজের দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় যেমন রাহুল গান্ধী দিলেন, তেমনি তিনি অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছেন দলকে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাঁর প্রতি কটাক্ষ করেছে বিজেপি। বিজেপির আইটি সেল এর প্রধান অমিত মালব্য এ প্রসঙ্গে জানালেন, ” রাহুল গান্ধী হওয়ার সুবিধা হল, বিহারের ভোটের (Bihar Election 2020) জন্য যখন সব দলের সব নেতা নিজেদের মাথার ঘাম পায়ে ফেলছেন, বিহারের মানুষের কাছে যাওয়ার চেষ্টা করছেন, তখন যুবরাজ শিমলা গিয়েছেন ছুটি কাটাতে। নির্বাচন চুলোয় যাক, বিহারের মানুষ চুলোয় যাক, ছুটিটা ওঁর জন্য জরুরি।”

বিজেপির পক্ষ থেকে বারবার রাহুল গান্ধীর এই নির্বাচন কালে ছুটি কাটানোর ঘটনাকে কটাক্ষ করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর দীর্ঘকালের অভ্যাস হলো, এরকম হঠাৎ করে ছুটি নেওয়া। মাঝেমাঝেই সক্রিয় রাজনীতি থেকে উধাও হয়ে গেছেন তিনি। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ছুটি নিয়েছেন তিনি অনেকবার। কংগ্রেস সভাপতি হওয়ার পর তাঁর এই অভ্যাস কিছুটা কমে ছিল, সম্প্রতি যা আবার দেখা যাচ্ছে।