হুহু করে বাড়ছে করোনা সংক্ৰমন! ব্রাজিলকে টপকে বিশ্বের দুনম্বর এখন ভারত! বাড়ছে প্রবল দুশ্চিন্তা অন্যান্য আন্তর্জাতিক জাতীয় শরীর-স্বাস্থ্য September 6, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- সময়টা ছিল মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহ। হঠাৎ করে এক অজানা জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছিল দেশের মানুষ। খবর পাওয়া যায় এই ধ্বংসলীলা গতবছর ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়ে গেছে চীনে। এরপর এই কয়েকমাসে তা ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়েছে গোটা বিশ্বে। তারই কবলে দেশ। তবে তারপর থেকে বাকি সবটাই ইতিহাস। বর্তমানে করোনা সংক্রমণে ভারতবর্ষ বিশ্বের দ্বিতীয় স্থানে। আন্তর্জাতিক সমীক্ষা অনুযায়ী, ব্রাজিলকে পেছনে ফেলে সেই জায়গা দখল করে নিয়েছে ভারতবর্ষ। আন্তর্জাতিক সেই সমীক্ষা অনুযায়ী, শনিবার রাত ১২টার আগে পর্যন্ত ভারতে করোনাতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৯০হাজার ৫৯৪জন মানুষ। ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪১লক্ষ ১০হাজার ৮৮৩জন। যেখানে ব্রাজিলে এতদিনে মোট সংক্রামিত ছিল ৪০ লক্ষ ৯৩ হাজার ৫৮৩ জন। তবে এর আগে শুক্রবার পর্যন্ত ভারতে করোনা সংক্রমণের নিরিখে বিশ্বের তৃতীয় স্থানে ছিল ভারত। তবে শনিবার তা বেমালুম ছাপিয়ে গেছে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে যদি এভাবে চলতে থাকে তবে করোনা সংক্রমণে আমেরিকাকে টপকাতে ভারতের বেশি সময় লাগবে না। খুব শিগগিরই সংক্রমণে দিক থেকে ভারত বিশ্বের প্রথম স্থানে জায়গা করে নেবে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - অন্যদিকে, স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া বুলেটিন অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৮৬ হাজার ৪৩২ জন। যা আবারও করোনা সংক্রমনের নতুন রেকর্ড। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের হিসেব অনুযায়ী শনিবার দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৪০ লক্ষ ২৩ হাজার ১৭৯ জন। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমনে প্রাণ হারিয়েছেন ১ হাজার ৮৯ জন। করোনাতে দেশে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৬৯ হাজার ৫৬১ জন। মৃত্যুহার কমে হয়েছে ১.৭৩ শতাংশ। তবে এর পাশাপাশি একদিনে সুস্থ হয়েছেন ৭০ হাজার ৭২ জন। সুতরাং মোট ৩১ লক্ষ ৭ হাজার ২২৩ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে। তাই এই মুহূর্তে দেশে সুস্থতার হার ৭৭.২৩ শতাংশ। অর্থাৎ, দেশের ১০০ জন আক্রান্তের মধ্যে ৭৭ জন্যই সুস্থ হয়ে গিয়েছেন বলেই জানিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। বর্তমানে দেশে করোনার সঙ্গে লড়াই করছেন ৮ লক্ষ ৪৬ হাজার ৩৯৫ জন মানুষ। অর্থাৎ, যা মোট সংক্রামিতের সংখ্যার ২১.০৪ শতাংশ। শুক্রবার দেশজুড়ে ১০ লক্ষ ৫৯ হাজার ৩৪৬টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে বলে জানা গেছে। সেই সঙ্গে মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ ও কর্নাটকের মতো রাজ্যে দৈনিক সংক্রমনের হার সবথেকে বেশি বলে জানা গেছে। দিল্লিতে গত মাসের তুলনায় এই কয়েকদিনে আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই বেড়েছে। ফলত করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর নিরিখে শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্র। এদিন করোনাতে আক্রান্ত হয়েছেন তেলেঙ্গনার অর্থমন্ত্রী হরিশ রাও। অন্যদিকে করোনা সংক্রমণে লাগাম টানতে রাজ্যজুড়ে প্রচার অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেইমতো চলতি মাসের ১৫ তারিখ থেকে প্রতি বাড়ি বাড়ি প্রচার চালানো হবে জানিয়েছে সরকার। ‘মাই ফ্যামিলি, মাই রেসপন্সিবিলিটি’ নামে এই প্রচার চালানো হবে। অন্যদিকে, নতুন করে সংক্রমণ রেকর্ড করলেও দিল্লিবাসীকে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ওই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর মতে এতদিন দেশে টেস্টিং কিট পর্যাপ্ত পরিমাণে না থাকায়, চাইলেও সমস্ত মানুষের টেস্ট করানো সম্ভব হয়নি। বর্তমানে সেই সমস্যা মিটে যেতে বেশিরভাগ মানুষেরই টেস্ট করা সম্ভব হয়েছে। আর তার ফলেই সংক্রমণের এই নতুন রেকর্ড দেখা দিয়েছে। তবে এ নিয়ে আপাতত বেশি চিন্তা না করে সকলকে করোনা বিধি মেনে চলতেই তিনি পরামর্শ দিয়েছেন। আপনার মতামত জানান -