এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > বিধানসভা নির্বাচন কাছেই, মহাজোট শিবির এখনও আসন রফার সূত্র হাতরাচ্ছে!

বিধানসভা নির্বাচন কাছেই, মহাজোট শিবির এখনও আসন রফার সূত্র হাতরাচ্ছে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনা আবহের মধ্যে সঠিক সময় বিহারের বিধানসভা নির্বাচন হবে কিনা, তা নিয়ে তৈরি হয়েছিল প্রশ্ন। তবে ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশন সেই নির্বাচনের দিন ঘোষণা করে দিয়েছে। যার ফলস্বরুপ প্রথম দফার ভোট গ্রহণের জন্য বৃহস্পতিবার থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে মনোনয়ন প্রক্রিয়া। তবে বিরোধী মহাজোটের পক্ষ থেকে আসন রফার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। জানা গেছে, বিরোধী জোটের সবথেকে বড় রাজনৈতিক দল আরজেডি নিজেদের হাতে বেশি সংখ্যক আসন রাখতে উদ্যোগী হয়েছে।

ইতিমধ্যেই লালু প্রসাদ যাদবের পুত্র তেজস্বী যাদব জানিয়ে দিয়েছেন, কংগ্রেসকে 60 টির বেশি আসন দেওয়া যাবে না। তবে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বিহারের যাতে 70 টি আসনে প্রার্থী দেওয়া যায়, তার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে লালুপ্রসাদ যাদবের পুত্র এই কথা বলার সাথে সাথেই পাল্টা এই ব্যাপারে মন্তব্য করেছেন বিহার কংগ্রেসের দায়িত্বে থাকা শক্তিসিল গোহিল। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, আরজেডি চাইলে একা লড়তে পারে। আর সেভাবেই আসন রফা নিয়ে বিরোধীদের মধ্যে এবার দ্বন্দ্ব তৈরি হওয়ার আশঙ্কা করছে বিশেষজ্ঞরা। যার ফলে বিহার বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি এবং জেডিইউ জোট প্রত্যাশিত ফল করবে বলেই দাবি বিশেষজ্ঞদের।

এদিকে কংগ্রেসের পাশাপাশি সিপিআইয়ের পক্ষ থেকেও এই আসন নিয়ে আরজেডি উপর চাপ বাড়ানো হয়েছে। জানা গেছে, সিপিআইকে 15 টি আসন দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল আরজেডি। কিন্তু তাতে রাজি না হয়ে ইতিমধ্যেই তারা প্রথম দফার প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে দিয়েছে। সেখানে 30 জন প্রার্থীর নাম রয়েছে। শুধু তাই নয়, ইতিমধ্যেই আরএলএসপি হিন্দুস্থান আওয়ার মোর্চার মত দলগুলো এই বিরোধী মহাজোট ত্যাগ করে বাইরে বেরিয়ে এসেছে।

স্বাভাবিকভাবেই বিহার বিধানসভা নির্বাচনের আগে যদি আরজেডি সহ অন্যান্য বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর শরিকদের সাথে এইরকম বৈষম্যমূলক আচরণ করতে শুরু করে, তাহলে তো তারা বাইরে বেরিয়ে এসে বিজেপির হাত ধরলে আরও সমস্যার মুখে পড়তে হবে আরজেডিকে? কেন এই প্রকৃত সমস্যার কথা উপলব্ধি করে তেজস্বী যাদব সুর নরম করছেন না! এখন তা নিয়ে নানা মহলে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

 

এদিন এই এই প্রসঙ্গে আরজেডির এক নেতা বলেন, “ভোটের ফল ত্রিশঙ্কু হলে কংগ্রেস নীতীশ কুমারের জেডিইউকে সমর্থন করে দিতে পারে। অন্য ছোট দলগুলোর ক্ষেত্রেও তাই সম্ভাবনা রয়েছে। তাই লালুপ্রসাদ চাইছেন আসন রফার ক্ষেত্রে দল যেন আপোসের রাস্তায় না যায়। যত বেশি সম্ভব আসন নিজেদের হাতে রাখা হোক। অন্তত 150 টি আসনে লড়তে চাইছে। আমরা তিনটি বাম দল ও জেএমএমকে সব মিলিয়ে 25 টি আসনের প্রস্তাব দিয়েছিলাম, এবং সিপিএম আমাদের প্রস্তাবে আগ্রহী বলেই মনে হয়। কিন্তু সিপিআই 20 টি আসন চাইছে। আমাদের দলীয় নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নিয়েছে, একটি নির্দিষ্ট সীমার পর সম্ভাব্য শরিকদের সঙ্গে আপোস করা হবে না।”

হঠাৎ ভবিষ্যতের আশঙ্কা থেকে নিজেদের রক্ষা করতেই আর জেরির পক্ষ থেকে বিরোধী মহাজোটের অন্যান্য শরিকদের বেশি জায়গা যে ছেড়ে দেওয়া হবে না তা কার্যত স্পষ্ট হয়ে গেছে যদিও বা বিহার কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে দ্রুত এই ব্যাপারে সমাধানসূত্র বেরিয়ে আসবে। কিন্তু যেদিকে পরিস্থিতি এগোচ্ছে, তাতে সমাধানসূত্র কিভাবে বেরিয়ে আসবে, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। যদি আরজেডির পক্ষ থেকে বিরোধীদের একটু বেশি আসন ছাড়া না হয়, তাহলে সেই সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলো বিদ্রোহ ঘোষণা করে বিরোধী মহাজোট ছেড়ে বেরিয়ে আসবে।

আর তার ফলে অস্বস্তিতে পড়তে হবে এখানকার প্রধান বিরোধী দল আরজেডিকে। স্বাভাবিকভাবেই বিধানসভা নির্বাচনের আগে যা বিহারের বিজেপি এবং জেডিইউকে অনেকটাই সুবিধাজনক জায়গায় পৌঁছে দেবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে শেষ পর্যন্ত আরজেডি এই ব্যাপারে কি সিদ্ধান্ত নেন, বিরোধী অন্যান্য শরিকদলকে তিনি মানিয়ে নিতে পারেন কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!