এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > বিধানসভায় বামের ভোট রামে যাওয়া আটকে যাবে! রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর ‘দাওয়াইয়ে’ বাড়ল জল্পনা

বিধানসভায় বামের ভোট রামে যাওয়া আটকে যাবে! রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর ‘দাওয়াইয়ে’ বাড়ল জল্পনা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য টি একসময় ‘ লাল দূর্গ ‘ বলেই পরিচিত ছিল। বলা হতো ‘বাংলার মাটি দুর্জয় ঘাঁটি ‘ কান পাতলে শোনা যেত ‘লালে লাল লাল সেলাম’। একাদিক্রমে ৩৪ বছর ধরে বাংলায় রাজত্ব করেছে বামফ্রন্ট সরকার। একটা সময় এই সরকারের পতনের কথা কেউ ভাবতেও পারে নি। কিন্তু তার পরেই এল গত ২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচন। এই ভোটে বড় বড় ফাটল দেখা গেল রাজ্যের বাম দূর্গে।

আর তারপর গত ২০১১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিচালিত তৃণমূল ও কংগ্রেস দলের জোটের কাছে সম্পূর্ণভাবে ধুলিস্যাৎ হলো বাম দূর্গ । তারপর ক্ষমতা হারাতে হারাতে প্রায় অবক্ষয়ের পথে চলে গেছে রাজ্যের বিভিন্ন বামপন্থী রাজনৈতিক দলগুলি। নির্বাচনে জয়লাভ তো দূরের কথা নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে পারাটাই তাদের কাছে একটা বিরাট চ্যালেঞ্জ হয়ে পড়ছে। কারণ, তাদের বহু নেতাকর্মী ইতিমধ্যে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেছেন। এরপর রাজ্যে বিজেপি শক্তিশালী হয়ে ওঠায় বহু বামপন্থী হয়ে পড়েছেন রামপন্থী।

প্রসঙ্গত সিপিএম দলের একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী হলেন গৌতম দেব। যিনি তাঁর ক্ষুরধার বক্তৃতায় ইতিপূর্বে বহুবার মলবল বাড়িয়েছিলেন ও উদ্বুদ্ধ করেছিলেন রাজ্য সিপিএম এর সদস্যদের। কিন্তু সম্প্রতি তিনি ছিলেন মৌন। তাকে কোন সম্মেলনে দেখা যায়নি। সম্প্রতি তিনি আবার রাজ্যের বামপন্থীদের মনোবল চাঙ্গা করতে বক্তৃতা দিলেন। তবে জনসমক্ষে নয় সোশ্যাল মিডিয়াতে ফেসবুকে।

প্রসঙ্গত, সিপিএমের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ফেসবুক লাইভে সিপিএম নেতা গৌতম দেব এক বিশেষ বক্তৃতায় জানালেন যে, একটা সময় মানুষ বামপন্থীদের যথেষ্ট ভালবাসতেন, কারণ যদি ভালো নাই বাসতেন তবে চৌত্রিশ বছর একটা সরকার কোনভাবেই ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারে না। সেই সঙ্গে তিনি এটাও বললেন যে, সম্প্রতি রাজ্যবাসী কেন বামফ্রন্টের কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন?

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধান করা প্রয়োজন। বামপন্থীদের যদি কোন ভুল হয়ে থাকে সে নিজ মুখে তা স্বীকার করতে তিনি নির্দেশ দিলেন। আর এর পাশাপাশি তিনি মন্তব্য করলেন, ” বায়না নেবেন না। যদি কেউ বলেন, বুকিং করেছি, তাহলে তাঁদের বলে দিন, সিপিএমকেই ফিরিয়ে আনব।”

ফেসবুক লাইভ এর এই বিশেষ বক্তৃতায় গৌতম দেব জানালেন, গত লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের ৪৫ শতাংশ মানুষ বিজেপি ও বিজেপি দলের সহযোগীদের ভোট দিয়েছিলেন। বামপন্থীদের মানুষ সেবার এতটা ভোট দেননি। তিনি আরো বললেন যে, সিপিএমের সময়ে এই রাজ্যে একটা শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় ছিল। সে সময় রাজ্যে কোন দাঙ্গার পরিবেশ ছিল না।

একই সঙ্গে তিনি এদিন রাজ্যের সংখ্যালঘুদের পাশে থাকার বিশেষ বার্তা নিয়ে জানালেন যে, কোন একটি দেশের গণতন্ত্র সুরক্ষিত আছে কিনা তা সঠিক ভাবে বুঝতে গেলে, সেই দেশের সংখ্যালঘু মানুষেরা কেমন আছেন তার খোঁজ নেওয়া প্রয়োজন। কারণ দেশের সংখ্যালঘুদের নিশ্চিন্তে, সুখে বসবাসের উপরেই দেশের গণতন্ত্রের সাফল্য নির্ভর করে।

প্রসঙ্গত, ১৯৮৪ সালে নিজের শিখ নিরাপত্তা কর্মীদের অতর্কিত আক্রমণে দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী নিহত হয়েছিলেন। এরপর সারাদেশে শিখদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল বহু মানুষ। সেসময়ে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে শিখদের নিরাপত্তার জন্য বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছিলেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু। সে কথা আজ গৌতম বাবু জানালেন। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে গৌতম বাবু আরো জানালেন, ” বুথ কমিটি মানেই এলাকার সিপিএম কর্মীরা নন। সেখানে এলাকার সৎ শিক্ষক এবং সৎ দোকানদারদের সুযোগ দিতে হবে।”

রাজ্যের বামফ্রন্ট সরকারের বিভিন্ন সাফল্যগুলিকেও তুলে ধরলেন তিনি। দলের কর্মী, সদস্যদের অনুপ্রাণিত করতে তিনি জানালেন, রাজনৈতিক পরিচয়ের তোয়াক্কা না করে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে বামপন্থীদের। সিপিএম দলের কর্মীদের নতুনভাবে উজ্জীবিত করতে গৌতম বাবু জানালেন সমস্ত এলাকা লালে লালময় করে দিতে হবে।

লালপতাকায় ভরিয়ে দিতে বাড়ির ছাদ থেকে লাস্ট পর্যন্ত সমস্ত স্থান। তবেই উজ্জীবিত হবেন বাম দলের কর্মীরা।এভাবেই আগামী বিধানসভা ভোটের প্রাক্কালে নিজ দলের কর্মী সদস্যদের বিশেভাবে উদ্বুদ্ধ করলেন গৌতম বাবু।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!