বিধানসভায় কেঁদে ফেললেন হেভিওয়েট মন্ত্রী, কারন জানলে চমকে যাবেন! তৃণমূল রাজনীতি রাজ্য July 9, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বর্তমান সমাজ অনেকটাই তথ্য প্রযুক্তির ওপর নির্ভরশীল। এখনকার পরিবেশ-পরিস্থিতি যেমন উন্নত, ঠিক তেমনই মানুষের জীবন যাপনের চাহিদা আগের থেকে অনেক বেশি উন্নতশীল। তাই বর্তমান প্রজন্মের শৈশবকে শিক্ষিত করতে গিয়ে অনেক সময়ই তাদের বাবা-মারা তাদের সময়কার কথা তুলে ধরেন। কিভাবে অতীতে তারা পরিশ্রম করেছেন এবং কিভাবে এখন সুযোগ-সুবিধা এসেছে, সেই কথা তুলে ধরে নিজের ছেলেমেয়েদের মানুষ করার চেষ্টা করেন অভিভাবক, অভিভাবিকারা। বর্তমানে ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে ব্যাপক সুযোগ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। শিক্ষাশ্রী থেকে শুরু করে সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড। যা ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশুনার ক্ষেত্রে অনেকটাই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আর সেই ব্যাপারে সতীর্থের বক্তব্য শুনে বিধানসভায় নিজের শৈশবের কথা মনে করে কার্যত কেঁদে ফেললেন রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার রাজ্য বিধানসভায় স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, “উচ্চমাধ্যমিক পাশ করার পর কলেজে ভর্তির সময় ঘরে কানাকড়িও ছিল না। তখন মা হাতের বালা বন্ধক দিয়েছিল। তা দিয়ে কলেজে ভর্তি হয়েছিলাম। আজ আর কোনো মায়ের বালা বন্ধক দিতে হবে না। যাদের মায়ের বালা নেই, তারাও ভর্তি হবে। স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড আছে।” আর মানিক ভট্টাচার্য যখন এই ধরনের আবেগতাড়িত কথা বলে সরকারের প্রকল্পকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন, ঠিক তখনই চোখ দিয়ে জল পড়তে দেখা গেল রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রী স্বপন দেবনাথের। যা দেখে অনেকেই রীতিমতো হকচকিয়ে যান অনেকে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তবে মানিকবাবুর এই কথা শুনে নিজের অতীতকে মনে করেন যে আবেগান্বিত হয়ে পড়েছেন স্বপন দেবনাথ, তা পরবর্তীতে স্পষ্ট হয়ে যায়। অর্থাৎ অতীতে তাদের পরিশ্রমের সঙ্গে এখনকার যে অনেক ফারাক এবং এখনকার সরকার যে অনেক বেশি সংবেদনশীল, সেটাই বিধানসভায় বোঝানোর চেষ্টা করলেন তৃণমূল বিধায়করা।কেন চোখ দিয়ে জল গড়াতে দেখা গেল তার? তাহলে কি অতীতের কথা মনে পড়ল স্বপন দেবনাথের? এদিন এই প্রসঙ্গে হেভিওয়েট মন্ত্রী বলেন, “এমএ তে ভর্তির সময় সংসারে অনটন ছিল। মায়ের গয়না বন্ধক দিয়ে আমাকে ভর্তি হতে হয়েছিল। স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড সেই অভাব-অনটনকে পূর্ণ করে দিয়েছে।” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের এই প্রকল্প তার বিধায়কদের চোখেই এখন জল এনে দিচ্ছে। তবে এই জল যে সত্যিই আনন্দাশ্রু, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। অতীতের মত এখনকার ছেলেমেয়েদের যে আর কষ্ট করে পড়াশোনা করতে হয় না, তা নিজেদের অতীতের কষ্ট মনে করে চোখের জল ফেলতে ফেলতেই জানিয়ে দিচ্ছেন শাসকদলের বিধায়ক। আপনার মতামত জানান -