প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – নির্বাচনের প্রথম দফা শেষ হবার পর আজ বড়োসড়ো ভাঙ্গন দেখা দিল ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট দলে। দলের সহ-সভাপতি হাজি মহম্মদ সহ কয়েকশো আইএসএফ কর্মী দলত্যাগ করলেন। যোগদান করলেন তাঁরা রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলে। আজ তৃণমূল ভবনে উপস্থিত হয়ে দলের পতাকা তুলে নিয়ে একেবারে আনুষ্ঠানিকভাবে চলল তাঁদের তৃণমূলে যোগদান।

আজ পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের নেতৃত্বে তৃণমূলে যোগদান করলেন ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের সহ-সভাপতি হাজি মহম্মদ ছাড়াও কয়েকশো আইএসএফ কর্মী। তাঁরা ছাড়াও সেসময় তৃণমূল ভবনে উপস্থিত ছিলেন বন্দর এলাকার দাপুটে কংগ্রেস নেতা শাকিল আহমেদ। সকলেরই যোগদান চলে আনুষ্ঠানিক ভাবে।

আজ এতজন একসঙ্গে তৃণমূলে যোগদান করায় কার্যত উৎসবের মেজাজে ছিল তৃণমূল শিবির। তৃণমূল থেকে সম্প্রতি যেভাবে ক্রমশ ভাঙ্গন দেখা দিচ্ছে, সেদিক থেকে বিচার করলে আজকের এই ঘটনা একেবারেই উল্টো স্রোত বলা যায়। অন্যদিকে, দলের একজন প্রভাবশালী নেতা ও কয়েকশত কর্মী দল ছেড়ে দেওয়ায় ভোটের মধ্যে যথেষ্ট বিপাকে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট।

আজ একাধিক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের তৃণমূলের যোগদানের পর পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানালেন যে, বিজেপিকে যদি একমাত্র কেউ আটকাতে পারেন, তিনি হলেন মমতা ব্যানার্জি। কংগ্রেসের অপদার্থতার কারণেই নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় রয়েছেন। তিনি জানালেন গুজরাটের মামলায় অমিত শাহর বিরুদ্ধে যদি সঠিকভাবে তদন্ত হতো, তাহলে আজ তিনি কিছুতেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হতে পারতেন না। তিনি আরও জানালেন যে, এখন সিপিএমের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে আইএসএফ। যে সিপিএমের বিরুদ্ধে একসময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লড়াই করেছিলেন আজ সেই সিপিএমের সঙ্গেই আব্বাস সিদ্দিকী জোট করেছেন।