“সিন্ডিকেট, তোলাবাজি, কাটমানি বন্ধ না হলে বাংলায় উন্নয়ন হবে না।” হুগলির জনসভা থেকে বিস্ফোরক প্রধানমন্ত্রী জাতীয় বিজেপি রাজনীতি রাজ্য হাওড়া-হুগলি February 22, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আজ বিকেল চারটেয় হুগলির সাহাগঞ্জ ময়দানে এলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আজ প্রধানমন্ত্রীকে ধনিয়াখালির তাঁতের কাপড় দিয়ে সম্বর্ধনা জানানো হলো। সম্প্রতি জনসভায় বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রী। ইতিপূর্বে, বক্তব্য রেখেছেন শুভেন্দু অধিকারী, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখরা। হুগলির জনসভা থেকে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলকে একহাত নিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন করেছেন যে, অনাবাসীরা যদি পশ্চিমবঙ্গে বিনিয়োগ করতে রাজি হন, তবে তাঁরা করবেন কিভাবে? তিনি জানালেন সিন্ডিকেট, তোলাবাজি, কাটমানি বন্ধ না হলে এ রাজ্যের উন্নয়ন ঘটবে না। প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করেছেন, রাজ্যের প্রশাসন আশ্রয় দিয়ে থাকে গুন্ডাদের। রাজ্যে শুধু কাট কাট কাট চলছে বলে অভিযোগ করলেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী জানালেন যে, একটা সময় হুগলিতে জুটমিল ছিল। বড় বড় কারখানা ছিল। কিন্তু এখন আর কিছুই নেই। রাজ্যবাসী কাজের খোঁজে অন্য রাজ্যে যেতে বাধ্য হন। তিনি অভিযোগ করলেন, পশ্চিমবঙ্গ সিন্ডিকেটের হাতে চলে গেছে। সিন্ডিকেটের জন্য রাজ্যের উন্নয়ন বন্ধ হয়ে গেছে। তিনি জানালেন, পশ্চিমবঙ্গে বাড়ি ভাড়া নিতে গেলেও দিতে হয় কাটমানি। প্রধানমন্ত্রী জানান, রাজ্যের মেয়েদের সঙ্গে অন্যায় করছে তৃণমূল সরকার। তিনি জানালেন, শুধুমাত্র ক্ষমতার পরিবর্তন নয়, বিজেপি চায় আসল পরিবর্তন। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - প্রধানমন্ত্রী জানান যে, পশ্চিমবঙ্গে প্রায় দেড় কোটি পরিবারের মধ্যে শুধুমাত্র ২ লক্ষ মানুষ পরিশোধিত জল পেয়ে থাকেন। দেশের ৩ কোটি মানুষ পরিশোধিত জল পান। পাইপের মাধ্যমে পানীয় জল মাত্র ৯ লক্ষ পরিবারের কাছে পৌঁছেছে। তিনি অভিযোগ করেছেন, তৃণমূল সরকার গরিব মানুষকে পানীয় জল পর্যন্ত পৌঁছে দিতে পারেনি। তিনি জানালেন, ঘরে ঘরে পানীয় জল পৌঁছে দিতে রাজ্য সরকারকে ১৭০০ কোটি টাকা দিয়েছে কেন্দ্র। যা থেকে মাত্র ৬০৯ কোটি টাকা খরচ করেছে রাজ্য সরকার। বাকি টাকা গ্রাস করছে তৃণমূল অভিযোগ করলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করলেন, তৃণমূল নেতাদের সম্পত্তি, প্রতিপত্তি বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু গরিব মানুষেরা কিছুই পাননি। আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের ৫ লক্ষ টাকা থেকে বঞ্চিত রাখা হয়েছে এই রাজ্যের মানুষকে। সরাসরি কৃষকদের একাউন্টে টাকা পৌছে দিতে চেয়েছিল কেন্দ্র সরকার। কিন্তু তৃণমূলের তোলাবাজির কারণে সে টাকা পৌঁছয় নি। এভাবে কৃষক সম্মান নিধি বিষয়েও রাজ্যকে এক হাত নিলেন তিনি। আপনার মতামত জানান -