এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > দ্যাখ কেমন লাগে! মোদী ম্যাজিক অটুট, বিজয় নিয়ে উচ্ছ্বসিত শুভেন্দু!

দ্যাখ কেমন লাগে! মোদী ম্যাজিক অটুট, বিজয় নিয়ে উচ্ছ্বসিত শুভেন্দু!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- অনেক ঘটা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার ঘনিষ্ঠ বেশ কিছু দল ইন্ডিয়া জোট দিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে লোকসভার আগে সলতে পাকানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তিন রাজ্যের ফলাফলেই স্পষ্ট হয়ে গেল যে, কোনো ঘোট এবং জোটের দিকে সমর্থন দেবে না ভারতবর্ষের মানুষ। তারা এখনও পর্যন্ত ভরসার জায়গা রেখেছে বিজেপি এবং নরেন্দ্র মোদীকে। কার্যত তিন রাজ্যের ফলাফলের পর বিজেপির এই বিপুল জয় নিয়ে উচ্ছ্বসিত হতে দেখা গিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও। কারণ এই বাংলা থেকেই তো একজন নেত্রী আছেন, যিনি বিজেপির বিরুদ্ধে অনেক বড় বড় কথা বলছেন। তার স্বপ্ন রয়েছে, তিনি আগামী দিনে বিজেপির বিরোধিতায় গোটা দেশে নাকি একটা আওয়াজ তুলবেন। কিন্তু তিন রাজ্যের ফলাফলে পর সেই নেত্রীর মুখও যে শুকিয়ে গিয়েছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই বিজেপির একাংশ বলছেন, দেখ কেমন লাগে! তিন রাজ্যের ফলাফল স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, আগামী দিনে ভারতবর্ষে আবার ক্ষমতায় আসতে চলেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। আর এই পরিস্থিতিতে মোদী, মোদী রব তুলে পশ্চিমবঙ্গের মাটি থেকে বিজেপির জয়ের সেলিব্রেশন শুরু করে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী।

প্রসঙ্গত, রবিবার তিন রাজ্যের ভোটের ফলাফল প্রকাশ্যে আসতেই ভারতবর্ষের রাজনৈতিক সমীকরণে যে বিজেপির বিকল্প হিসেবে কোনো দল উঠে আসতে পারছে না, তা স্পষ্ট হয়ে যায়। বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয়ে যায় জয়ের সেলিব্রেশন। এমনকি পশ্চিমবঙ্গেও তার প্রভাব পড়তে দেখা যায়। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী কার্যত উজ্জীবিত ভূমিকায় সংবাদমাধ্যমের সামনে নিজের মত ব্যক্ত করেন। সাংবাদিকরা তাকে এই ব্যাপারে প্রশ্ন করতেই তিনি অত্যন্ত উজ্জীবিত হয়ে বলেন, “মোদী, মোদী, মোদী। সবাই সেলিব্রেশন শুরু করে দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গেও দিকে দিকে বিজেপি কর্মীরা এই জয়ের আনন্দে রাস্তায় বের হবে।” অনেকে বলছেন, পশ্চিমবঙ্গে তো এখন বিজেপি বিরোধী দল। তাহলে অন্য রাজ্যে জয়ের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি কর্মীরা কেন সেলিব্রেশন করবেন? এর সঙ্গে কি সম্পর্ক রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি কর্মীদের!

একাংশের বক্তব্য, এই পশ্চিমবঙ্গ থেকেই তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চেষ্টা করছেন সারা ভারতবর্ষে বিজেপিকে উৎখাত করার জন্য। একটা আঞ্চলিক দলের সর্বভারতীয় নেত্রী হয়ে তিনি যদি এই চেষ্টা করতে পারেন, তাহলে সর্বভারতীয় দল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত বিজেপি অন্য রাজ্যে সাফল্যের সঙ্গে বিতরণী পার করার পর কেন পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি কর্মীরা তার সেলিব্রেশন এই রাজ্যের মাটিতে পড়তে পারবে না? আর আগামী দিন তো পশ্চিমবঙ্গেও এই দিন আসতে চলেছে। তাই এখন থেকেই তার ক্ষেত্র প্রস্তুত করার জন্য একটা রাজনৈতিক আবহাওয়া তৈরি করে দিলেন শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিজেপি কর্মীরা বলেই মনে করছেন একাংশ।

বিজেপির দাবি, গোটা দেশের মানুষ এই তিন রাজ্যের ফলাফলের পর স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, আগামী লোকসভা নির্বাচনেও তারা বিজেপির পক্ষেই রায় দেবেন। কিন্তু এই থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত পরিবারবাদ এবং তোষণবাদের দীক্ষায় দীক্ষিত হওয়া আঞ্চলিক দলগুলোর। তারা যতই বিজেপির বিরুদ্ধে জোট গঠন করার চেষ্টা করুন না কেন, দিনের শেষে তা মুখ থুবড়ে পড়বে। তাই পশ্চিমবঙ্গের মাটিতেও আগামী দিন বিজেপির হতে চলেছে। তাই এখানে সেলিব্রেশনের মধ্যে দিয়ে তৃণমূলকে শিক্ষা দিতে হবে। তাদের দুর্নীতি এবং তোষনেনের বিরুদ্ধে পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে জাগ্রত করাই এখন প্রধান কর্তব্য গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, বিজেপি কার্যত নিশ্চিত ছিল যে, এই তিন রাজ্যে তারা জয় লাভ করবে। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তার অন্যান্য বন্ধু দলগুলো যে জোট গঠন করেছিল, বিজেপির বিরুদ্ধে তারা স্বপ্ন দেখেছিল যে, এই তিন রাজ্যে সেমিফাইনাল হবে এবং সেখানে বিজেপি হারবে। তারাই এটাকে সেমিফাইনাল ধরে অনেক আশা প্রকাশ করেছিল। ফলে তাদের সেই মতকে ধরেই এখন বিজেপি কটাক্ষ করে বলছে, দেখ কেমন লাগে। তাই আগামী দিন আরও শোচনীয় হতে চলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ ইন্ডিয়া জোটের নেতা নেত্রীদের। নাম ইন্ডিয়া জোট দিয়ে তারা হয়তো সিমপ্যাথি পাওয়ার চেষ্টা করবেন, এটাই ভেবেছিলেন। কিন্তু তিন রাজ্যের ফলাফলের পর স্পষ্ট হয়ে গেল, দেশের মানুষ চাইছে বিজেপিকেই। তাই আগামী দিন লোকসভায় পরাজয়ের বেদনা ভোগ করার জন্য তৈরি হয়ে যান বিজেপির বিরোধিতায় নাকে কান্না কাঁদা বিরোধী দলগুলো। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!