এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বাংলায় শাহি টনিকের পরেই বিপুল জয়, চোখে সর্ষেফুল মমতার! চরম কটাক্ষ বিজেপির!

বাংলায় শাহি টনিকের পরেই বিপুল জয়, চোখে সর্ষেফুল মমতার! চরম কটাক্ষ বিজেপির!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- দেশের প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে কি নিম্নরুচির ভাষায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আক্রমণ করেন, তা গোটা রাজ্য এবং দেশের মানুষ জানেন। কিন্তু দেশের মানুষ যে ভরসা করে বিজেপির ওপর, তা আবার স্পষ্ট। যখন ইন্ডিয়া জোট গঠন করে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করার স্বপ্ন দেখছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার সঙ্গীরা, তখন তিন রাজ্যের ফলাফল স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, আগামী লোকসভাতে দেশে বইতে চলেছে আবার গেরুয়া ঝড়। আগামী দিন যে বিজেপি এই পশ্চিমবঙ্গকে টার্গেট করে এগিয়ে যাচ্ছে, তাও একের পর এক নেতার বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে স্পষ্ট। তাই এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে চরম বিপদ।

সম্প্রতি ধর্মতলায় এসে সভা করে গিয়েছেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, যাকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রবল ভয় পান। কিন্তু মুখে অবশ্য তিনি তা স্বীকার করেন না, সেই অমিত শাহ। তার ডোজের পর এমনিতেই বিজেপি কর্মীরা পশ্চিমবঙ্গে উজ্জীবিত ছিলেন। আর তার মধ্যে রবিবার তিন রাজ্যে বিপুল জয়ের পরেই পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি বিরোধী শক্তি হিসেবে যে তাদের প্রভাব প্রতিপত্তি এবং শাসকের সঙ্গে লড়াইয়ের ক্ষমতা আরও বৃদ্ধি করে রাস্তায় নামবে, সেই ব্যাপারে দ্বিমত নেই ওয়াকিবহাল বহলের মধ্যে। এদিন তিন রাজ্যের ফলাফল সামনে আসতেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার যে কথা বললেন, তা গেরুয়া শিবিরের কর্মীদের কাছে যথেষ্ট উৎসাহের কারণ।

প্রসঙ্গত, এদিন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্তবাবুকে তিন রাজ্যের ফলাফল নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “এমনিতেই 29 তারিখ অমিত শাহের সভার পর বিজেপি কর্মীরা চার্জড ছিলেন। তার মধ্যে এই তিন রাজ্যের বিজেপির বিপুল জয়ের পর তারা ডবল ডোজ পেয়ে গিয়েছেন। তারা ভীষণ উজ্জীবিত। আগামী দিনে রাস্তায় রাস্তায় শুধু গেরুয়া ঝড় দেখতে পাবেন। আমরা লোকসভায় 35 টি আসনের যে টার্গেট অমিত শাহ দিয়েছেন, তা পূরণ করার লক্ষ্য নিয়ে এগোবো।” এখন অনেকে বলতেই পারেন যে, অন্য রাজ্যে জয় হয়েছে, তার সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি কর্মীদের উজ্জীবিত হওয়ার কোনো সম্পর্ক রয়েছে কি? পশ্চিম বাংলায় যদি বিজেপি তাদের ভিত শক্ত করতে না পারে, তাহলে তারা কি করে আগামী দিন শাহের বেঁধে দেওয়া টার্গেট পূরণ করবেন! কি করেই বা লোকসভায় তারা এই রাজ্য থেকে সাফল্য পাবেন? আর এখানেই সব প্রশ্নের এক কথায় জবাব দিয়ে দিচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টির কর্মীরা।

বিজেপির দাবি, লোকসভায় মোদি ঝড়ে উড়ে যাবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পশ্চিমবঙ্গে আঞ্চলিক স্তরের ভোটগুলো দলদাস তো পুলিশ দিয়ে হয়। সেখানে যে গণতন্ত্রের কন্ঠরোধ করা হয়, এটা আজকে পরিষ্কার। কিন্তু লোকসভার ভোট অন্যভাবে হবে। আর পশ্চিমবঙ্গে সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন হলে কোনোমতেই বিজেপিকে আটকানো সম্ভব হবে না। তাই আগামী দিন চোখে সর্ষেফুল দেখার জন্য তৈরি থাকুন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিন রাজ্যে বিপুল জয়ের পর পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির শক্তি আরও বৃদ্ধি পাবে এবং আগামী দিনে এই বাংলায় বিজেপির সরকার গঠন হবে বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, গোটা পশ্চিমবঙ্গের মানুষ আজকে তৃণমূলের শাসনে বিতশ্রদ্ধ। তারা প্রত্যেকেই চাইছেন যে, কি করে এই সরকারকে বিদায় দেওয়া যায়! একটা চাকরি নেই, একটা শিল্প নেই এই রাজ্যে। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে মানুষ ভয় পাচ্ছে একটাই কারণে, কারণ, পুলিশ দিয়ে তারা সবার কন্ঠরোধ করতে চায়। তাই সাহস করে কেউ সেই লড়াই করতে গিয়ে আসছে না। তবে বিজেপি কর্মীরা যেভাবে দাঁতে দাঁত চেপে এই সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছে, তাতে তিন রাজ্যের এই বিপুল জয় তাদের কাছে যথেষ্ট উজ্জীবিত হওয়ার মত।

আর এই উৎসাহ এবং উদ্দীপনা নিয়েই তারা আরও বেশি পরিমাণে বুথের সংগঠনকে শক্তিশালী করতে আরও ব্যাপকভাবে ঝাপাবে। কারণ তারাও খুব ভালো মত জানে যে, লোকসভায় যদি তৃণমূলকে জবাব দেওয়া না যায়, তাহলে তাদের কাছে আরও বিপদের দিন আসতে চলেছে। তাই বাংলায় আঞ্চলিক দলকে একেবারে রাজনৈতিকভাবে দেওয়ালে সেঁটে দিতে তৈরি বিজেপি কর্মীরা। কার্যত গেরুয়া ঝড়ে উড়ে যাবে আঞ্চলিক দল তৃণমূলের সংগঠন। সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!