এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > মুকুল-গড়েই বিজেপিকে আটকে দিয়ে বড়সড় সাফল্য ঘাসফুল শিবিরের – জানুন বিস্তারিত

মুকুল-গড়েই বিজেপিকে আটকে দিয়ে বড়সড় সাফল্য ঘাসফুল শিবিরের – জানুন বিস্তারিত


2019 এর লোকসভা ভোটের পর থেকেই দলবদল এর হাওয়ায় বিজেপির দিকে ঝোঁক বাড়ে সবার। লোকসভা ভোটে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কোনরকমে জিতে নিজেদের গড় বাঁচিয়েছিলেন। পশ্চিমবঙ্গের 42 টি আসনের মধ্যে তারা অধিকার করেছিলেন 22 টি আসন। অন্যদিকে, বিজেপি দল 2014 থেকে 2019 এর মধ্যে সংগঠনকে পশ্চিমবঙ্গে এমন জায়গায় নিয়ে গেছে, যার ফলে তাদের আসন সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে 2 থেকে 18।

লোকসভা ভোটের পর বিভিন্ন দল থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার যে প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছিল, বিশেষ করে শাসক দল থেকে। ইদানিং তাতে বেশ ভাটা লক্ষ‍্য করা যাচ্ছে। বর্তমানে শাসক দল থেকে বিজেপিতে যোগদান পর্ব মিটতেই, পরবর্তী কিছুদিনের মধ্যেই আবার বিজেপি থেকে ঘরওয়াপসি শুরু হয় তৃণমূলে।

লোকসভা ভোটে রাজ্যে বিজেপি ভালো ফল করার সাথে সাথেই বহু পুরসভা থেকে পঞ্চায়েত এর রং সবুজ থেকে গেরুয়া হতে শুরু করে। যে সমস্ত পুরসভা গেরুয়া শিবিরের দখলে গিয়েছিলো তাঁদেরকে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল তৃণমূল। যার ফলে এবার মুকুল গড়ে ধাক্কা দিয়ে নৈহাটি পুরসভাকে আবার সবুজে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে পারল তৃণমূল।

এবার নৈহাটি পুরসভায় তৃণমূল তাদের জায়গা ফিরে পেল আস্থাভোটের দ্বারা। উত্তর 24 পরগণা জেলা শাসকের অফিসে যে আস্থা ভোট হয়, তাতে বিজেপিকে অনেক পিছনে ফেলে দিয়ে নিরঙ্কুশ জয়ের অধিকারী হয় তৃণমূল। 24 – 0 জিতে নৈহাটি পুরসভার ক্ষমতা আবার ফিরে পেল তৃণমূল। এই জয়ের পর তৃণমূল পুরপ্রধান অশোক চট্টোপাধ্যায় বলেন, এতদিন বিজেপি উন্নয়নের হাতিয়ার ব্যবহার না করে নৈহাটি পুরসভাকে অচল করে রেখেছিল। এবার আবার তৃণমূল সেই উন্নয়নমূলক কাজ নতুন করে শুরু করবে।

লোকসভা ভোটের পর নৈহাটি পৌরসভার 18 জন কাউন্সিলর বিজেপিতে যোগদান করেন। ফলে নৈহাটি পৌরসভার ক্ষমতা তৃণমূল কংগ্রেসের থেকে বিজেপির হাতে যায়। তিন মাস যেতে না যেতেই অধিকাংশ সদস্য বিজেপি শিবির থেকে ঘরওয়াপসি শুরু করেন তৃণমূলে। আর তারপরেই অনাস্থা প্রস্তাব এর হাত ধরে আস্থা ভোটের তোড়জোড় শুরু হয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এর আগে ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত কাঁচরাপাড়া, গারুলিয়া পুরসভাতেও একই ঘটনা ঘটেছিল। ঠিক একইভাবে বিজেপিতে যাওয়া কাউন্সিলররা কিছু সময় পরে আবার তৃণমূলে ফেরত আসে এবং অনাস্থা প্রস্তাবের হাত ধরে আস্থা ভোট হয়। এবং তৃণমূল তার ক্ষমতা ফিরে পায়। একইভাবে নৈহাটি পৌরসভাতেও আস্থাভোটের হাত ধরেই শাসক দল তাঁদের ক্ষমতা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করল।

উল্লেখ্য, লোকসভা ভোটের পর নৈহাটি পৌরসভা যখন পুরসভার কাউন্সিলররা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে চলে যায়। তারপর সেখানকার পুরপ্রধান অশোক চট্টোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, তিনি পুরসভা চালাতে পারছেন না। রাজ্য এরপর পুরসভায় প্রশাসক বসিয়ে দেয়। রাজ্যের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিজেপি অনাস্থা প্রস্তাব আনে। কিন্তু গন্ডগোলের জোরে সেই আস্থা প্রস্তাব ভেস্তে যায়। হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তাঁরা। এবার সেই মামলা শেষে আবারও আস্থা ভোট হল। এবং তৃণমূল তাঁদের জয় ফিরে পেল।

লোকসভা ভোটের পর যে পরিমাণে সদস্য তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন, তাতে খুশির আবহ তৈরি হয়েছিল পদ্ম শিবিরে। কিন্তু বর্তমানে ঘরওয়াপসির জেরে বিজেপি সদস্য সংখ্যা ক্রমাগত কমে যাচ্ছে। যা নিয়ে যথেষ্ট চিন্তান্বিত বিজেপি শিবির। এ নিয়ে ইতিমধ্যে কাঁটা ছাড়া শুরু হয়েছে। তবে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, ভোটের বাজারে সুবিধাজনক জায়গাতেই সদস‍্যরা ঘোরাফেরা করেন। এটা নতুন কিছু নয়। আপাতত সমগ্র পরিস্হিতির দিকে নজর রেখেছে রাজ‍্য বিজেপি নেতৃত্ব।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!