এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > মাত্র এক বছরেই বদলে গেল সমীকরণ? মুখ্যমন্ত্রীর পুরানো সাক্ষাৎকার ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে

মাত্র এক বছরেই বদলে গেল সমীকরণ? মুখ্যমন্ত্রীর পুরানো সাক্ষাৎকার ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে

ফের একবার মন্তব্য বিতর্কের শিকার খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২১-এর মঞ্চ থেকে যেমন তিনি আসন্ন লোকসভা ভোটে মোদীসরকারকে ধুলিসাৎ করার বার্তা দিয়েছেন তেমনি কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন কেন্দ্রীয় সরকারকে। দলীয় কর্মীদের সামনে তুলে ধরেছেন মোদীজির দীর্ঘ চারবছরের অপশাসনের খতিয়ান। এবং বিজেপি সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে মোদীজি-অমিতশাহদের কট্টর হিন্দুবিরোধী বলেও আক্রমণ শানিয়েছেন। শুধু তাই নয়, আরো এক ধাপ এগিয়ে খোদ প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক হওয়ার অভিযোগ এনেছেন। মঞ্চে দাঁড়িয়েই অগ্নিকন্ঠে বলেছেন, অমিত শাহরাই সবথেকে বেশি জাতপাতের রাজনীতি করেন। এই অভিযোগের ভিত্তিতেই প্রকাশ্যে এসেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরই ২০১৭ সালের অগাস্ট মাসে দেওয়া একটি বয়ান। সম্পূর্ণ উলটপুরাণ বক্তব্যকে ঘিরে মন্তব্য বিতর্কে জড়ালেন তিনি।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

——————————————————————————————-

 এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

সেসময় একটি টিভি চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে দেখা গিয়েছিল,’আমি নরেন্দ্র মোদীকে পছন্দ করি। কিন্তু অমিত শাহকে করি না। আমি প্রধানমন্ত্রীকে কোনওভাবেই দায়ী করব না। কেন আমি দায়ী করব তাঁকে? তাঁর দলকে এর দায় নিতে হবে।’ একথা বলে তিনি ‘দেশ জুড়ে স্বেচ্ছাচারী’ পরিস্থিতির জন্য জাতীয় বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ এবং বিজেপি দলীয় কর্মীদের দায়ী করেছিলেন। অভিযোগে তিনি জানিয়েছিলেন,দলের সভাপতিই সরকারের সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করছে। এবং প্রশ্নও তুলেছিলেন যে অমিত শাহ কীভাবে একটি দলের সভাপতি হয়ে মন্ত্রীদের ডেকে বৈঠক করতে পারেন? এটা তো প্রধানমন্ত্রীর অধিকারে নাকগলানোর মতো ব্যাপার হল। এমনটাই ছিল নেত্রীর বক্তব্যের অর্থ।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো একজন দুঁদে রাজনীতিবিদের মুখে এক বছর সময় ভেদে সম্পূর্ণ বিপরীত মেরুর মন্তব্য শুনে হতবাক আমজনতা থেকে রাজনৈতিকমহল। তাঁর অবস্থানকে ঘিরে দফায় দফায় প্রশ্ন উঠছে তাই। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা তো স্বাভাবিক প্রশ্ন করেই ফেলেছেন যে কোনটা সত্যি তবে? মোদীজি ‘ব্যালেন্স’ এবং ‘নিরপেক্ষ’ নাকি তিনি সাম্প্রদায়িক রাজনীতিকে মদত দেওয়া দেশের প্রধানমন্ত্রী? এই প্রশ্নকে ঘিরে জল্পনাও শুরু হয়েছে জাতীয় রাজনীতির অন্দরে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর কী জবাব দেবেন তা জানতেও উত্তেজনা তুঙ্গে রয়েছে রাজনৈতিক মহলে। তবে এই বিতর্কই তাঁর হাতেখড়ি নয়। আগেও বহুবার কেন্দ্রীয় সরকারকে তোপ দাগতে গিয়ে মন্তব্য বিতর্কে জড়িয়েছেন তিনি,এমনটাই জানা যাচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!