এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > দ্বায়িত্ব বাড়লো সিভিক ভলান্টিয়ারদের, জেনে নিন

দ্বায়িত্ব বাড়লো সিভিক ভলান্টিয়ারদের, জেনে নিন


উত্তরবঙ্গে হঠাৎ-হঠাৎ জনবসতিপূর্ণ এলাকায় হাতিসহ বিভিন্ন পশুর – যেমন চিতাবাঘ, বাইসনের চলে আসাকে কেন্দ্র করে সেখানকার মানুষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়ায়। অনেকক্ষেত্রেই ওই অবলা প্রাণী গুলিকে মৃত্যুর মুখে পড়তে হয়। আতঙ্কে গ্রামবাসীরা কখনো পিটিয়ে মেরে ফেলে তাদের। যা নিতান্তই কষ্টের।

তাই বনদপ্তরের পক্ষ থেকে এবার নতুন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে জঙ্গলের প্রাণীদের জঙ্গলে ফেরাতে। জঙ্গলের প্রাণীরা লোকালয়ে ঢুকে পড়ার পর আবার যাতে তারা সুস্থভাবে জঙ্গলে ফিরে যেতে পারে, তার জন্য এবার কাজে নামতে চলেছে সিভিক ভলান্টিয়াররা। এই সিভিক ভলান্টিয়ারদের আমরা দেখেছি ট্রাফিক পুলিশের কাজে বিভিন্ন রাস্তায়। এবার তাঁরাই উপযুক্ত প্রশিক্ষণের দ্বারা উত্তরবঙ্গ জেলায় হাতি তাড়ানোর দায়িত্বে আসতে চলেছেন।

আমাদের আশেপাশেই রাস্তাঘাটে ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি দেখা যায় সিভিক ভলান্টিয়ারদের। এবার তাঁদের ওপর আরো বড় দায়িত্ব দেওয়া হল। বনকর্মীদের সাথে দামাল হাতিকে আবার জঙ্গলে ফেরত পাঠানোর মতো দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে তাদের কাঁধে। হাতি তাড়ানোর কাজ যথেষ্ট কঠিন এবং ঝুঁকিপূর্ণ। তবে রাজ্য বনদপ্তর এর পক্ষ থেকে রীতিমতন আলিপুরদুয়ার জেলায় মাদারিহাটে সিভিক ভলান্টিয়ারদের প্রশিক্ষণ দিয়েই এই কাজে নামানো হবে বলে জানা গেছে।

বনদপ্তর সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, প্রাথমিকভাবে 51 জন সিভিক ভলেন্টিয়ার ও সিআইএফকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। হাতি তাড়ানোর কাজে ঝুঁকি অনেক। প্রথমেই হাতির চরিত্র বুঝে বুঝতে হয়। এবং তারপর পরবর্তী ধাপে জঙ্গলে প্রশিক্ষণ শুরু হবে। চূড়ান্ত প্রশিক্ষণের পরেই বনকর্মীদের সাথে সিভিক ভলান্টিয়াররাও হাতির পাশাপাশি চিতা ও বাইসানকেও জঙ্গলে ফেরাতে কাজ করবেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এ বিষয়ে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান এর সহকারী বন‍্যপ্রাণ সংরক্ষক মনীশ কুমার যাদব জানিয়েছেন, উত্তরবঙ্গের বিশেষ করে জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার জেলায় লোকালয়ে প্রায়ই চিতাবাঘ বাইসন, হাতি ঢুকে পড়ার খবর পাওয়া যায়। ওই এলাকায় কোনো প্রাণী যদি বের হয়, তাহলে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের যেন খবর দেওয়া হয় সেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি শিলিগুড়ি থেকে আসাম যাওয়ার যে রেল লাইনটি আছে, সেই রেল লাইনের ট্রেনের ধাক্কায় একটি হাতির মৃত্যু হয়। যা নিয়ে বন্যপ্রাণ দপ্তরে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়।

তবে এর আগেও হাতি মারা যাবার বহু ঘটনা ঘটেছে। শুধু হাতি নয়, চিতাবাঘও লোকালয়ে ঢুকে মারা পড়েছে। ডুয়ার্সের বিভিন্ন চা-বাগানের বস্তিগুলোতে মাঝে মাঝেই হাতি ঢুকে পড়ে। অনেক সময় জঙ্গলে বন্যপ্রাণী ফেরত পাঠাতে সিভিক ভলান্টিয়ারদের প্রশিক্ষণ থাকলে, তাঁরা প্রাথমিক ভাবে অবস্থা সামাল দিতে পারবে বলে মনে করা হচ্ছে।

এ সংক্রান্ত বিষয়ে বন্যপ্রাণ বিশেষজ্ঞদের দাবি, হাতি বা অন্যান্য পশুদের জঙ্গলে ফেরাতে গেলে প্রাথমিকভাবে তাদের চরিত্র বোঝাটা ভীষণভাবে প্রয়োজন। না হলে কখনো কখনো হাতি তাড়াতে গিয়ে নিজের প্রাণ দিতে হতে পারে। তবে প্রাণী চরিত্র একবার বুঝে গেলে আর কোনও অসুবিধা হয়না। প্রাণীদের চরিত্র অনুযায়ী যদি কাজ করা হয়, তাহলে বন্যপ্রাণীরাও কোনরকম বাধা সৃষ্টি না করে জঙ্গলে ফেরত যাবে‌। তবে বারেবারে বন্যপ্রাণ বিশেষজ্ঞরা সাবধান করেছেন, সঠিক প্রশিক্ষণের জন্য। প্রশিক্ষণ না থাকলে কিন্তু এ কাজে নামা আর জ্বলন্ত অগ্নিকুন্ডে ঝাঁপ দেওয়া একই কাজ বলে মনে করেন তাঁরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!