Big Breaking কমিশনের সঙ্গে সাক্ষাৎ! ভোট বিজ্ঞপ্তি জারির আগেই বড় পদক্ষেপ বিজেপির! কলকাতা বিজেপি রাজনীতি রাজ্য February 5, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন যাতে হয়, তার জন্য অনেকদিন আগে থেকেই দাবি করতে শুরু করেছে পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান বিরোধী দল ভারতীয় জনতা পার্টি। সাংগঠনিক শক্তি তাদের বৃদ্ধি হলেও, নির্বাচন যাতে প্রহসনে পরিণত না হয়, তার জন্য কেন্দ্রের কাছে আবেদন করতে দেখা গেছে গেরুয়া শিবিরকে। আর এই পরিস্থিতিতে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে এবারের নির্বাচন যে কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনী দিয়েই সমস্ত কিছু অনুষ্ঠিত হবে, তা বলাই যায়। হাতে আর মাত্র কিছুদিন। তারপরই নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়ে যাবে। কিন্তু তার আগেই এবার জাতীয় নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে দেখা করতে উদ্যত হল পশ্চিমবঙ্গের বিজেপির প্রতিনিধিদল। স্বাভাবিক ভাবেই নির্বাচন ঘোষণার আগে বিজেপির পক্ষ থেকে কমিশনের সঙ্গে এই ধরনের সাক্ষাৎকে কেন্দ্র করে রীতিমত গুঞ্জন তৈরি হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। সূত্রের খবর, আজ বিজেপির রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সমন্বয়ে গঠিত একটি প্রতিনিধিদল দেখা করবে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে। যে প্রতিনিধি দলে থাকার কথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত, লকেট চট্টোপাধ্যায়, অর্জুন সিংহের মত রাজ্য স্তরের নেতাদের। এছাড়াও কেন্দ্রীয় নেতা হিসেবে ভূপেন্দ্র যাদব এবং ওম পাঠক সেই প্রতিনিধি দলে থাকবেন বলে খবর। একাংশ বলছেন, বিজেপি কোনমতেই এবারে পশ্চিমবঙ্গ দখলের সুযোগ হাতছাড়া করতে রাজি নয়। তাই নির্বাচনের আগে সেই নির্বাচনের ব্যবস্থা সম্পর্কে কমিশনের দ্বারস্থ হতে চাইছে গেরুয়া শিবির। আর সেই কারণেই নির্বাচনের দিন ঘোষণা যখন সময়ের অপেক্ষা, তখন জাতীয় নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বিজেপির রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় নেতাদের এই সাক্ষাৎ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - অনেকে বলছেন, অতীতে পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে পৌরসভা বিভিন্ন নির্বাচনে সন্ত্রাসের অভিযোগ করেছিল ভারতীয় জনতা পার্টি। এমনকি গত লোকসভা নির্বাচনেও বেশ কিছু আসনে তৃণমূলের সন্ত্রাসের কারণে তারা পরাজিত হয়েছে বলে দাবি করেছিল বিজেপি। তবে অতীতের লোকসভা থেকে শুরু করে পঞ্চায়েত এই সমস্ত নির্বাচন বিজেপির কাছে ছিল সেমিফাইনাল ম্যাচ। তাদের প্রধান টার্গেট পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতা দখল করা। তাই সেই পশ্চিমবঙ্গের মসনদ কে দখল করবে, তা নির্ণয় করার জন্য যখন বিধানসভা নির্বাচন দরজায় কড়া নাড়ছে, তখন বিন্দুমাত্র সময় নষ্ট করতে চাইছে না ভারতীয় জনতা পার্টি। একের পর এক আন্দোলন থেকে শুরু করে বিভিন্ন রণকৌশল তৈরীর মধ্যে দিয়ে এমনিতেই তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিচ্ছে তারা। আর এই পরিস্থিতিতে ভোটের দিন ঘোষণার আগে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বিজেপির প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে কি কি দাবি করা হয়, তা নিয়ে রীতিমত কৌতুহল তৈরি হয়েছে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -