প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- সম্প্রতি মুম্বই থেকে ফিরে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তারপরই হঠাৎ করে যে আদানি এবং আম্বানিকে নিয়ে সবথেকে বেশি সরব হতে দেখা যেত তৃণমূল কংগ্রেসকে। আর সেই গৌতম আদানির সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠককে কেন্দ্র করে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, রাজ্যে শিল্পের জোয়ার আসছে। এটা তারই লক্ষণ।

তবে অনেকেই এর পেছনে অন্য কোনো উদ্দেশ্য রয়েছে বলে মনে করতে শুরু করেন। কেননা এই আদানি এবং আম্বানির বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি সরব হতে দেখা যেত ঘাসফুল শিবিরকে। তারা দাবি করত যে, আদানি এবং আম্বানি নরেন্দ্র মোদীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। ফলে সেই গৌতম আদানি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করার পরেই জল্পনা ক্রমশ বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। আর এই পরিস্থিতিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে গৌতম আদানির সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠকের বিষয়টি স্পষ্ট করে দিলেন সিপিএম নেতা বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য।

সূত্রের খবর, এদিন একটি ফেসবুক পোস্ট করেন সিপিএম নেতা বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য। যেখানে তিনি লেখেন, “আদানি এলেন নবান্নের দি মোদী ক্লাবের ক্যাপ্টেনের সঙ্গে ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলতে। এতে এত হইচই করার কি আছে? এতদিন এই টিমের খেলা বোঝেননি, বা বুঝতে চাননি যারা, তারা একটু ঘাবড়ে যেতে পারেন। কিন্তু সাধারন বিশ্লেষণী ও যুক্তিবাদী মানুষেরা কমসংখ্যক হলেও 2011 সালেই বুঝতে পেরেছিলেন, ছদ্দবেশী আরএসএস ও পুঁজির দালাল টিএমসি বাজারে নেমে পড়েছে সাধারণ মানুষকে বিপথে পরিচালনা করতে। তাই হা হুতাশ না করে রাস্তায় নামুন। বামপন্থীদের সঙ্গে জোর কদমে পথ চলুন। অন্ধকার থেকে আলোয় যাত্রা শুরু হোক।”

একাংশ বলছেন, সিপিএম নেতা এই পোস্টের মধ্যে দিয়ে বুঝিয়ে দিতে চাইলেন যে, মোদী ঘনিষ্ঠ গৌতম আদানির সঙ্গে বৈঠক করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভবিষ্যতের পথ প্রশস্ত করলেন। এক্ষেত্রে মুখে যতই তারা বিজেপির বিরোধিতা করুক, আদতে তাদের মধ্যে গোপন বোঝাপড়া আছে বলেই দাবি করার চেষ্টা করলেন এই সিপিএম নেতা। যার ফলে আবার প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠল তৃণমূল এবং বিজেপির সমঝোতা বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।