এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বিরোধী বাক্যবাণ হটিয়ে দিল্লিতে আজ কোন উন্নয়নের আলোচনা মোদি – মমতার? উদগ্রীব জনতা – জেনে নিন বিস্তারিত

বিরোধী বাক্যবাণ হটিয়ে দিল্লিতে আজ কোন উন্নয়নের আলোচনা মোদি – মমতার? উদগ্রীব জনতা – জেনে নিন বিস্তারিত

রাজনৈতিক মঞ্চে তৃণমূল ও বিজেপি দুই যুযুধান শিবির। কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্বের বিরুদ্ধে চিরকালই সরব হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। যদিও একটা সময় তিনি এই বিজেপি দলের হয়েই কেন্দ্রে রেলমন্ত্রীর আসন অধিগ্রহণ করেছিলেন‌। কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপট পাল্টেছে, সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে বিষোদগারের মাত্রাও। কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিটি নীতির বিরুদ্ধে এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সর্বদাই বিরুদ্ধ মনোভাব পোষণ করে এসেছেন। তাই প্রধানমন্ত্রীর সাথে মুখ্যমন্ত্রীর এই সাক্ষাৎকার বিরোধীদের কাছে তীব্র কটাক্ষের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এযাবৎকালে মুখ্যমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কোন আহবানে সাড়া দেননি। এমনকি 2019 এর লোকসভায় জিতে দ্বিতীয়বার নরেন্দ্র মোদির প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানও বাতিল করেছিলেন এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। শুধু তাই নয়, নীতি আয়োগ এর যে বৈঠক হয় প্রধানমন্ত্রীর তত্ত্বাবধানে বা দেশের সকল মুখ্যমন্ত্রী কে নিয়ে যখন প্রধানমন্ত্রী বৈঠক করেন সেই বৈঠকেও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী কে কোথাও দেখা যায় না।

কিন্তু এবার প্রধানমন্ত্রীর সাথে মুখ্যমন্ত্রীর হঠাৎ দেখা করার সিদ্ধান্তে তাই নড়েচড়ে বসেছে বাংলার রাজনৈতিক মহল। প্রায় আড়াই বছর পরে হঠাৎই মুখ্যমন্ত্রীর এহেন সিদ্ধান্তে আলোড়ন বাংলার রাজনীতিতে। বিরোধীদের নানান কটূক্তি উড়ে আসছে তাঁকে নিয়ে। এ বিষয়ে কংগ্রেস দলনেতা অধীর চৌধুরী পরিষ্কার জানিয়েছেন, এই বৈঠকের ফলে একটাই জিনিস দেখা যাচ্ছে, তা হল প্রধানমন্ত্রীর কাছে মুখ্যমন্ত্রীর আত্মসমর্পণ। অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রীকে তীব্র কটাক্ষ সহযোগে সিপিএমের সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, নিজেকে বাঁচাতেই প্রধানমন্ত্রীর সাথে এই সাক্ষাৎকার মুখ্যমন্ত্রীর। প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর এই বৈঠকে তামাম বিরোধীদের একটাই বক্তব্য, সিবিআইয়ের অতি তৎপরতার ফল প্রধানমন্ত্রীর সাথে মুখ্যমন্ত্রীর সাক্ষাৎ। কারণ সারদা মামলা রাজীব কুমারের গ্রেপ্তারি হবার সম্ভাবনা প্রবল, আর তাতেই মুখ্যমন্ত্রী বিপদে পড়েছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যদিও তৃণমূল নেতৃত্বের তরফে এবং মুখ্যমন্ত্রীর তরফ থেকে বিরোধীদের দাবি পুরোপুরি অস্বীকার করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, কেন্দ্র-রাজ্য প্রকল্পের কর্মসূচি নিয়ে কথা বলার জন্যই তাঁর দিল্লি সফর। মূলত রাজ্যের উন্নয়নকেই তিনি এই সাক্ষাৎকারের বিষয় ভেবেছেন। এর সাথে পশ্চিমবঙ্গের নাম পরিবর্তন নিয়েও তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করবেন বলে জানা গেছে।

প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর এই সাক্ষাৎকারের ফলাফলের দিকে তাকিয়ে সমগ্র রাজনৈতিক মহল। এত বিরোধিতা সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রীর সাক্ষাৎকারে কি তবে এতদিনের বৈরিতা ঘুচতে চলেছে? এর উত্তর সময়ই দেবে। তবে এই সাক্ষাৎকার যে ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এক উল্লেখযোগ্য মাত্রা রাখতে চলেছে, সে বিষয়ে নিশ্চিত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!