এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বিরোধীদের দাবিকে কার্যত সিলমোহর তৃণমূল নেতার, জোর শোরগোল রাজ্যে !

বিরোধীদের দাবিকে কার্যত সিলমোহর তৃণমূল নেতার, জোর শোরগোল রাজ্যে !


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে একাধিকবার নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ এনেছে বিরোধী পক্ষ। কিন্তু এবার শাসকদল তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য পুলিশের বিরুদ্ধে আনলেন নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ। মুর্শিদাবাদ জেলার ফারাক্কা ব্লকের বেওয়া ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের বেশকিছু তৃনমূল সদস্য নিরাপত্তাহীনতার আশঙ্কায় পঞ্চায়েত অফিসে যেতে পারছেন না বলে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। তাঁদের অভিযোগ, পুলিশ তাদের কোনরকম সাহায্য করেনি।

প্রসঙ্গত ফারাক্কা ব্লকের বেওয়া ১ গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলের ৭ জন সদস্য থাকলেও বিজেপির ৪ জন ও কংগ্রেসের ৪ জন সদস্য মিলে মোট ৮ জন পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন করেছে। প্রধান হয়েছেন বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য কুনাল ঘোষ। তৃণমূল অবতীর্ণ বিরোধীর ভূমিকাতে। সূত্রের খবর গত ২৩ আগস্ট পঞ্চায়েতে এক সভা চলাকালীন কংগ্রেস ও বিজেপির সদস্যেদের সঙ্গে তৃণমূল সদস্যদের বচসা, গালাগালি শুরু হয়। যা থেকে বাধে মারামারি, হাতাহাতি। তৃণমূলের দাবি তারা কোনো রকমে দৌড়ে পালিয়ে নিজের প্রাণ বাঁচিয়েছেন তাঁরা।

এই গ্রাম পঞ্চায়েতের ৭ জন তৃনমূল সদস্যদের মধ্যে ৫ জনই হলেন মহিলা। গত ২৩ সে আগস্ট সন্ধ্যেবেলা ফারাক্কা থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন জনৈক মহিলা পঞ্চায়েত তৃণমূল সদস্য রিপা বিবি। তাঁর অভিযোগ, ” সদস্যদেরই যদি পঞ্চায়েত অফিস ছেড়ে পালিয়ে বেড়াতে হয় তা হলে আমরা কিসের ভরসায় আর সদস্য পদে থাকব।’’

অভিযোগ উঠেছে, সেই ঘটনার পর ১৫ দিন হয়ে গেলেও, গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে যেতে সাহস পাচ্ছেন না তাঁরা। অভিযোগ উঠেছে তাঁদের প্রাণে মারার হুমকি পর্যন্ত দেয়া হয়েছে। পুলিশের বিরুদ্ধে তাঁদের অভিযোগ, পুলিশের কাছে সাহায্য চাইলেও কোন রকম সাহায্য করেনি পুলিশ। এ কারণে তাঁরা গত বুধবার মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তাদের অভিযোগ জানিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে লিখিত অভিযোগের এক কপি পুলিশকেও দেওয়া হয়েছে। অভিযোগের নিষ্পত্তি না হলে তাঁরা গণ ইস্তফার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পুলিশের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েতের তৃনমূল সদস্য রিন্টু শেখ বলেছেন, ” পুলিশ সম্পূর্ণ নিষ্ক্রিয় ফরাক্কায়। বুধবার মুখ্যমন্ত্রীকে লিখিত অভিযোগের কপি দেওয়া হয় পুলিশকেও। এরপর অবশ্য কিছুটা ততপর হয় ফরাক্কা থানা।’’ এই ঘটনা প্রসঙ্গে ফরাক্কার ব্লক তৃণমূল সভাপতি এজারত আলির বক্তব্য, ” ফরাক্কায় কংগ্রেস ২৫ বছর ক্ষমতায়। তাই পুলিশকে তারাই নিয়ন্ত্রণ করে। তাই পঞ্চায়েতের বৈঠকে গিয়ে তৃণমূলের সদস্যদের মারধোর করার পরও পুলিশ নীরব।’’

অন্যদিকে এ প্রসঙ্গে জঙ্গিপুরের এসডিপিও প্রসেনজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ” এই ঘটনায় পুলিশ একজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ নিষ্ক্রিয় ও পঞ্চায়েত সদস্যদের নিরাপত্তার অভাব আছে এমনটা ঠিক কথা নয়। তবু আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি সেখানে কী ঘটেছে।’’

তবে, এ বিষয়ে বিজেপি নেতৃত্বের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পঞ্চায়েতের সভায় সামান্য কিছু গণ্ডগোল হয়েছিল ঠিকই, কিন্তু তারপর তৃনমূল সদস্যরা যা করেছেন তা একেবারেই অর্থহীন। এ প্রসঙ্গে বেওয়া ১ পঞ্চায়েতের প্রধান বিজেপির কুণাল ঘোষ জানালেন, ‘‘ সভার মধ্যে তর্কাতর্কি, বচসা হয়েই থাকে। এটা নিয়ে অত্যন্ত বাড়াবাড়ি করছে তৃণমূল। অফিসে এলে তারা নিরাপত্তা পাবেন না এই আশঙ্কা অমূলক।’’

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!