এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > চা-বাগানের অঙ্কে তৃণমূলকে ব্যাকফুটে ঠেলতে বিশেষ সমীকরণ গেরুয়া শিবিরের

চা-বাগানের অঙ্কে তৃণমূলকে ব্যাকফুটে ঠেলতে বিশেষ সমীকরণ গেরুয়া শিবিরের


লোকসভা নির্বাচনের দামামা বাজতে আর বাকি হাতে গোনা মাত্র কয়েকটা দিন। তাই ইতিমধ্যেই বঙ্গের রাজনৈতিক দল গুলি কোমর বেঁধে ভোট প্রস্তুতি পর্বে নেমে গেছে। সাংগঠনিক যোগ্যতায় নিজেদের শক্তির প্রমাণ দিয়ে কংগ্রেস,বামফ্রন্টের মতো রাজনৈতিক দল গুলোকে টেক্কা দিয়ে সগর্বে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে নিয়েছে রাজ্যবিজেপি। এর জোরে কার্যত উদ্বেগেই রয়েছে রাজ্যের শাসকদল। এবার তাঁদের উদ্বেগকে আরো বাড়াতে সক্রিয় ভূমিকা নিচ্ছে রাজ্যের পদ্মশিবির। রাজনৈতিক সূত্রের খবর থেকে জানা গেছে, তরাই-ডুয়ার্সের প্রতিটি বাগানে চা শিল্পের সমস্যা মেটাতে বিজেপির চা শ্রমিক সংগঠন ভারতীয় টি ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন আন্দোলনের পথে হাঁটতে যাচ্ছে। লোকসভা ভোটের আগে পাহাড়ে বিজেপির ভীত শক্ত করারই লক্ষ্য এবার পদ্মশিবিরের। এবং তা করতে চা বাগানের কর্মীদের সমস্যা মেটানোটাকেই পাখির চোখ করে নিয়েছেন তাঁরা। ইতিমধ্যে, আন্দোলনের রুপরেখা তৈরি করতে ৯ জুলাই মাদারিহাটে বীরপাড়ায় বৈঠকও ডাকা হয়েছে। বৈঠকে হাজির থাকতে বলা হয়েছে দলের চা শ্রমিক সংগঠনের তরাই,ডুয়ার্সের নেতাদের। এছাড়াও থাকবেন রাজ্য সাধারণ সম্পাদক প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় সহ জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার জেলা নেতৃত্বরা।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

——————————————————————————————-

 এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

স্থির হয় যে এই বৈঠকেই তরাই,ডুয়ার্সের চা শ্রমিক ও চা শিল্প সংক্রান্ত সমস্ত সমস্যা খুব মনযোগ সহকারে শোনা হবে। খতিয়ে দেখা হবে গলদগুলো। এরপর এই ইস্যু নিয়ে তৈরি রিপোর্ট চলে যাবে মোদী সরকারের কাছে। সমস্যা সমাধানের জন্য একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি তৈরির প্রস্তাবও দেওয়া হবে কেন্দ্রকে। খোদ প্রধানমন্ত্রীর কাছেও পাঠানো হবে সেই প্রস্তাব। সেই বিশেষজ্ঞ কমিটিতে রাজ্য সরকারের প্রতিনিধি,টি বোর্ডের সদস্য সহ চা শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধিদেরও রাখার আর্জি জানানো হবে।

এ প্রসঙ্গে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলে বিজেপি জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা জানান যে, তাঁরা বলেছিলেন পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট সংগ্রহের জন্য তৃণমূল সরকার বাগান খুলে দেবে। এবং ভোটপর্ব মিটে গেলেই সেসব আবার বন্ধ হয়ে যাবে। তাঁদের সে ভবিষ্যতবাণী অক্ষরে অক্ষরে মিলে গেছে। ওদিকে, পাল্টা জবাব দিয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি মোহন শর্মা জানান যে, চা বাগানের সমস্যা নিয়ে বিজেপি আন্দোলনে নামলেও ফলাফল শূন্যই আসবে। কারণ চা বাগানে বিজেপির সংগঠনই নেই। তবে নির্ধারিত আন্দোলন কর্মসূচি নিয়ে চাঞ্চল্য তীব্র রয়েছে পাহাড়ের বিজেপির চা শ্রমিক সংগঠনের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!