এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > পুরোনো শরিকদের মান ভাঙিয়ে জোটে ফেরাচ্ছে বিজেপি, কংগ্রেস বা ফেডারেল ফ্রন্টের অঙ্কটা কি কঠিন হচ্ছে?

পুরোনো শরিকদের মান ভাঙিয়ে জোটে ফেরাচ্ছে বিজেপি, কংগ্রেস বা ফেডারেল ফ্রন্টের অঙ্কটা কি কঠিন হচ্ছে?

আসন্ন 2019 এর লোকসভা নির্বাচনকে ঘিরে এখন জমজমাট হয়ে উঠেছে জাতীয় রাজনীতি। একদিকে কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপি আর অন্যদিকে সেই বিজেপিকে ঠেকাতে বেছে বেছে বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজেদের দিকে টানতে মরিয়া বিরোধী মহাজোট।

আর সেক্ষেত্রে কেন্দ্রের শাসক দল গেরুয়া শিবিরের অস্বস্তিকে বাড়াতে সেই বিরোধী মহাজোটের নেতা-নেত্রীদের একমাত্র পাখির চোখ একদা সেই বিজেপিরই শরিক দলগুলো। কিন্তু বিনা যুদ্ধে সূচাগ্র মেদিনী দিতে রাজি নয় বিজেপিও। ইতিমধ্যেই এই বিরোধী মহাজোটের বিরুদ্ধে তোপ দেগে কেন্দ্রের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি থেকে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ প্রায় প্রত্যেকের গলাতেই শোনা গেছে যে, এই বিজেপি বিরোধী মহাজোট নেতৃত্বহীনতায় ভুগছে। এমনকি গেরুয়া শিবিরের দাবিকে কিছুটা হলেও সীলমোহর দিয়েছে রাজনৈতিক মহল।

আর এহেন একটা পরিস্থিতিতে যত দিন এগিয়ে আসছে লোকসভা নির্বাচনের, ঠিক ততই যেন আলগা হচ্ছে সেই বিরোধী মহাজোটের বন্ধন। কেননা 2014 সালে ক্ষমতায় আসার পর গেরুয়া শিবিরের প্রতি কিছুটা ক্ষুন্ন হয়ে যে সমস্ত বিজেপির একদা শরিক দলগুলো বিজেপির সঙ্গ ত্যাগ করেছে তাদেরকে মানিয়ে নিয়ে ফের আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে সকলে মিলে একসাথে পথ চলতে মাঠে নেমে পড়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এমনকি কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রায় অধিকাংশ একদা বিজেপির শরিক দলগুলো এতে রাজিও হয়েছে বলে জানা গেছে। আর এই প্রবণতা যত বৃদ্ধি পাচ্ছে ততই যেমন গেরুয়া শিবিরের মুখের হাসি চওড়া হচ্ছে, তেমনই ঠিক কতটা বিজেপিকে তারা চাপের মুখে রাখতে পারবে তা নিয়ে প্রবল আশঙ্কায় চিন্তার ভাঁজ পড়েছে সেই বিজেপি বিরোধী মহাজোটের নেতা-নেত্রীদের কপালে।

আর এখানেই রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের অনেকেই বলছেন, বিজেপি বিরোধী অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলগুলি শুধুমাত্র নিজেদের ভোটব্যাংকের ওপর ভর দিয়ে এই কেন্দ্রে পরিবর্তন আনতে পারবে না। তার জন্য বিজেপির একদা শরিক দলগুলোকেও তাদের দিকে নিয়ে আসা জরুরি।

আর সেই চেষ্টাও ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছিলেন সেই বিজেপি বিরোধী জোটে অংশগ্রহণকারী কংগ্রেস, তৃণমূল, সমাজবাদী পাটি এবং বহুজন সমাজবাদী পার্টি সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো। কিন্তু তাদের সেই আশায় জল ঢেলে দিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ তাদের থেকে কিছুটা মুখ ফিরিয়ে নেওয়া একদা বিজেপির শরিক দলগুলির মান ভাঙিয়ে ফের তাদের দিকে নিয়ে আসায় এখন বিরোধী মহাজোটের ভবিষ্যত নিয়েই উঠতে শুরু করেছে নানা প্রশ্ন।

তবে রাজনীতিতে শেষ হাসি কে হাসবে তা নিশ্চিতভাবে বলতে পারেন না কেউই। তাই শেষ পর্যন্ত আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে কার মুখের হাসি অটুট থাকে তা দেখবার জন্য অপেক্ষা করতেই হবে ভোটবাক্স খোলা পর্যন্ত।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!